|
|
|
|
মাস ঘুরতেই ফের বিষ-চিঠি ওবামাকে
সংবাদসংস্থা • ওয়াশিংটন |
দু’মাসে দু’বার, পাতা হয়েছিল বিষের ফাঁদ। নিশানা ছিলেন খোদ মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।
আর পাঁচটা চিঠির মতোই স্পোকেন থেকে একটা চিঠি এসে পৌঁছেছিল হোয়াইট হাউসে। প্রেসিডেন্টের ঠিকানায় আসা যাবতীয় চিঠি ও পার্সেল আগে পরীক্ষা করে সিক্রেট সার্ভিস। যে সমস্ত চিঠিপত্র আরও এক দফা পরীক্ষা করা দরকার বলে মনে হয়, সেগুলি পাঠানো হয় হোয়াইট হাউস থেকে দূরে বিশেষ অফিসে। এ বারও তাই হয়েছিল। আর খাম খুলতেই পাওয়া গেল, চিঠির ভাঁজে লুকিয়ে থাকা গুঁড়ো গুঁড়ো দানাদার কিছু একটা।
পরীক্ষা করতে জানা গেল, জিনিসটার নাম রাইসিন। রেড়ি থেকে তৈরি এক ধরনের বিষ। দেখলে মনে হবে নুন। তবে প্রথম দর্শনে যতটাই নির্ভেজাল মনে হোক, নিঃশ্বাসের সঙ্গে শরীরে ঢুকলেই সাক্ষাৎ মৃত্যু।
এখানেই শেষ নয়। চিঠিতে হুমকি, “আপনার জন্য আমরা যা ভেবে রেখেছি, চিঠির জিনিসটা দেখে তুলনা করতে যাবেন না।” একই রকম লেখা ছিল, নিউ ইয়র্কের মেয়র মাইকেল ব্লুমবার্গকে পাঠানো চিঠিটিতেও। কিছু দিন আগেই এ রকমই একটা বিষধর চিঠি গিয়েছিল ব্লুমবার্গের নামে।
এর আগে ১৭ এপ্রিলও এই একই রকম রাইসিন মাখানো বিষ-চিঠি এসেছিল ওবামার উদ্দেশে। সে বার মিসিসিপি থেকে এক জনকে গ্রেফতার করা হয়েছিল। মাস ঘুরতে না ঘুরতেই সেই একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। এ বারও জড়িত সন্দেহে এক সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে জেরা করছে এফবিআই।
কার্যত গত কয়েক সপ্তাহে একাধিক সরকারি কর্তাব্যক্তির নামে এ রকম একের পর এক চিঠি এসেছে। তাই নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও জোরদার করা হয়েছে।
আগে সন্দেহ করা হয়েছিল, ব্লুমবার্গ যেহেতু বন্দুক নিষিদ্ধ করতে কড়া অস্ত্র-আইন আনতে চাইছেন, তাই হয়তো তাঁকে কেউ বিষমাখানো চিঠি পাঠিয়েছে। তিনি নিজেও তাই বলেন। কিন্তু প্রেসিডেন্টের নামেও বিষ-চিঠি আসার পর তদন্তকারীরা এখন খতিয়ে দেখছেন, দু’টি ঘটনায় মিল রয়েছে কি না। |
|
|
|
|
|