এক আইনজীবীর নামে শ্লীলতাহানির মামলা হওয়ায় জেলা আদালতে আলোড়ন পড়েছে। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে রায়গঞ্জের আইনজীবীরা আন্দোলন করছেন। তাঁরা বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, সম্পাদককে ২ ঘণ্টা ঘেরাও করে রাখেন। অভিযোগ, মামলার পরে অ্যাসোসিয়েশনের কর্তাদের ব্যবস্থা নিতে বলা হলেও কাজ হয়নি। আন্দোলনকারী আইনজীবীদের দাবি মেনে সভাপতির নেতৃত্বে এক প্রতিনিধি দল পুলিশ সুপারের সঙ্গে দেখা করে ওই আইনজীবীকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে বলে অভিযোগ জানালে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়। অ্যাসোসিয়েশনের তরফে পুলিশ সুপারের কাছে এই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত দাবি করা হয়। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত ওই আইনজীবীকে গ্রেফতার না-করারও আর্জি জানিয়েছে বার অ্যাসোসিয়েশন।
আদালত সূত্রে খবর, আইনজীবীর নাম জয়ন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর বাড়ি কালিয়াগঞ্জে কলেজপাড়ায়। ৩ এপ্রিল হেমতাবাদের মহিপুরের বাসিন্দা এক আদিবাসী তরুণী জয়ন্তবাবু, কালিয়াগঞ্জ এলাকার বাসিন্দা এক মহিলার বিরুদ্ধে রায়গঞ্জ থানায় শ্লীলতাহানির অভিযোগ দায়ের করেন। ওই তরুণীর অভিযোগ, জয়ন্তবাবু ও ওই মহিলা আদালত চত্বরে তাঁর শাড়ি ধরে টানাটানি করেন। পাল্টা আদিবাসী তরুণীর বিরুদ্ধেও মারধরের মামলা দায়ের হয়েছে। অভিযোগ পেয়ে পুলিশ জয়ন্তবাবু ও ওই মহিলার বিরুদ্ধে তফসিলি জাতি ও উপজাতি আইনে জামিন অযোগ্য ৩৫৪ ধারায় মামলা করে। বুধবার তদন্তকারী অফিসার ডিএসপি জ্যোতিষ রায় কালিয়াগঞ্জ থানার আইসি শ্রীমন্ত বন্দ্যোপাধ্যায়কে মামলার অগ্রগতির ব্যাপারে নির্দেশ পাঠান। জয়ন্তবাবুর দাবি, “আমাকে ফাঁসানো হয়েছে। পুলিশ গ্রেফতার করতে পারে আশঙ্কায় আদালতে সহকর্মীদের সব জানাই।” |