টুকরো খবর
|
হিমাংশুদের হেফাজতে চাইল সিআইডি
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
নন্দীগ্রাম ‘নিখোঁজ-কাণ্ডে’র তদন্ত করতে জেল হেফাজতে থাকা হিমাংশু দাস-সহ ৯ জনকে নিজেদের হেফাজতে চাইল সিআইডি। বুধবার হলদিয়া এসিজেএম আদালতে অভিযুক্তদের সাত দিনের জন্য হেফাজতে চান সিআইডি-র তদন্তকারী আধিকারিকরা। তবে অভিযুক্তরা এ দিন হাজির ছিলেন না আদালতে। তাই আবেদন গ্রহণ করে আজ, বৃহস্পতিবার হলদিয়া আদালতে ওই ৯ জনকে হাজির করার নির্দেশ দিয়েছেন ভারপ্রাপ্ত এসিজেএম শর্মিষ্ঠা দত্ত রায়। ২০০৭ সালের ১০ নভেম্বর নন্দীগ্রামের ভূমি-উচ্ছেদ প্রতিরোধ কমিটির মিছিলে হামলার পরে বেশ কয়েকজন নিখোঁজ হয়ে যান। হাইকোর্টের নির্দেশে পরে এই ঘটনার তদন্তে নামে সিআইডি। ২০১২ সালের জানুয়ারিতে ৮৮ জন অভিযুক্তের বিরুদ্ধে চার্জশিট দেয় সিআইডি। লক্ষ্মণ শেঠ, অশোক গুড়িয়া, অমিয় সাহু-সহ গ্রেফতার করা হয় অনেককে। পরে লক্ষ্মণবাবুরা জামিনে মুক্তও হন। ইতিমধ্যে আদালতে আত্মসমর্পণ করতে থাকেন এই মামলায় অভিযুক্ত সিপিএম নেতা-কর্মীরা। গত ১৬ মে তমলুক জেলা দায়রা আদালতে আত্মসমর্পণ করেন হিমাংশ দাস-সহ কয়েকজন। তাঁদের জেল হেফাজত হয়। জেলে হিমাংশু দাস, রবিউল হুসেনদের জেরার জন্য তমলুক আদালতে আবেদন জানিয়েছিল সিআইডি। গত ২৪ মে জেলে গিয়ে জেরাও করে তারা। জেরায় কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়ার পরে এ দিন সিপিএম নেতা হিমাংশু দাস, রবিউল হুসেন, বিধান করণ, শম্ভু মাইতি, শক্তি দাস, বিশ্বজিৎ ধাড়া, সঞ্জয় পাত্র, শ্যামল কর ও শ্রীদাম পাইককে নিজেদের হেফাজতে চেয়ে আদালতে আবেদন জানায় সিআইডি। |
পুরনো খবর: হিমাংশু-সহ ৪ জনের এ বার আত্মসমর্পণ |
অকেজো পা নিয়ে কঠিন লড়াই সুজনের
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
|
ট্রাইসাইকেলে সুজন মল্লিক।—নিজস্ব চিত্র। |
চরম দারিদ্র ও প্রতিকূল পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করে মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হল পশ্চিম মেদিনীপুরের নয়াগ্রাম ব্লকের বাবুরাম পাথরা গ্রামের সুজন মল্লিক। জন্ম থেকেই সুজনের দু’টি পা অকেজো। সে হাঁটাচলা করতে পারে না। তবুও মনের জোরে পড়াশুনা চালিয়ে যাচ্ছে বছর সতেরোর এই কিশোর। প্রতিদিন ট্রাইসাইকেল চালিয়ে সাত কিমি দূরের খড়িকা ভীমার্জুন মহাকুল এসসি হাইস্কুলে গিয়ে পড়াশুনো করতে হয়েছে সুজনকে। মাধ্যমিকে ৬০ শতাংশ নম্বর (৪৪৪) পেয়েছে সে। সুজনের বাবা পেশায় দিনমজুর ফণীভূষণ মল্লিক কান্নায় ভেঙে পড়ে বলেন, “সংসার চালাতে দিনমজুরি কিংবা অন্য জেলায় নামাল খাটতে যেতে হয়। ছেলের পড়াশুনা চালিয়ে যাওয়ার মতো আমার আর্থিক সঙ্গতি নেই। মনের জোরে সুজন মাধ্যমিকে উত্তীর্ণ হয়েছে। স্কুল কর্তৃপক্ষও সাহায্য করেছেন।” সুজন বলে, “স্কুলে যতটুকু পড়তাম, সেটাই বাড়িতে গিয়ে ৪-৫ ঘন্টা ধরে অনুশীলন করতাম। আমার কোনও গৃহশিক্ষক ছিল না। একাদশে কলাবিভাগে পড়তে চাই। ভবিষ্যতে শিক্ষক হওয়ার স্বপ্ন দেখি।”
|
দুর্ঘটনায় মৃত বেড়ে তিন
নিজস্ব সংবাদদাতা • তমলুক
|
মঙ্গলবার দুপুরে কোলাঘাটের বরদাবাড়ের কাছে ৬ নম্বর জাতীয় সড়কে দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল তিন জন। মৃতদের নাম শেখ সামিদুল (৩২) , শেখ সইদুল (৩০) ও শেখ শহিদ আলি (৪৪)। পেশায় রাজমিস্ত্রি ওই তিন জনেরই বাড়ি স্থানীয় দক্ষিণ সাগরবাড় গ্রামে। এ দিন দুপুরে ওই তিন জন মোটর বাইকে চেপে বরদাবাড় বাজার থেকে বাড়ি ফেরার জন্য ৬ নম্বর জাতীয় সড়ক পার হওয়ার সময় কোলাঘাট থেকে খড়্গপুরগামীএকটি ছোট লরি ধাক্কা মারে। স্থানীয় বাসিন্দারা গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁদের তমলুক জেলা হাসপাতালে ভর্তি করেন। সেখানে সামিদুলের মৃত্যু হয়। পরে বাকি দু’জনকে কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে সেখ শহিদ আলি মারা যায়। রাতে কলকাতার এন আর এস হাসপাতালে মারা যায় সেখ সইদুল। পুলিশ জানিয়েছে , দুর্ঘটনায় অভিযুক্ত লরিটির খোঁজ চলছে।
|
শিক্ষক হতে চায় সমীর
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঝাড়গ্রাম |
শৈশবে বাবাকে হারিয়েছিল নারায়ণগড়ের বাঁশচটি গ্রামের সমীর পাল। সংসার চালাতে মা বিমলাদেবীকে দিনমজুরি করতে হয়। সম্পর্কিত এক মামার দৌলতে নয়াগ্রাম ব্লকের খড়িকা ভীমার্জুন মহাকুল এসসি হাইস্কুলে পঞ্চম শ্রেণিতে ভর্তি হওয়ার সুযোগ মেলে। বিমলাদেবীর দারিদ্রের কথা বিবেচনা করে সমীরের হস্টেল খরচ মকুব করে দেন প্রধান শিক্ষক অনুপকুমার জানা। এবার মাধ্যমিকে ৭৬ শতাংশ নম্বর পেয়েছে (৫৩২) সমীর। সমীরের দুই দিদির বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ছোট বোন সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। সমীর জানায়, “ইচ্ছে থাকলেও আর্থিক কারণে বিজ্ঞান নিয়ে পড়া সম্ভব নয়। তাই কলাবিভাগেই পড়ব। ভবিষ্যতে শিক্ষক হতে চাই।”
|
গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হল এক মোটরবাইক আরোহী যুবকের। বুধবার ভোরে দাসপুর থানার কলোড়ার ওই ঘটনায় মৃত যুবকের নাম অরবিন্দ দাস (২৪)। বাড়ি দাসপুরের ভগবানচক গ্রামে। পুলিশ সূত্রে খবর, ঘাটালের খড়ারে মঙ্গলবার বিকেলে মোটর বাইকে করে শীতলা পুজো দেখতে গিয়েছিলেন তিনি। বুধবার ভোরে বাড়ি ফেরার সময় এক গাড়ির ধাক্কায় অরবিন্দবাবু গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসা শুরুর আগেই এ দিন সকালে মারা যান তিনি। গাড়িটিকে ধরা যায় নি।
|
উচ্চশিক্ষা নিয়ে সংশয়ে দোলা
নিজস্ব সংবাদদাতা • হলদিয়া |
ইচ্ছে ছিল চিকিৎসক হওয়ার। পারিবারিক অবস্থার কথা ভেবে স্বপ্নটা কেটেছেঁটে অঙ্কের শিক্ষিকা করেছেন। হলদিয়ার আমলাট গ্রামের দোলা মান্না এ বার মাধ্যমিকে ৫৮৮ নম্বর পেয়েও উচ্চশিক্ষা নিয়ে সন্দিহান। সুতাহাটা লাবণ্যপ্রভা বালিকা বিদ্যালয়ের ছাত্রী দোলার বাবা গুরুপদ মান্না দার্জিলিংয়ে ওয়েল্ডিং মিস্ত্রির কাজ করেন। যে টাকা পাঠান, তাতে হয় না বলে মা কাজলদেবী বাড়িতে ঠোঙা বানান। দোলার মাধ্যমিকে ফল যত ভালই হোক, পরিবারের যা আর্থিক অবস্থা, তাতে পড়াশোনা কতদূর হবে তা নিয়ে সন্দিহান কাজলদেবী। দোলার স্কুলের প্রধান শিক্ষিকা কনা পাল বলেন, “ওর মতো কৃতী ছাত্রী পিছিয়ে পড়ুক চাই না। স্কুলের তরফে যা সাহায্য করার করব। ”
|
দারিদ্রের সঙ্গে যুঝে কৃতী ঈশিত্ব
নিজস্ব সংবাদদাতা • এগরা |
শিক্ষকেরা এত দিন বই-খাতা দিয়ে সাহায্য করেছেন। কিন্তু উচ্চশিক্ষার খরচ জোগাবে কে? মাধ্যমিকে ৬৪৪ পেয়েও তাই দুর্ভাবনায় দিন কাটছে এগরার অস্তিচক সুরেন্দ্র যোগেন্দ্র বিদ্যাপীঠের ঈশিত্ব দাসের। বিষয়ভিত্তিক নম্বরগুলি হল বাংলা ৮৪, ইংরাজি ৮৭, অঙ্ক ৯৮, ভৌতবিজ্ঞান ৯৬, জীবনবিজ্ঞান ৯৭, ইতিহাস ৯০, ভূগোল ৯২। বাবা গৌতম দাস টিউশনের পাশাপাশি নার্সারি স্কুলে পড়িয়ে সামান্য আয় করেন। ঈশিত্বের যাবতীয় পড়াশোনা স্কুলের শিক্ষকদের কাছেই। প্রিয় বিষয় অঙ্ক। ইচ্ছা অঙ্ক নিয়েই গবেষণা করা। উচ্চ মাধ্যমিকে কোনও মিশন স্কুলে পড়তে চায় ঈশিত্ব।
|
ছাদ থেকে পড়ে মৃত্যু
নিজস্ব সংবাদদাতা • ঘাটাল |
ছাদ থেকে অসাবধানতাবশত পড়ে গিয়ে মৃত্যু হল এক প্রৌঢ়ের। মঙ্গলবার ঘাটাল থানার শ্যামসুন্দরপুরে ঘটনাটি ঘটে। মৃতের নাম নলিনী ঘোড়ুই (৫৯)। স্থানীয় সূত্রে খবর, বাড়ির ছাদে কাজ চলায় নলিনীবাবু কাজ দেখতে ছাদে উঠেছিলেন। আচমকাই ছাদ থেকে মাটিতে পড়ে যান তিনি। সঙ্গে সঙ্গে তাঁকে ঘাটাল মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এ দিন সন্ধ্যায় মারা যান তিনি।
|
স্মারকলিপি
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
কাঁথি ও তমলুক মহকুমার নিত্যযাত্রীদের জন্য আরও লোকাল ট্রেন চেয়ে মঙ্গলবার দক্ষিণ পূর্ব রেলের খড়্গপুর ডিভিশন্যাল ম্যানেজারের কাছে স্মারকলিপি জমা দিল দিঘা-সাঁতরাগাছি রেলওয়ে প্যাসেঞ্জার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন।
|
বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে মৃত্যু |
রামনগর-২ ব্লকের বাদলপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের গোপালপুরে মঙ্গলবার তড়িদাহত হয়ে এক ব্যাক্তির মৃত্যু হয়েছে। মৃত ব্যাক্তির নাম দেবদাস মাইতি (৪৩)। |
|