|
|
|
|
হলদিয়া পেট্রোকেম নিয়ে আগ্রহী ইন্ডিয়ান অয়েল |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
হলদিয়া পেট্রোকেমিক্যালসে আরও বড় ভূমিকা নিতে আগ্রহী ইন্ডিয়ান অয়েল। তবে শেষ পর্যন্ত ছবিটা কী দাঁড়াবে, তা পশ্চিমবঙ্গ সরকার এবং চ্যাটার্জি গোষ্ঠীর মতো অন্যান্য অংশীদারের উপরই নির্ভর করছে বলে মনে করছেন এই রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কর্তারা।
হলদিয়া পেট্রোকেমে নিজের ৩৯.৯ শতাংশ শেয়ার নিলাম করতে চাইছে রাজ্য সরকার। নিলামে অংশগ্রহণ করতে আগ্রহী পক্ষদের কাছ থেকে ইতিমধ্যেই ‘এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেস্ট’ চাওয়া হয়েছে। ইন্ডিয়ান অয়েলের চেয়ারম্যান আর এস বুটোলা আজ ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাঁরা হলদিয়া নিয়ে আগ্রহী।
তবে নির্দিষ্ট পরিকল্পনা সম্পর্কে মুখ খুলতে চাননি তিনি। বুটোলার কথায়, “আমাদের পরিকল্পনা প্রকাশ্যে বলতে পারব না। যে ‘এক্সপ্রেশন অফ ইন্টারেস্ট’ চাওয়া হয়েছে, তাতে আমরা সাড়া দিচ্ছি কি না, কী ভাবে সাড়া দিচ্ছি, এ বিষয়েও এখন মুখ খোলা সম্ভব নয়।
তবে এটুকু বলতে পারি, হলদিয়ায় পেট্রোকেমিক্যালসের পাশেই আমাদের তৈল শোধনাগার রয়েছে। সেখান থেকে আমরা পেট্রোকেমিক্যালসে ন্যাপথা সরবরাহ করি। কাজেই পেট্রোকেমিক্যালসের সঙ্গে আমাদের শোধনাগারের একটা যোগাযোগ রয়েছে।”
প্রসঙ্গত, হলদিয়ায় এখন ইন্ডিয়ান অয়েলের অংশীদারিত্বের পরিমাণ ৮.৮৯ শতাংশ।
ইন্ডিয়ান অয়েলের পাশাপাশি আরও দু’টি রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থা গ্যাস অথরিটি অফ ইন্ডিয়া লিমিটেড এবং অয়েল অ্যান্ড ন্যাচারাল গ্যাস কর্পোরেশন শেয়ার নিলামে অংশগ্রহণের বিষয়টি খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছে। বস্তুত, এই তিনটি সংস্থাই অতীতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে দর কষাকষির মাধ্যমে শেয়ার কেনার চেষ্টা করেছে।
এখন সংস্থাগুলির কর্তাদের বক্তব্য, রাজ্য সরকার ছাড়াও চ্যাটার্জি গোষ্ঠী কী ভূমিকা নিচ্ছে, সেটাও খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
কারণ, পেট্রোকেমের শেয়ার নিলাম নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকারের সঙ্গে চ্যাটার্জি গোষ্ঠীর আইনি বিবাদ তৈরি হয়েছে।
পূর্ণেন্দু চট্টোপাধ্যায়দের দাবি, হলদিয়া পেট্রোকেমের যে ৬৭.৫০ কোটি শেয়ার রাজ্য নিলামে চড়াতে চাইছে, তার মধ্যে ১৫.৫০ কোটি শেয়ার আসলে তাদেরই। ওই শেয়ার যে সংস্থা কিনবে, তার দায় ও ঝুঁকিও তাকেই বইতে হবে। উল্টো দিকে রাজ্যের বক্তব্য, আইনি লড়াইয়ের কারণে শেয়ার নিলাম প্রক্রিয়া থেমে থাকবে না।
পূর্ব ভারতের একমাত্র পেট্রোকেমিক্যাল সংস্থার মূল সমস্যা হল অর্থের অভাব। রাষ্ট্রায়ত্ত সংস্থার কর্তারা ঘরোয়া আলোচনায় বলছেন, হলদিয়াকে ঘুরে দাঁড় করানোর মতো যথেষ্ট অর্থ তাঁদের হাতে রয়েছে।
কিন্তু চ্যাটার্জি গোষ্ঠীর সঙ্গে যাদের বোঝাপড়া ভাল হবে, শেষ পর্যন্ত তারাই হলদিয়ায় বিনিয়োগ করবে। |
|
|
|
|
|