এজেন্টের মাধ্যমে ডাকঘরে টাকা জমা রাখেন দুই সরকারি অফিসার। কিন্তু এজেন্টের অস্বাভাবিক মৃত্যুর পর জানা যায়, তিনি সব টাকা আত্মসাৎ করেছেন। এর পরে দুই আমানতকারী ক্রেতা সুরাক্ষা আদালতে মামলা করেন। আইনি টানাপোড়েনের পর জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের মাধ্যমে দুটি পরিবারকে ২৪ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিল ডাকঘর কর্তৃপক্ষ। বৃহস্পতিবার মালদহ জেলা প্রধান ডাকঘরের সুপার ক্ষতিপূরণের আদালতের হাতে তুলে দিয়েছেন। ডাকঘরের সুপার অমিত লাহিড়ি বলেন, “জেলা ক্রেতা সুরক্ষা আদালতের নির্দেশে বিচিত্র রায় ও তাঁর স্ত্রী মমতা রায়কে ১০ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকা এবং সুভাষ লাহিড়ি ও তাঁর স্ত্রী মালা লাহিড়ীর নামে ১৩ লক্ষ ৭৯ হাজার ৪৩৯ টাকার চেক জমা করা হয়েছে।”
ক্রেতা সুরক্ষা আদালত সূত্রের খবর, মালদহ শহরের ৩ নম্বর কলোনির অবসরপ্রাপ্ত কেন্দ্রীয় শুল্ক দফতররে সুপার বিচিত্র রায় ও তাঁর স্ত্রী এজেন্ট কৌশিক ভট্টাচার্যের মাধ্যমে পাঁচ লক্ষাধিক টাকা ডাকঘরে জমা রাখেন। পাশাপাশি, ওই একই এজেন্টের মাধ্যমে ৮ লক্ষাধিক টাকা জমা করেছিলেন বিবিগ্রামের কেন্দ্রীয় বিমা অফিসার সুভাষ লাহিড়ি (মামলা চলাকালীন মারা গিয়েছেন) ও তাঁর স্ত্রী মালা লাহিড়ী।
গত ২০০৮ সালে ডাকঘরের ওই এজেন্ট আত্মহত্যা করেন। ডাকঘর কর্তৃপক্ষ এবং আমানতকারীরা জানতে পারেন, ওই এজেন্ট বহু আমানতকারীর টাকা আত্মসাৎ করেছেন। বিচিত্রবাবুর আইনজীবী প্রবীর ঝা জানান, ২০০৯ সালে ক্রেতা সুরক্ষা আদালতে মামলা করেছিলাম। ২০১১ সালে ক্রেতা সুরক্ষা আদালত ডাকঘর কর্তৃপক্ষকে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেয়। কিন্তু ডাকঘর কর্তৃপক্ষ স্টেট ফোরামে যান। সেখানেও একই রায় বহাল থাকে। তার পরে কর্তৃপক্ষ ন্যাশনাল ফোরামে যান। সেখানেও আবেদন খারিজ হয়ে যায়। এদিন সুদ-সদ ডাকঘর কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণের ১০ লক্ষ ৫৬ হাজার টাকার চেক দিয়েছে। সুভাষবাবুর আইনজীবী স্বপন কুমার নন্দী বলেন, “আমরা চেক নিইনি। আমার মক্কেল বেশি ক্ষতিপূরণ পাবেন। ফের আদালতে আবেদন করব।” |