অপহরণের অভিযোগ থেকে মুক্ত সাবালিকার স্বামী
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাদুড়িয়া |
প্রেমিককে বিয়ে ঘর ছাড়ায় মেয়ের বাবা অপহরণের অভিযোগ করেছিলেন ছেলের বিরুদ্ধে। অভিযোগ পেয়ে তদন্তে নামে বধর্মানের গলসী থানার পুলিশ। অবশেষে জানা যায়, নিখোঁজ মেয়ে রয়েছে উত্তর ২৪ পরগনার বাদুড়িয়া থানার প্রতুল্যপুর গ্রামে। পুলিশ গ্রামে গিয়ে মেয়েটিকে উদ্ধার করতে গেলে বিপাকে পড়ে। গ্রামের বধূকে পুলিশ নিয়ে যাবে সে আবার কী? গোটা গ্রাম পুলিশের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ায়। যদি পুলিশ দেখে ভয় পেয়ে আগেই গা ঢাকা দিয়েছিল বর। পরে ওই বধূকে থানায় নিয়ে আসে পুলিশ। এর পরেই ঘটে নাটক। থানায় দাঁড়িয়ে বউ বলে তাকে কেউ অপহরণ করেনি। সে সাবালিকা। নিজের ইচ্ছাতেই সে ঘর ছেড়ে বেরিয়ে এসেছে প্রেমিককে বিয়ে করবে বলে। মেয়েটির কথামত তার জন্মের ও বিয়ের শংসাপত্র পরীক্ষা করে দেখা যায় সে ঠিক কথাই বলেছে। অতঃপর পুলিশ ছেড়ে দেয় মেয়েটিকে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমানের গলসী থানার খানু গ্রামের বাসিন্দা ওয়াহিদা রহমানের সঙ্গে বাদুড়িয়ার ছেলে সাবিরুল হক সাগরের ছ’মাস আগে কলকাতার এক আত্মীয়ের বিয়েবাড়িতে পরিচয় হয়। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে ভালবাসার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরবর্তীকালে মেয়েটি তার ভালবাসার কথা বাড়িতে জানালে তার বাবা ওই ছেলেটিকে মেনে নিতে রাজি হননি। মাস দুই আগে মেয়েটি বাড়ি থেকে পালিয়ে ছেলেটির সঙ্গে রেজিস্ট্রি করে বিয়ে করে এবং ছেলেটির বাড়ি চলে আসে। এর পরেই ছেলেটির বিরুদ্ধে অপহরণের অভিযোগ করেন ওয়াহিদার বাবা।
|
চাকরি দেওয়ার নামে প্রতারণা, অভিযুক্ত যুব তৃণমূল নেতা
নিজস্ব সংবাদদদাতা • বনগাঁ |
চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে অর্থ নিয়ে প্রতারণার অভিযোগ উঠল এক তৃণমূল নেতার বিরুদ্ধে। প্রশাসন ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্ত তৃণমূল নেতার নাম তুলসী বিশ্বাস। তিনি বাগদা ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি। বনগাঁ থানার পাইকপাড়ার বাসিন্দা নৃপেন বিশ্বাস ২৪ মে বনগাঁ থানায় তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ওই তৃণমূল নেতা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, নৃপেনবাবু লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন ২০১২ সালের জুন-জুলাই মাসে তাঁর ছেলেকে রেলে চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তুলসীবাবু ৫৫ হাজার টাকা নিয়েছিলেন। কিন্তু ছেলের চাকরি হয়নি।” নৃপেনবাবুর অভিযোগ, “তুলসীবাবুকে ফোন করলে ফোন কেটে দিতেন। টাকা ফেরত চেয়েও পাইনি। উল্টে তৃণমূলের নেতা মন্ত্রীদের নাম করে আমাকে হুমকি দেওয়া হত।” অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণার আরও অভিযোগ জমা পড়েছে বনগাঁ থানায়। তার মধ্যে রয়েছে স্কুল শিক্ষকের চাকরি দেওয়ার নাম করে প্রতারণা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করে তুলসীবাবু বলেন, “আমি নৃপেনবাবুকে চিনি না। আমি কারও কাছ থেকে কোনও টাকা নিইনি।” তাঁর দাবি, “পঞ্চায়েত ভোটে বাগদা পঞ্চায়েত সমিতির আসনে আমার প্রার্থী হওয়ার কথা। সেটা যাতে না হয় সেই কারণে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য আমাকে ফাঁসানো হয়েছে।” এই ঘটনার পিছনে তিনি পরোক্ষে তৃণমূলেরই একটি গোষ্ঠীকে দায়ী করেছেন।
|
সমীরের লড়াই নিজের বিরুদ্ধেই
নিজস্ব সংবাদদাতা • নামখানা |
লক্ষ্যে অবিচল। —নিজস্ব চিত্র। |
বয়স তখন মাত্র নয় কি দশ। মাঠে গরু চরাতে গিয়ে ঝড়ে ছিঁড়ে পড়া তারে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয় ক্লাস ফোরের ছাত্রটি। কোনওমতে সে যাত্রায় প্রাণে বাঁচলেও বরাবরের মতো নষ্ট হয়ে গেল দু’টি হাত। তখন থেকেই হার না মেনে লড়াইয়ের জেদ চেপে যায় নামখানার দেবনগর হাইস্কুলের ছাত্র সমীর মণ্ডলের। বাড়ির দূরবস্থা সেই লড়াইয়ে আরও শক্তি জুগিয়েছে সমীরকে। আর তারই ফল পেয়েছে মাধ্যমিকে। হাত দিয়ে লেখার সুযোগ ছিল না। কিন্তু পা দু’টো তো রয়েছে। তা দিয়েই লিখে একের পর এক ক্লাসে উঠেছে। মাধ্যমিকেও তার ভরয়া ছিল পা দুটোই। তা দিয়ে লিখে সে পেয়েছে প্রথম বিভাগে পাশ করেছে সমীর। সমীরের এই সাফল্যে স্বাভাবিক ভাবেই খুশি তাঁর মা-বাবা, স্কুলের শিক্ষক, সহপাঠীরা। কুলতলির ১ নম্বর ব্লকের মধুসূদনপুর গ্রামের বাসিন্দা তারক মণ্ডলের দুই ছেলের মধ্যে বড় সমীর। সংসারের আয় বলতে ভ্যান চালানো। সেই টাকাতেই সংসার চালানো থেকে দুই ছেলের পড়াশোনা। “এতদিন কী ভাবে চলেছে জানি না। কিন্তু এ বার বোধহয় আর পারব না।”আক্ষেপ তারকবাবুর গলায়। বিজ্ঞান নিয়ে পড়তে চায় সমীর। কিন্তু পড়ার খরচ কে দেবে তারই উত্তর চলেছেন মণ্ডল পরিবার।
|
অস্বাভাবিক মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • ভাঙড় |
মাধ্যমিক পরীক্ষার্থী এক কিশোরীর অস্বাভাবিক মৃত্যু হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় বাঙড়ের সাইটগাছি গ্রামে ঘরে গলায় দড়ি দেওয়া অবস্থায় তার ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত ছাত্রীর নাম নয়নিকা পাল (১৬)। পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটকপুকুরের কুলটি গভর্নমেন্ট কলোনি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এ বার মাধ্যমিক দিয়েছিল নয়নিকা। কিন্তু ভৌতবিজ্ঞান ও অঙ্কে পাশ করতে পারেনি সে। এ জন্য মনমরা ছিল। মা লিপিকাদেবী বলেন, “মেয়েকে অনেক বোঝানো হয়েছিল। তা সত্ত্বেও কেন এমন করল জানি না।”
|
বৃহস্পতিবার ছবি তুলেছেন দিলীপ নস্কর। |
উত্তর ২৪ পরগনার সাগর ব্লকের ঢবলাট পঞ্চায়েতের বোটখালি গ্রামের কাছে বঙ্গোপসাগরের বাঁধ নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিল আয়লায়। প্রায় চার কিলোমিটার আয়লা ক্ষতিগ্রস্ত সমুদ্রবাঁধ নির্মাণের জন্যে কেন্দ্রীয় সরকার থেকে প্রায় ৭৬ কোটি টাকা অনুমোদন করা হয়। কিন্তু সেচ দফতর থেকে মাটি ফেলার কাজ শুরু হলেও বাঁধ মেরামতির কাজ শেষ হয়নি। বছরখানেক আগে প্রাক্তন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী শ্যামল মণ্ডল বাঁধ নির্মাণের জন্যে শিলান্যাস করেছিলেন। কিন্তু ঢিলেমিতে কাজ আর এগোয়নি। গত রবিবার ভরা কোটালের জোয়ারে প্রায় ১ কিলোমিটার সমুদ্রবাঁধ নিশ্চিহ্ন হয়ে যায়। ক্ষতিগ্রস্ত হয় শ’খানেক বাড়ি। ক্ষতি হয় সবজি ও মাছ চাষের। |