|
|
|
|
হয়নি তেলেঙ্গানা, দল ছাড়ার ঘোষণা কেশবের
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
পৃথক তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠনের প্রশ্নে দলীয় হাইকম্যান্ডের সিদ্ধান্তহীনতায় শেষে কে কেশব রাওয়ের নেতৃত্বে দল ছাড়ার কথা ঘোষণা করলেন কংগ্রেসের দুই সাংসদ। তেলেঙ্গানা রাষ্ট্র সমিতিতে (টিআরএস) যোগ দেবেন বলে জানিয়েছেন তাঁরা। পরে টিআরএস নেতা কে টি রাম রাও জানান, আনুষ্ঠানিক ভাবে ২ জুন টিআরএসে যোগ দেবেন এই কংগ্রেস নেতারা।
এক সময় কংগ্রেসের পক্ষে পশ্চিমবঙ্গের দায়িত্বে ছিলেন কেশব রাও। ২০০৯ সালে জোট গঠনের প্রক্রিয়ার সময় তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছিলেন। পরে পৃথক তেলেঙ্গানা রাজ্যের দাবিতে আন্দোলনে গতি এলে তিনি নিজের রাজ্যে ফিরে আসেন। কিন্তু পৃথক তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠনের দাবি নিয়ে কংগ্রেস কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সিদ্ধান্তহীনতার জন্য শেষ পর্যন্ত দল ছাড়ার ঘোষণা কথা ঘোষণা করলেন তিনি। অনেকেই তাই বলছেন, এমনটা যে হতে চলেছে, তা প্রত্যাশিত ছিল। দলের একটি অংশের বক্তব্য, এর ফলে লোকসভা ভোটের আগে কিছুটা ধাক্কা খেল কংগ্রেস। দলের কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের আশঙ্কা ছিল, তেলেঙ্গানা গঠন করে দিলে এমন ছোট রাজ্যের দাবিতে দেশ জুড়ে আগুন জ্বলবে। গোর্খাল্যান্ড, বিদর্ভ, হরিৎপ্রদেশ-সহ দেশ জুড়ে পৃথক রাজ্যের দাবিতে আন্দোলন শুরু হয়ে যাবে। তাতে লোকসভা ভোটের আগে বিপদ বাড়বে মনে করেই তেলেঙ্গানা নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন নেতৃত্ব। দলের অনেকেই কিন্তু মনে করছেন, হাইকম্যান্ডের এই দ্বিধার ফলে তেলেঙ্গানার কংগ্রেস নেতাদের রাজনৈতিক অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে পড়েছে। তাই তাঁরা আগেই তেলেঙ্গানার দাবিতে টিআরএসের সঙ্গে সুর মিলিয়েছিলেন। তার নেতৃত্বে ছিলেন প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি কেশব রাও।
কেশব আজ বলেন, “পৃথক তেলেঙ্গানা গঠনের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে সময় দিয়েছিলাম। কিন্তু হাইকম্যান্ড যখন কোনও ইতিবাচক সিদ্ধান্ত নিল না, তখন দলত্যাগ করা ছাড়া উপায় নেই।” কেশবের এ দিন দল ছাড়েন দুই সাংসদ জি বিবেকানন্দ এবং এম জগন্নাথ।
তেলেঙ্গানার ১৭টি লোকসভা আসনের মধ্যে ১২টি কংগ্রেসের দখলে। বাকিরা কিন্তু এখনও কেশবের পথে হাঁটেননি। অনেকের মতে, দল ছাড়ার ঘোষণা করে কেশব হয়তো এ ভাবে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে চাপে ফেলতে চাইছেন তিনি। |
|
|
|
|
|