ফের আলু কেলেঙ্কারিতে নাম জড়াল আরামবাগের একটি কৃষি সমবায়ের।
সম্প্রতি হুগলি জেলা সমবায় দফতরের তদন্তে ধরা পড়েছে নৈসরাইয়ের দ্বারকেশ্বর কৃষি উন্নয়ন সমিতির পক্ষ থেকে ২০১০ সালে সরকারি সহায়ক মূল্যে আলু কেনায় অনিয়ম হয়েছে।
জেলা সমবায় উন্নয়ন আধিকারিক শঙ্করকুমার দাস জানিয়েছেন, তদন্ত-রিপোর্ট ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। পরবর্তী পদক্ষেপ তাঁরা করবেন। ওই সমিতির কর্তারা অবশ্য আলু কেনায় অনিয়মের কথা মানেননি।
জেলা সমবায় সমূহের সহকারী নিবন্ধক বিজয় হালদার বলেন, “আলু কেনাকে কেন্দ্র করে দ্বারকেশ্বর কৃষি সমবায় সমিতির ত্রুটি পাওয়া গিয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।” আরামবাগেরই বাছানরী, কাবলে এবং প্রতাপনগর কৃষি উন্নয়ন সমিতির বিরুদ্ধে একই রকম দুর্নীতির অভিযোগে ২০১০ সালের জুলাই মাসে সরব হয় ফরওয়ার্ড ব্লক এবং সিপিআই। তিনটিরই পরিচালন সমিতি ছিল সিপিএমের দখলে। মহকুমা থেকে রাজ্য স্তর পর্যন্ত কয়েক দফায় চলে প্রশাসনিক তদন্ত।
২০১২ সালের ১৭ অক্টোবর জেলা প্রশাসনের তরফে আরামবাগ থানায় তিনটি সমিতির ১৩ জন কর্তার নামে এফআইআর দায়ের করা হয়। তাঁদের মধ্যে এক জনকে পুলিশ পরে গ্রেফতারও করে। কিছু দিনের মধ্যেই বাকি দু’জন আদালতে আত্মসমর্পণ করেন। সকলেই এখন জামিনে রয়েছেন। পুলিশের খাতায় বাকি অভিযুক্তেরা পলাতক।
২০১০ সালেই দ্বারকেশ্বর কৃষি উন্নয়ন সমিতির সিপিএম পরিচালিত পরিচালন সমিতির বিরুদ্ধে সরকারি সহায়ক মূল্যে আলু কেনা নিয়ে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে ক্ষোভ-বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয় তৃণমূল নেতৃত্ব। তদন্তেরও দাবি ওঠে। ওই বছরেরই জুলাই মাস থেকে তদন্ত শুরু করে জেলা সমবায় দফতর। তদন্ত শেষ হয় চলতি বছরের জানুয়ারিতে।
তদন্তকারী অফিসার তথা জেলা সমবায় উন্নয়ন আধিকারিক শঙ্করকুমার দাস বলেন, “তদন্তে দেখা গিয়েছে, মাস্টার-রোলে নাম থাকা অনেক চাষি লিখিত ভাবে জানিয়েছেন তাঁরা ওই সমবায়কে আলু বিক্রি করেননি। কিছু চাষির সই মেলেনি। দুই ব্যবসায়ী লিখিত ভাবে জানিয়েছেন, তাঁরা সাড়ে পাঁচ হাজার বস্তা আলু সমিতিকে বাজারদরে বিক্রি করেছেন। ওই এলাকায় একমাত্র পারআদ্রা মৌজায় আলু চাষ হয়। সমিতি যত পরিমাণ আলু কেনা হয়েছে বলে খাতায়-কলমে দেখিয়েছে, তত আলু ওই এলাকায় চাষ হয় না।”
দ্বারকেশ্বর কৃষি উন্নয়ন সমিতির সভাপতি তথা জেলা পরিষদে সিপিএমের পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ মোজাম্মেল হোসেনের দাবি, “আলু কেনা নিয়ে কোনও গরমিল হয়েছে বলে আমার জানা নেই।” একই দাবি সমিতির সম্পাদক স্বপনকুমার কার্ফারও।
জয়পুরে প্রশিক্ষণ শিবির। সম্প্রতি ব্রতচারী ও শারীরবিদ্যা প্রশিক্ষণ শিবির হয়ে গেল হাওড়ার জয়পুরের খলিয়ায়। আয়োজক ছিল বালিচক যোগব্যায়াম মন্দির।
শিবিরটি হয় খলিয়ার ইউনিয়ন হাইস্কুলের মাঠে। শিবিরে যোগব্যায়াম, জিমন্যাস্টিক, কবাডি, খো খো-সহ নানা খেলার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ছিল প্রাথমিক চিকিত্সার প্রশিক্ষণ। উপস্থিত ছিলেন অধ্যক্ষ অরুণ পাল, পশ্চিমবঙ্গ শারীরবিদ্যা প্রশিক্ষণ সমিতির কর্তা সুনীলকুমার পাত্র-সহ আরও অনেকে। |