ফের রেলসেতু নির্মাণের কাজে বাধা |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নলহাটি |
জমি জটে ফের বাধা পেল হাওড়া ডিভিশনের ব্রাহ্মণী নদীর উপরে রেললাইন নির্মাণের কাজ। এর ফলে যে কাজ ১৮ মাসের মধ্যে শেষ হওয়ার কথা সেই কাজ ৫ বছর হতে চলল। এখনও তা শেষ হয়নি। এর জন্য রেল কর্তৃপক্ষ সরাসরি ভাবে জমি অধিগ্রহণ সংক্রান্ত জটিলতাকে দায়ী করেছেন। এই কাজের জন্য যাঁদের জমি নেওয়া হয়েছে ওই সব জমি মালিকদের একাংশ এখনও জমির ক্ষতিপূরণের মূল্য নিয়ে অসন্তুষ্ট। তাই মাঝে মধ্যে নলহাটির জগধারী গ্রাম সংলগ্ন ব্রাহ্মণী নদীর উপরে নির্মীয়মাণ রেল সেতুর কাজে বাধা দেন। মঙ্গলবারও জমি মালিকদের একাংশ মাটি ভরাটের কাজে বাধা দেন। রেলের হাওড়া ডিভিশনের (নির্মাণ) ডেপুটি চিফ ইঞ্জিনিয়ার রামেশ্বর প্রসাদ বলেন, “যে সমস্ত জমিদাতা এখনও পর্যন্ত ক্ষতিপূরণ বাবদ চেক নেননি, তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসার জন্য তিন-চার জনের প্রতিনিধিকে কাল, বৃহস্পতিবার হাওড়া অফিসে ডাকা হয়েছে। তবে কাজ চালু রেখেই আলোচনা হবে।” |
পুলিশি পাহারায় শুরু হয়েও বন্ধ মাটি ফেলার কাজ। মঙ্গলবার নলহাটিতে তোলা নিজস্ব চিত্র। |
রেল সূত্রের খবর, ২০০৬ সালের ১১ জুলাই বন্যায় নলহাটি থানার জগধারী গ্রাম সংলগ্ন ব্রাহ্মণী নদীর উপরে পুরনো রেলসেতুটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। মেরামতি করে ট্রেন চলাচল স্বাভাবিক করা হলেও বিপদের ঝুঁকি এড়াতে রেল কর্তৃপক্ষ নতুন সেতু নির্মাণে উদ্যোগী হন। ৩০০ মিটার লম্বা ওই সেতুর জন্য প্রয়োজন মাত্র ৫.৮৫৫ একর জমি। তার মধ্যে ৬২ জন চাষির কাছ থেকে ৪.৮৩৫ একর জমি অধিগ্রহণ করে রাজ্য সরকার। প্রশাসন সূত্রে জানা যাচ্ছে, ৩৭ জন চাষি ক্ষতিপূরণের চেক নিয়ে নিলেও ২৫ জন বেঁকে বসায় গোল সমস্যা তৈরি হয়। দাবি আদায়ে ‘কৃষিজমি রক্ষা কমিটি’ তৈরি করে জগধারী, পানিটা ও করিমপুর মৌজার চাষিদের একাংশ মাঝে মধ্যে কাজে বাধা দেন। এ দিন সকালে জমির মালিক কৈলাশ কেশরী, সুদীপ্ত বন্দ্যোপাধ্যায়, নরেন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায়রা জানতে পারেন রেল কর্তৃপক্ষ মাটি ভরাট করবে। ভালই নিরাপত্তা ব্যবস্থা ছিল। তবে যে সংস্থা কাজ করছিল তারা কোনও রকম সংঘাতে গিয়ে কাজ করতে রাজি হয়নি।
হাওড়া ডিভিশনের (নির্মাণ) সহকারী বাস্তুকার সঞ্জয় কুমার বলেন, “২০১১ সালের ১০ মার্চ রাজ্য সরকার ৪.৮৩৫ একর বেসরকারি মালিকানার জমি রেলের হাতে তুলে দিয়েছিল। অথচ জমি সংক্রান্ত জটিলতায় রেলের যেমন ক্ষতি হচ্ছে তেমনি গুরুত্বপূর্ণ এই সেতু নির্মাণে দেরি হচ্ছে।” রেলসেতু নির্মাণের দায়িত্বপ্রাপ্ত ইনপ্সেক্টর অব ওয়ার্কাস মুকেশ কুমার বলেন, “৭৫ শতাংশ কাজ শেষ। সেতুর কাজ শেষ হলেও সংযোগকারী ১২০০ মিটার রেল লাইন (ডাউন) তৈরির কাজ শেষ না হলে ট্রেন চলবে কী করে?”
কংগ্রেসের বিক্ষোভ। অবিলম্বে পরিমাণ মতো পানীয় জল সরবরাহ করা, ফুটপাথ দখলমুক্ত করে শহরকে যানজট থেকে রক্ষা করা-সহ ৭ দফা দাবিতে মঙ্গলবার তৃণমূল পরিচালিত বোলপুর পুরসভার চেয়ারম্যানকে স্মারকলিপি দিল বোলপুর ব্লক ও শহর কংগ্রেস। অবস্থান-বিক্ষোভ করে তারা। পুরপ্রধান সুশান্ত ভকত বলেন, “নাগরিক পরিষেবা যাতে বিঘ্নিত না হয় সে দিকে নজর রয়েছে। সুষ্ঠু ভাবে পানীয় জল সরবরাহ করার জন্য প্রয়োজনী ব্যাবস্থা নেওয়া হচ্ছে। অন্য দাবিগুলি নিয়ে আলোচনা করা হবে।”
|