এক দিকে এক দশকে সবচেয়ে নীচে নেমে যাওয়া বৃদ্ধির হার। আর অন্য দিকে মূল্যবৃদ্ধির সমস্যা ফের মাথা তুলতে পারে বলে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গভর্নর ডি সুব্বারাওয়ের আশঙ্কা। মূলত এই দুই কারণেই শুক্রবার সেনসেক্স এক ধাক্কায় পড়ল ৪৫৫ পয়েন্ট। ২০১২-র ২৭ ফেব্রুয়ারির পর এই প্রথম এত বেশি অঙ্ক পড়ল বম্বে স্টক এক্সচেঞ্জের এই সূচকটি। শেষ পর্যন্ত ২০ হাজারের নীচে নেমে তা দাঁড়াল ১৯,৭৬০.৩০ পয়েন্টে। ন্যাশনাল স্টক এক্সচেঞ্জের নিফ্টিও পড়েছে ১৩৮.১০ পয়েন্ট।
অবশ্য বাজারের পতনকেও ছাপিয়ে এ দিন আশঙ্কার কথা বেশি শোনা গিয়েছে টাকার দাম কমা নিয়ে। সপ্তাহের শেষ লেনদেনের দিনে টাকা পড়েছে ১২ পয়সা। এক ডলারের দাম দাঁড়িয়েছে ৫৬.৫০ টাকা। ডলারের সাপেক্ষে টাকার এই দর গত ১১ মাসে সর্বনিম্ন।
বৃহস্পতিবারই সুব্বারাও আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন যে, মূল্যবৃদ্ধি ফের মাথাচাড়া দেওয়ার সম্ভাবনা এখনও ষোলো আনা। তার উপর দেশে ডলার আসার তুলনায় তা বেরিয়ে যাচ্ছে অনেক বেশি। ডলারের সাপেক্ষে তলানিতে ঠেকেছে টাকার দামও। ফলে সব মিলিয়ে সুদ কমানোর পক্ষে পরিস্থিতি যে খুব অনুকূল নয়, তার ইঙ্গিত দিয়েছিলেন তিনি। সুদ কমানো নিয়ে শীর্ষ ব্যাঙ্কের এই মনোভাব এ দিন আদৌ খুশি করেনি শেয়ার বাজারকে।
এর সঙ্গে এ দিন বাজারকে হতাশ করেছে জানুয়ারি-মার্চ ত্রৈমাসিকের বৃদ্ধির হার (৪.৮%)। উদ্বেগ বাড়িয়েছে গত অর্থবর্ষে ৫ শতাংশে নেমে আসা (এক দশকে এই প্রথম) বৃদ্ধির পরিসংখ্যানও। বিশেষজ্ঞদের মতে, বৃদ্ধি যে এর থেকে অনেক বেশি হবে, এমন প্রত্যাশা মোটেও ছিল না। বরং আগের ত্রৈমাসিকের (৪.৭%) তুলনায় জানুয়ারি-মার্চে বৃদ্ধির হার সামান্য উপরে ওঠা খানিকটা জল ঢেলে দিয়েছে সুদ কমার প্রত্যাশায়। বাজার মনে করেছে বৃদ্ধির চাকায় গতি তেমন ফেরেনি। আবার অন্য দিকে, কমেছে সুদ কমার সম্ভাবনা। ফলে মুষড়ে পড়েছে বাজার। |