|
|
|
|
|
পল্লি বাংলাদেশ নিয়ে
ছবিটা করা হল না
হাসানুল হক ইনু
(তথ্যমন্ত্রী, বাংলাদেশ) |
|
এই সে দিন শেষ বার যখন কলকাতায় গিয়েছিলাম, তখনও তাঁর সঙ্গে দেখা হয়েছে। অজস্র পরিকল্পনা নিয়ে আমরা কথা বলেছি। মুগ্ধ হয়েছি তাঁর পাণ্ডিত্যে, উষ্ণ আন্তরিকতায়। কিন্তু এক বারের জন্যও ভাবিনি, ঋতুপর্ণ ঘোষের সঙ্গে এ দেখাই আমার শেষ দেখা হতে চলেছে। সাতসকালে তাঁর প্রয়াণের খবর পেয়ে আমি যেমন স্তম্ভিত, তেমনই বিচলিত। বলা ভাল, ভারী বিপন্ন বোধ করছি।
দুই বাংলার চলচ্চিত্র শিল্পের মধ্যে একটা যোগাযোগ তৈরির জন্য যে উদ্যোগ শুরু হয়েছে, তা নিয়ে প্রবল আগ্রহ ছিল ঋতুপর্ণবাবুর। প্রসেনজিৎ, গৌতম ঘোষ ও আরও দু-এক জনের সঙ্গে তিনি এ ব্যাপারে একেবারে নেতৃত্বে ছিলেন। দু’দেশে বাংলা ছবির অভিন্ন বাজার নিয়ে তাঁর একটা স্বপ্ন ছিল। সেই স্বপ্ন পূরণই হবে ঋতুপর্ণবাবুর প্রতি যথার্থ শ্রদ্ধা নিবেদন। বলেছিলেন, পল্লি বাংলাদেশের পটভূমিতে একটা ছবির কথা তাঁর ভাবা আছে। হাতের কিছু কাজ সেরে নিয়ে তিনি সেই চিত্রনাট্যটি চূড়ান্ত করবেন। আমি বলেছিলাম, “ছবি করুন, বাংলাদেশের মানুষ আপনার পাশে থাকবে।” সব কাজ পড়ে রইল, মানুষটিই আজ নেই।
ছেলেবেলায় মুক্তিযুদ্ধ তাঁকে কী ভাবে উদ্বেলিত করেছিল, তা ঋতুপর্ণ প্রায়ই বলতেন। পরে এ নিয়ে তিনি যে অনেক পড়াশোনা করেছিলেন, আলোচনায় বুঝেছি। এই মুক্তিযুদ্ধ নিয়েই দু’দেশের যৌথ উদ্যোগে একটি প্রামাণ্য চিত্র তৈরির কথা বার বার ভেবেছি। দিল্লির সঙ্গে কথাও বলেছি। আজ বলতে বাধা নেই, চেয়েছিলাম ঋতুপর্ণই সেই ছবি পরিচালনার দায়িত্বে থাকুন। হয়তো সে ছবি হবে। কিন্তু তিনি আর রইলেন না। |
|
|
|
|
|