আলু কেলেঙ্কারির এফআইআর দায়ের |
বছর দুয়েক আগে রাজ্যে ‘আলু কেলেঙ্কারি’র ঘটনায় এফআইআর দায়ের করল কৃষি বিপণন দফতর। বুধবার আরামবাগ থানায় ওই এফআইআর দায়ের করেন রাজ্যের কৃষি বিপণন দফতরের উপ-অধিকর্তা সুনীতকুমার পাল। তাতে ১৩ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে। তার মধ্যে হুগলির তৎকালীন অত্যাবশ্যকীয় পণ নিগমের পারচেজ অফিসার-সহ বেশ কয়েকটি সমবায় সমিতির কর্তাদের নাম রয়েছে। ওই দফতর সূত্রে জানা গিয়েছে, পর্যায় ক্রমে আরও কয়েকটি থানায় একই এফআইআর দায়ের করা হবে। তার ভিত্তিতে তদন্ত করবে সিআইডি। প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০১০ সালে অভাবী বিক্রি রুখতে চাষিদের কাছ থেকে সরকারি সহায়ক মূল্যে আলু কেনাকে কেন্দ্র করে দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে রাজ্যের বেশ কিছু সমবায় সমিতির বিরুদ্ধে। অভিযোগ, সমিতিগুলি অতি সস্তায় আলু কিনে ভুয়ো নামে তা হিমঘরে জমা রাখে। উদ্দেশ্য ছিল সরকারি সহায়ক মূল্য আদায়। অনেক ক্ষেত্রে আবার আলু কেনা হয়নি। কিন্তু খাতায়-কলমে কেনা সেই ‘অস্তিত্বহীন’ আলুও হিমঘরে জমা রাখা ছিল স্রেফ কাগজে-কলমেই। দু’ক্ষেত্রেই সহায়ক মূল্য বাবদ বেরিয়ে গিয়েছে সরকারি কোষাগারের প্রায় চারশো কোটি টাকা। এই ‘আলু কেলেঙ্কারি’ নিয়েই গত ১১ মে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। প্রাথমিক তদন্তের পরে অনিয়ম ধরা পরেন বলে সিআইডি মুখ্যমন্ত্রীকে দেওয়া রিপোর্টে দাবি করে। বুধবার সেই রিপোর্টের প্রেক্ষিতে আরামবাগ থানায় এফআইআর দায়ের হল বলে সংশ্লিষ্ট দফতর সূত্রের খবর।
|
ঘরছাড়াদের ফেরাতে উদ্যোগী প্রশাসন |
উৎসবের মরসুমে রাজনৈতিক কারণে ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরাতে উদ্যোগী হল হুগলি জেলা প্রশাসন। জেলাশাসকের উপস্থিতিতে বুধবার আরামবাগ মহকুমা প্রশাসনের দফতরে সর্বদলীয় বৈঠকে এ নিয়ে প্রাথমিক ঐক্যমত্য হয়েছে বলে প্রশাসন সূত্রে জানা গিয়েছে। এত দিন তৃণমূলের তরফেই এমন অভিযোগ উঠত। এ বার পরিস্থিতি ভিন্ন। গত ৪ অক্টোবর আরামবাগ মহকুমার খানাকুল, গোঘাট, পুড়শুড়া এবং আরামবাগের সিপিএম জোনাল নেতারা মহকুমাশাসক অরিন্দম রায়ের কাছে ঘরছাড়াদের ঘরে ফেরানোর ব্যাপারে উদ্যোগী হওয়ার দাবি জানিয়ে স্মারকলিপি দেন। জেলা শাসকের কাছেও একই মর্মে দাবি জানানো হয়। তৃণমূলের বিরুদ্ধেই সন্ত্রাসের অভিযোগ উঠেছে.। জেলা কংগ্রেসের তরফেও ঘরছাড়াদের ফেরানোর দাবি দাবি ছিল। বুধবারের বৈঠক সম্পর্কে জেলাশাসক মনোমিত নন্দা বলেন, “বৈঠক ফলপ্রসূ হয়েছে। রাজনৈতিক দলের নেতারা ঘরছাড়াদের যে তালিকা দিয়েছিলেন তা খতিয়ে দেখতে ব্লক প্রশাসনকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সেই তালিকা নিয়ে ব্লক স্তরে সর্বদল বৈঠক ও অনুষ্ঠিত হবে। সিদ্ধান্ত হয়েছে, বর্তমানে ঘরছাড়া যে সকল ব্যক্তির বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা নেই তাঁদেরকে ঘরে ফিরতে সহযোগিতা করবে প্রশাসন।” পাশাপাশি সমস্ত রাজনৈতিক দলকে উৎসবের সময়ে মিছিল, মিটিং থেকে বিরত থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন জেলাশাসক। তৃণমূল বিধায়ক পারভেজ রহমান বলেন, “সিপিএম করার অপরাধে কাউকে ঘরছাড়া করা হয়নি। আমাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসের অভিযোগও মিথ্যা। সকলে ঘরে ফিরে আসুন। তবে দুর্বৃত্তরা এলে সাধারণ মানুষ প্রতিবাদ করবেন।” |