|
|
|
|
দেওয়াল সরতেই বেরিয়ে পড়ল লুকোনোর চোরাকুঠুরি
নিজস্ব প্রতিবেদন |
লোকচক্ষুর আড়ালে ছিল সে এত দিন। তার পর আচমকাই ভেঙে গেল সামনের দেওয়াল। বাকিটা ইতিহাস।
আজ্ঞে হ্যাঁ, ইতিহাসই বটে। সাদামাটা বাড়ির অন্দরমহলের এক অতিসাধারণ কাঠের দেওয়ালের পিছন থেকে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময়ের একটি চোরাকুঠুরি খুঁজে পেয়েছে নরওয়ের এক দল ছাত্র। তাদের ধারণা, জার্মান নাৎসি সেনার হাত থেকে প্রাণ বাঁচাতে ওই চোরাকুঠুরিতেই আশ্রয় নিতেন সেই বাড়ির প্রাক্তন বাসিন্দারা।
তাঁদের মৃত্যুর পর সে কুঠুরির সন্ধান রাখেনি কেউ। সাত দশকেরও বেশি সময় পরে সামনে এল সেটি। তা-ও খানিকটা আচমকাই। |
|
এই সেই চোরাকুঠুরি। |
সন্দেহ অবশ্য প্রথম থেকেই ছিল। ওই বাড়ির যিনি বর্তমান মালিক, তিনি ছাত্রদের আগেই জানিয়েছিলেন, চোরাকুঠুরির সন্ধান মিললেও মিলতে পারে সেখানে। তবে ছাত্ররা নিজেদের লেখাপড়া নিয়েই ব্যস্ত থাকবে ভেবে এ বিষয়ে তাদের বিশেষ উৎসাহ দেননি তিনি। কিন্তু পড়াশোনার ফাঁকেই দল বেঁধে ছাত্ররা কুঠুরি-অভিযান শুরু করে। প্রথম দিকে অবশ্য বেশ কিছুটা সময়ও নষ্ট হয়।
তার পর আচমকাই এক দিন একটা কাঠের দেওয়ালে হেলান দিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে দলের কেউ। সরে যায় দেওয়াল। বেরিয়ে পড়ে চোরাকুঠুরি। দেখা যায়, দীর্ঘদিন অব্যবহৃত অবস্থায় পড়ে রয়েছে একটা টেবিল, ব্রিটেন এবং উত্তর ফ্রান্সের দুটো মানচিত্র আর বিপদঘন্টি। ছাত্রদের ধারণা, নাৎসি সেনা বাড়িতে ঢুকলেই সেই বিপদঘন্টি বাজিয়ে বাকিদের সতর্ক করা হতো। অনুমানের শেষ নেই। কিন্তু ইন্টারনেটে কুঠুরির ছবি দেখে সবাই স্মৃতির পাতা ওল্টাতে শুরু করেছেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় নাৎসি বাহিনীর হাত থেকে বাঁচতে বাঙ্কারে আশ্রয় নিয়েছিল অ্যান ফ্র্যাঙ্ক নামে এক কিশোরী। শেষমেশ অবশ্য গেস্টাপোর হাতে ধরা পড়ে কনসেনট্রেশন ক্যাম্পে চলে যেতে হয় তাকে। |
|
|
|
|
|