অধরা মাওবাদী নেতাদের ধরতে গোয়েন্দা অভিযান |
ছত্তীসগঢ়ের সুকমায় মাওবাদী হামলার প্রেক্ষিতে এ রাজ্যে অধরা মাওবাদী নেতাদের ধরতে নতুন উদ্যমে ফের গোয়েন্দা অভিযান শুরু করতে চলেছে রাজ্য সরকার। সিআইডি-র তত্ত্বাবধানে রাজ্য পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী মিলিত ভাবে ওই অভিযান চালাবে। সিআইডি-র অতিরিক্ত ডিরেক্টর জেনারেল শিবাজী ঘোষ বৃহস্পতিবার ঝাড়গ্রামে গিয়ে আইজি (পশ্চিমাঞ্চল), ডিআইজি (মেদিনীপুর রেঞ্জ) এবং পশ্চিম মেদিনীপুর, পুরুলিয়া, বাঁকুড়া ও ঝাড়গ্রামের এসপি-সহ পদস্থ পুলিশ কর্তাদের নিয়ে বৈঠক করেন। শিবাজীবাবু বলেন, “বেশ কিছু মাওবাদী নেতা এখনও ধরা পড়েননি। অবিলম্বে তাঁদের ধরতে জোরদার গোয়েন্দা অভিযান শুরু করা হচ্ছে। সেই অভিযান নিয়েই এ দিনের বৈঠকে আলোচনা হয়েছে।” কিষেণজি নিহত হওয়ার দেড় বছর পরেও আকাশ, বিকাশ, তারা, মদন মাহাতো, শ্যামল মাহাতো, রঞ্জিৎ পাল ও হলধর গরাইয়ের মতো মাওবাদী নেতারা অধরাই রয়ে গিয়েছেন। আবার ভিন্-রাজ্যের মাওবাদী নেতারা খড়গপুরের মতো শহরে এসে গোপন বৈঠক সেরে যাচ্ছেন বলে খবর মিলছে। জঙ্গলমহলের কিছু গ্রামেও নতুন করে যাতায়াত শুরু হয়েছে মাওবাদীদের। রাজ্য পুলিশের এক শীর্ষ কর্তার দাবি, এই অবস্থায় অধরা নেতাদের ধরে মাওবাদীদের ধাক্কা দিতে চাইছে প্রশাসন। এ দিনের বৈঠকে মাওবাদী সংক্রান্ত মামলাগুলির গতিপ্রকৃতি নিয়েও আলোচনা হয়।
|
নাতনিকে পুড়িয়ে মারল দাদু-দিদা |
গ্রামের ছেলেকে ভালোবাসার শাস্তি হিসেবে ১৬ বছরের মেয়েকে পুড়িয়ে মারা হল। ঘর বন্ধ করে নাতনির গায়ে কেরোসিন ঢেলে তাকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মেরেছে তারই ঠাকুমা এবং ঠাকুর্দা। ঘটনার পর থেকে ওই বৃদ্ধ, বৃদ্ধা ফেরার। প্রধান অভিযুক্ত হিসেবে ওই দু’জনের নামে অভিযোগ জমা পড়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে আরা জেলার করনামেপুর ফাঁড়ির সোনবরষা গ্রামে। ঘটনার পরে ঠাকুমা তেতরা দেবী এবং ঠাকুর্দা রামজি মিশ্রকে পুলিশ খুঁজছে। পুলিশ জানায়, কয়েকদিন আগে মেয়েটি ওই গ্রামেরই ২৫ বছরের যুবক প্রবীণ দেও-এর সঙ্গে পালিয়ে যায়। দু’দিন নিখোঁজ থাকার পরে ঠাকুমা এবং ঠাকুর্দা মেয়েটিকে খুঁজে বাড়িতে নিয়ে আসে। এরপরেই ‘পারিবারিক সম্মান’ রক্ষার্থে নাতনিকে পুড়িয়ে মারেন তারা।
|
রাজ্যসভায় পঞ্চমবারের জন্য নির্বাচিত মনমোহন |
প্রত্যাশিত ভাবেই অসমের রাজ্যসভা নির্বাচনে দু’টি আসনে জয়ী হল কংগ্রেস। পঞ্চমবারের জন্য অসমের সাংসদ হলেন মনমোহন সিংহ। প্রথম বারের জন্য রাজ্যসভায় যাচ্ছেন শান্তিয়ুস কুজুর। আজ সকাল ন’টা থেকে বিকেল চারটে অবধি ভোটগ্রহণ পর্ব চলে। তারপর শুরু হয় ভোটগণনা। এআইইউডিএফ-এর ১৮ জন বিধায়ক প্রথম পছন্দের প্রার্থী হিসেবে নিজেদের প্রার্থী আমিনুল ইসলাম ও দ্বিতীয় পছন্দের প্রার্থী হিসাবে মনমোহন সিংহকে ভোট দেন। অন্য দিকে, কংগ্রেস, নির্দল, বিপিএফ মিলিয়ে মনমোহন সিংহ প্রথম পছন্দের ৪৯টি ও কুজুর প্রথম পছন্দের ৪৫টি ভোট পান।
অসম গণ পরিষদের ৯ বিধায়ক ও বিজেপির ৫ বিধায়ক ভোট দেননি। মুখ্যমন্ত্রী তরুণ গগৈ মনমোহন সিংহ ও কুজুরকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, “প্রধানমন্ত্রী ১৯৯১ থেকেই রাজ্যের জন্য কাজ করছেন। আশা করি ভবিষ্যতেও এই ভাবেই রাজ্যবাসী তাঁর সাহায্য পাবে। কুজুর নতুন সাংসদ হলেন। দেশ ও রাজ্যের প্রতি তাঁর দায়িত্ব অনেক বেড়ে গেল।”
|
‘নিরুদ্দেশ’ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র-মন্ত্রী সুশীল-কুমার শিন্দের ‘সন্ধান’ মিলল। ছত্তীসগঢ়ে কংগ্রেসি নেতাদের উপরে হামলার সময়ে আমেরিকায় ছিলেন শিন্দে। সরকারি সফর শেষ হওয়ার পরেও কয়েক দিন আমেরিকায় থেকে আজ দেশে ফিরেছেন তিনি। এত বড় ঘটনার পরেও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আমেরিকায় ছিলেন কেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছিল। শিন্দের ফেরা নিয়েও তখন কিছু জানানো হয়নি। আজ শিন্দে জানান, ২৯ তারিখে আমেরিকায় এক চিকিৎসকের সঙ্গে অ্যাপয়েন্টমেন্ট ছিল তাঁর। চিকিৎসক মালয়েশিয়া যাওয়ায় ফিরতে দেরি হয়েছে তাঁর।
|
টুজি স্পেকট্রাম মামলায় অনিল অম্বানী ও তাঁর স্ত্রী টিনাকে সাক্ষী হিসেবে তলব করার আর্জি জানাল সিবিআই। আজ দিল্লির বিশেষ আদালতে সিবিআই জানিয়েছে, ওই মামলায় কিছু নতুন সাক্ষ্যপ্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। তাই অনিল ও টিনাকে তলব করা উচিত। ওই মামলায় অভিযুক্তদের তালিকায় রয়েছে অনিলের নিয়ন্ত্রণাধীন সংস্থা রিলায়্যান্স টেলিকম লিমিটেড। |