পাকিস্তানের নব নির্বাচিত সরকারকে সদর্থক বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহ। আজ তাইল্যান্ড থেকে ফেরার পথে তিনি জানিয়েছেন, দু’দেশের সমস্ত ‘বকেয়া’ বিষয় ‘শান্তিপূর্ণ’ উপায়ে সমাধান করতেই চায় নয়াদিল্লি। কূটনৈতিক সূত্রে খবর, কোনও পূর্বশর্ত ছাড়াই নওয়াজ শরিফ সরকারের সঙ্গে আলোচনায় রাজি কেন্দ্র।
সোমবারই প্রধানমন্ত্রী বিশেষ দূত হিসাবে প্রাক্তন কূটনীতিক এস কে লাম্বাকে লাহৌরে পাঠিয়েছিলেন। সেখানে হবু পাক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের সঙ্গে বৈঠক করেছেন লাম্বা। শরিফের সঙ্গে কথা বলেছেন প্রাক্তন সাংবাদিক বেদপ্রতাপ বৈদিকও। রাজনৈতিক সূত্রের বক্তব্য, ‘ট্র্যাক টু’ কূটনীতি শুরু করে দিয়েছে কেন্দ্র।
সন্ত্রাস-বিরোধী ব্যবস্থা না নিলে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা হবে না, এই অবস্থানে আর আটকে থাকতে রাজি নয় সাউথ ব্লক। কিন্তু কেন? বিদেশ মন্ত্রকের যুক্তি, পাকিস্তানে নতুন নির্বাচিত সরকার এসেছে। নওয়াজ শরিফ ভারতকে সদর্থক বার্তা দিয়েছেন। সেই বার্তায় সাড়া দেওয়াটাই এই মুহূর্তের কূটনৈতিক বাস্তবতা।
তবে দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্য বাড়াতে ইসলামাবাদকে চাপ দিচ্ছে নয়াদিল্লি। ভারতকে যত দ্রুত সম্ভব সর্বাধিক সুবিধাপ্রাপ্ত দেশের (এমএফএন) মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানিয়েছে কেন্দ্র। এক বার এই ঘোষণা করেও পাক সেনার চাপে পিছিয়ে গিয়েছিলেন আসিফ আলি জারদারি। তাই শরিফের সঙ্গে পাক সেনার রসায়ন কী দাঁড়ায় তা আগে বুঝে নিতে চাইছে সাউথ ব্লক। তবে মনমোহন যে কাশ্মীর-সহ সব বিষয়েই আলোচনায় আগ্রহী তা বিশেষ দূত লাম্বা মারফত শরিফকে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
কূটনৈতিক সূত্রের মতে, দীর্ঘ দিন বাদে পাকিস্তানের সঙ্গে ‘ট্র্যাক টু’ আলোচনা শুরু করাটাই যথেষ্ট ইঙ্গিতবহ। ইউপিএ সরকার ক্ষমতায় আসার পর ২০০৪ সালে তৎকালীন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জে এন দীক্ষিত এই ‘ব্যাক চ্যানেল’ কূটনীতি শুরু করেছিলেন। ২০০৮-এ পিপিপি ক্ষমতায় আসার পর আলোচনার গতি কমে আসে। আর মুম্বই সন্ত্রাসের পর সব কথাবার্তাই বন্ধ হয়ে যায়। |