দামোদরের জল পেতে সমস্যা হতে পারে। তাই পুরুলিয়ার রঘুনাথপুরে প্রস্তাবিত তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের উৎপাদনক্ষমতা কমিয়ে অর্ধেক করে ফেলার সিদ্ধান্ত নিল বাঙালি উদ্যোগপতি প্রসূন মুখোপাধ্যায়ের সংস্থা ইউনিভার্সাল সাকসেস।
বৃহস্পতিবার মহাকরণে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করে প্রসূনবাবু তাঁদের নতুন ভাবনা-চিন্তার কথা জানিয়েছেন। পরে তিনি সংবাদমাধ্যমকে বলেন, রঘুনাথপুরে দামোদরের জল পাওয়া নিয়ে কিছু সমস্যা হচ্ছে। যে কারণে প্রাথমিক ভাবে ১,৩২০ মেগাওয়াটের তাপবিদ্যুৎ প্রকল্প গড়ে তোলার কথা থাকলেও এখন ৬৬০ মেগাওয়াটের প্রকল্প তৈরির কথা ভাবা হচ্ছে।
|
প্রসূন মুখোপাধ্যায় |
রঘুনাথপুরে পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোন্নয়ন নিগমের শিল্পাঞ্চলে তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পটি গড়ে তুলতে চেয়ে রাজ্যকে প্রস্তাব দিয়েছে ইউনিভার্সাল সাকসেস। এতে অন্তত চার হাজার কোটি টাকা লগ্নি হওয়ার কথা। এ জন্য রাজ্য সরকার প্রায় ৭০০ একর জমি দিতে রাজি হয়েছিল। তবে প্রস্তাবিত বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদনক্ষমতা এ বার অর্ধেকে নেমে আসায় জমিও কম লাগবে। এ দিন মহাকরণের বাইরে প্রসূনবাবু বলেন, এখন পাঁচশো একর পেলেই তাঁদের চলবে। তবে রাজ্য সরকার মোটামুটি সাতশো একরই বরাদ্দ রাখতে চাইছে।
কারণ, ভবিষ্যতে জলসঙ্কট মিটলে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের উৎপাদনক্ষমতা বাড়ানোর সুযোগ থাকবে।
পূর্ব মেদিনীপুরের নয়াচরেও ইউনিভার্সাল সাকসেসের একটি তাপবিদ্যুৎ প্রকল্পের প্রস্তাব রয়েছে। যদিও তাতে পরিবেশ মন্ত্রকের ছাড়পত্র পাওয়া নিয়ে বিভিন্ন মহলে সংশয়। নয়াচর প্রকল্প প্রসঙ্গে প্রসূনবাবু এ দিন জানিয়েছেন, পরিবেশ-বিশেষজ্ঞেরা তাঁদের নতুন একটি রিপোর্ট দিয়েছেন, যা দিল্লিকে পাঠানো হয়েছে। নয়াচর ঘিরে পরিবেশ-বিতর্কের কথা মেনে নিয়ে প্রসূনবাবুর দাবি, তাঁরা ওখানে পরিবেশ বাঁচিয়েই প্রকল্প গড়তে আগ্রহী।
প্রসঙ্গত, রঘুনাথপুরে তাপবিদুৎ কেন্দ্র গড়তেও পরিবেশ মন্ত্রকের ছাড়পত্র লাগবে। তবে এ ক্ষেত্রে মন্ত্রকের সবুজ সঙ্কেত পেতে বিশেষ সমস্যা হবে না বলেই প্রসূনবাবু আশাবাদী। তিনি জানান, রঘুনাথপুর প্রকল্পে কেন্দ্রীয় ওই ছাড়পত্র ২০১৪-র মধ্যে এসে গেলে তাঁরা ২০১৫-র মাঝামাঝি কাজ শুরু করে দেবেন। |