দক্ষিণ দিনাজপুরে বিএসএনএল-এর পরিষেবা বেহাল হয়ে পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গ্রাহকদের অনেকেরই অভিযোগ, রবিবার টানা ৭ ঘন্টা পরিষেবা মেলেনি। একই ভাবে বৃহস্পতিবার টানা ১২ ঘণ্টা বালুরঘাটে মোবাইল, এসটিডি, ব্রড ব্যান্ড এবং ই মেল পরিষেবা বন্ধ ছিল। বুধবার রাত ৯টা থেকে বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৩টা পর্যন্ত ১৮ ঘণ্টা ধরে বালুরঘাটে বিএসএনএল পরিষেবা বন্ধ থাকায় ব্যাঙ্ক, ডাকঘর থেকে নানা জরুরি ও দৈনন্দিন পরিষেবা স্তব্ধ হয়ে যায়।
বিএসএনএল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগে আন্দোলনে নামে আরএসপির ছাত্র সংগঠন পিএসইউ। সদস্যরা বালুরঘাটের ফোন দফতরগুলিতে গিয়ে আধিকারিকদের না পেয়ে বিক্ষোভ দেখান। পিএসইউ-র বালুরঘাট শহর সম্পাদক সন্তু কর্মকার জানান, বালুরঘাটে বিএসএনএলের দফতরগুলিতে আধিকারিকদের দেখা মেলে না। এ দিন মহকুমা টেলিফোন এবং অতিরিক্ত জেনারেল ম্যানেজারের দফতরে গিয়ে কোনও অফিসারকে পাননি বলে তাঁরা জানান। তাঁদের প্রশ্ন, অন্য বেসরকারি সংস্থার মোবাইল পরিষেবা ঠিক থাকলেও বিএসএনএল ঘন ঘন বেহাল হচ্ছে কেন? ওই ঘটনার পিছনে কোনও অন্তর্ঘাত রয়েছে কি না তা নিয়ে তদন্ত চায় পিএসইউ।
বিএসএনএল রায়গঞ্জ বিভাগের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার শিবরাম ভট্টাচার্য বলেন, “পূর্ত দফতর থেকে রাস্তা তৈরির সময় তার কেটে দেওয়ায় সমস্যা তৈরি হয়েছে। কোথায় কবে রাস্তার মাটি কাটা হবে, তা পূর্ত দফতরকে চিঠি দিয়ে জানাতে বলা হলেও সাড়া মেলেনি।” কিন্তু, জেলা পূর্ত দফতরের নির্বাহী বাস্তুকার অরূপ রায় বলেন, “পূর্ত দফতরের অধীন রাস্তা তৈরির কোনও কাজ এখন হচ্ছে না। রাস্তার কাজ হলে তা টেলিফোন দফতরকে জানিয়েও দেওয়া হয়।”
প্রশাসনের একাধিক অফিসারের অভিযোগ, বিএসএনএলের পরিষেবা ঠিকঠাক মিলছে না বলে জেলার প্রায় সর্বত্রই ক্ষোভ রয়েছে। কেন এমন বেহাল হচ্ছে পরিষেবা সেই প্রশ্নে বিএসএনএল-এর একাধিক কর্মী জানান, বিষয়টি নিয়ে ঠিক মতো হচ্ছে না বলে এমন ঘটছে। ফলে, গ্রাহকরা মোবাইল পরিষেবা পাচ্ছেন না। বেশির ভাগ সময়ে এক প্রান্তের গ্রাহক অন্য প্রান্তের কথা শুনতে পাচ্ছেন না। কখনও কথা না হলেও টাকা কেটে নেওয়া হচ্ছে বলে অভিযোগ। |