পঞ্চায়েত ভোটের আগে একজোট তন্ময়-বনবিহারী
ভোট বড় বালাই! পঞ্চায়েত ভোটের আগে তৃণমূলের লালগড় ব্লক সভাপতি বনবিহারী রায় ও ব্লক যুব সভাপতি তন্ময় রায়ের মধ্যে সম্পর্কের বরফ গলল। গত দু’মাস ধরে এই দুই নেতার মধ্যে মুখ দেখাদেখি বন্ধ ছিল। মঙ্গলবার লালগড়ে একসঙ্গে দলীয় বৈঠক করলেন দুই নেতা। স্থানীয় একটি স্কুলঘরে দলের লালগড় অঞ্চল কমিটির বৈঠকে হাজির ছিলেন বনবিহারীবাবু ও তন্ময়। বৈঠকে তন্ময় বলেন, “এলাকায় জমি ফিরে পাওয়ার জন্য সিপিএম সুযোগ করছে। ওদের এক ইঞ্চিও জমি ছাড়ব না।” আর তন্ময়কে পাশে বসিয়ে বনবিহারীবাবু কর্মীদের উদ্দেশ্যে বললেন, “বিভেদ ভুলে এক হয়ে চলতে হবে। আমাদের আরও সংযত হতে হবে।”
মঙ্গলবার লালগড় ব্লক অফিসে প্রশাসনের ডাকা সর্বদলীয় বৈঠকেও হাজির ছিলেন বনবিহারীবাবু ও তন্ময়। দুই নেতাকে পাশাপাশি বসে কথা বলতেও দেখা যায়। বুধবার ফের লালগড়ে পঞ্চায়েত নির্বাচন সংক্রান্ত দলের একটি বৈঠকে হাজির ছিলেন দুই নেতা। বৈতা ও ধরমপুর অঞ্চলে দলের দুই গোষ্ঠীর মধ্যে বিরোধ মেটানোর জন্য ওই বৈঠক ডাকা হয়েছিল। সম্পর্ক জোড়া লাগার বিষয়টি নিয়ে বনবিহারীবাবুর বক্তব্য, “দলের মধ্যে অনেক সময় নানা কারণে ভুল বোঝাবুঝি হতে পারে। কিন্তু সংবাদমাধ্যম সেটাকে রং চড়িয়ে বড় করে দেখায়।” আর তন্ময়ের বক্তব্য, “পুরনো কথা নিয়ে ভাববার সময় নেই। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন রয়েছে। দল ও সংগঠনের কাজে ভীষণ ব্যস্ত রয়েছি।”
গত মার্চে ‘অধিকার’ প্রকল্পে গবিরদের বাড়ি তৈরির টাকা বিলি নিয়ে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে আসে। দলের একাংশের বিরুদ্ধে স্বজনপোষণের অভিযোগ তুলে পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি তন্ময় রায়। তাঁর অভিযোগের নিশানায় ছিলেন দলের ব্লক সভাপতি বনবিহারী রায়। অভিযোগটি প্রকাশ্যে আসায় তন্ময়ের বিরুদ্ধে সংবাদমাধ্যমে বিষোদ্গার করেছিলেন বনবিহারীবাবুও। এরপরই লালগড়ে দলের দুই গোষ্ঠীর বিরোধ চরম পর্যায়ে পৌঁছয়। গত ১২ এপ্রিল লালগড়ে তৃণমূলের এক কর্মিসভার পর অবশ্য তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী সংবাদমাধ্যমকে জানান, “তন্ময় রায়কে সংগঠনের কাজ চালিয়ে যেতে বলা হয়েছে।” তৃণমূল সূত্রের খবর, তন্ময়কে বাইরে রেখে পঞ্চায়েত ভোট করার ঝুঁকি নিতে রাজি হয়নি দলের একাংশ। ওই মহলের মতে, তন্ময়কে দলের বাইরে রাখলে সংগঠনেরই ক্ষতি। অধিকার প্রকল্পের বিষয়টি নিয়ে জনমানসে বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি হয়েছে। এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে তন্ময় রায়কে মাঠে নামানোর পক্ষে মত দেন দলের জেলা নেতৃত্ব। তারপরই বিরোধিতা দূরে সরিয়ে হাত মেলায় বিবদমান দু’পক্ষ।


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.