পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়ন তোলা শুরু হওয়ার পর থেকে বাঁকুড়া ও পুরুলিয়া জেলায় রাজনৈতিক হানাহানির ঘটনা ক্রমশ বাড়ছে। বুধবার রাতে আশড়ার বেলড়িতে তৃণমূলের আঞ্চলিক কার্যালয়ে ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। সোনামুখীতে আবার বৃহস্পতিবার সিপিএমের পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রার্থীদের মারধর করে তাড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে তৃণমূলের কর্মীদের বিরুদ্ধে।
তৃণমূলের অভিযোগ, আশড়ার বেলড়িতে তাঁদের কার্যালয়ের বাইরে দলের পতাকা ছিল। সিপিএমের লোকেরা ওই কার্যালয়ে ঢুকে ভাঙচুর চালানোর পাশাপাশি তৃণমূলের দলীয় পতাকা ছিঁড়ে দেয়। দলনেত্রী তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবিও ছিঁড়ে ফেলা হয়। তছনছ করা হয় কিছু কাগজপত্র। |
তৃণমূলের জেলা সভাপতি শান্তিরাম মাহাতোর অভিযোগ, “এলাকায় তৃণমূলের সমর্থন বাড়ছে। তা আটকাতে না পেরে সিপিএম আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা করেছে বলে জানতে পেরেছি।” ওই ঘটনায় পুলিশ বৃহস্পতিবার মোক্তার কাজী নামে স্থানীয় এক সিপিএম কর্মীকে গ্রেফতার করে। সিপিএমের আড়শা জোনাল কমিটির সদস্য মহাদেব কুমারের দাবি, “তৃণমূলের কর্মীরা নিজেদের অন্তর্দ্বন্দ্ব ঢাকতে আমাদের দলের এক কর্মীকে মিথ্যা অভিযোগে গ্রেফতার করিয়েছে।”
অন্য দিকে, সোনামুখীর ধুলাই, নবাসন অঞ্চলে সিপিএমের প্রার্থীদের মনোনয়নে বাধা দেওয়া হয় বলে অভিযোগ তুলেছেন সিপিএমের সোনামুখী জোনালের সম্পাদক শেখর ভট্টাচার্য। তাঁর অভিযোগ, “এদিন দুপুরে ধুলাই, নবাসন অঞ্চলের আমাদের ১২ জন দলীয় প্রার্থী ব্লক অফিসে মনোনয়নপত্র দাখিল করতে গেলে অফিস গেটের সামনে বাধা দেয় তৃণমূল কর্মীরা। কয়েকজন প্রার্থীকে ওরা চুলের মুঠি ধরে মারধরও করে। বিডিও-র কাছে ঘটনার অভিযোগ জানানো হয়েছে।”
সোনামুখীর বিডিও বিশ্বজিৎ ভট্টাচার্য বলেন, “পুলিশি নিরাপত্তা দিয়ে ওই প্রার্থীদের মনোনয়নপত্র দাখিলের ব্যবস্থা করা হয়েছে।” |
এক মাসের সন্তানকে কোলে নিয়ে বৃহস্পতিবার বিষ্ণুপুর ব্লক অফিসে
তৃণমূল প্রার্থী আঙ্গুরা বিবি
মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন। তাঁকে নিয়ে ২৪ জন পঞ্চায়েতে
এবং
৩ জন পঞ্চায়েত সমিতিতে এ দিন মনোনয়ন পত্র জমা দিলেন। — নিজস্ব চিত্র |
যদিও সোনামুখী পুরসভার বিরোধী দলনেতা তথা যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুরজিৎ মুখোপাধ্যায়ের দাবি, “প্রথম দিন ওরা বেশি সংখ্যায় মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছে। আমরা বাধা দিলে তা পারত? এ দিন ব্লক অফিসে আমাদের প্রার্থীদের ভিড় দেখে ওরা পালাতে থাকে। কেউ বাধাও দেয়নি, মারধরও করেনি।” |