পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন পত্র তোলা নিয়ে প্রথম দিন থেকেই গোলমাল শুরু হয়েছে। এ বার দ্বিতীয় দিনে প্রশাসনের প্রকাশ করা নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের মোবাইল নম্বরে ফোন করতে না পারায় বিভ্রান্তি ছড়াল বাঁকুড়া জেলায়।
বৃহস্পতিবার সংবাদপত্রে বাঁকুড়া জেলার ২২টি ব্লকের নির্বাচনী পর্যবেক্ষকদের নাম, ফোন নম্বর ও থাকার জায়গা প্রকাশিত হয়। কিন্তু দিনভর ওই নম্বরগুলিতে চেষ্টা করেও যোগাযোগ করা যায়নি। এ নিয়ে ক্ষোভ ছড়িয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা-কর্মীদের মধ্যে। সিপিএমের জেলা সম্পাদক অমিয় পাত্রের অভিজ্ঞতা, “বার বার পর্যবেক্ষকদের নম্বরে ফোন করার চেষ্টা করেও লাভ হয়নি। ফোন নম্বরগুলি চালু না করে প্রশাসন কেন প্রকাশ করল, আমার মাথায় ঢুকছে না।” বিজেপি-র বাঁকুড়া জেলা সহ-সভাপতি জীবন চক্রবর্তী বলেন, “পর্যবেক্ষকদের সঙ্গে কথা বলার জন্য ওই নম্বরগুলিতে ফোন করলেই, জবাব আসছে, ওই নম্বরের অস্তিত্ব নেই। নানা জায়গা থেকে আমাদের দলের কর্মীদের কাছ থেকেও এমনই অভিযোগ পেয়েছি। মনে হচ্ছে প্রশাসন নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করতে পর্যবেক্ষকেদর ভুয়ো নম্বর প্রকাশ করেছে।”
বুধবার থেকে এই জেলায় মনোনয়ন পত্র তোলার কাজ শুরু হয়েছে। কিন্তু সে দিনই বিষ্ণুপুর ও ইন্দাসে সিপিএমের কর্মীদের মারধর করার অভিযোগ ওঠে শাসকদল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। পুলিশকে ডেকেও সাহায্য পাওয়া যায়নি বলে অভিযোগ তুলেছে সিপিএম। তার মধ্যেই পর্যবেক্ষকদের ফোন নম্বর নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোয় বিরোধী রাজনৈতিক দলের কর্মীরা প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। অন্য দিকে, বুধবার সাংবাদিক বৈঠকে জেলাশাসক বিজয় ভারতী মনোনয়ন পত্র জমা করা নিয়ে কেউ সমস্যায় পড়লে, তাঁদের সাহায্যের জন্য জেলায় একটি ‘কমপ্লেন মনিটরিং সেল’ খোলা হয়েছে বলে জানিয়েছিলেন। কিন্তু বৃহস্পতিবারও ওই সেলের ফোন নম্বর প্রশাসন থেকে জানাতে পারেনি। অতিরিক্ত জেলাশাসক (উন্নয়ন) জয়ন্ত মাইতি বলেন, “পর্যবেক্ষকদের ফোন নম্বরগুলি চালু হয়নি বলে আমার কাছে কোনও অভিযোগ আসেনি। খোঁজ নিয়ে দেখব।” ‘কমপ্লেন মনিটরিং সেলের’ ফোন নম্বর কবে প্রকাশ করা হবে, তাও তিনি জানাতে পারেননি। তবে জেলা প্রশাসনের এক আধিকারিকের বক্তব্য, “পর্যবেক্ষকদের ফোনের ‘সিম’ সদ্য নেওয়া হয়েছে। তাই চালু করতে কিছুটা সময় লাগছে।” তাঁর আশ্বাস, আজ শুক্রবার থেকে ওই ফোন নম্বরে যোগাযোগ করা যাবে। |