ফের হাতির তাণ্ডবে অতিষ্ঠ গোয়ালতোড়ের বিস্তীর্ণ এলাকার বাসিন্দারা। কয়েকদিন আগেই গোয়ালতোড়ের বিভিন্ন এলাকায় ২০-২৫টি হাতির পাল ঘোরাঘুরি করে ফসলের ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি করেছিল। টানা চার দিন ধরে তাণ্ডব চালানোর পর ময়ূরঝর্নার ওই পালটিকে গভীর জঙ্গলে পাঠিয়ে দেন বনকর্মীরা। শনিবার বিকালে ফের ওই দলটি গোয়ালতোড়ের লোকালয়ে ঢুকে পড়ে। এদিন সন্ধ্যায় বাড়ি থেকে বাজারে যাওয়ার সময় গোয়ালতোড়ের কুঁদরিশোলের এক প্রৌঢ় ওই পালের সামনে পড়ে যান। দলছুট একটি হাতি তখন রতন মাহাতো (৫০) নামে ওই প্রৌঢ়কে শুঁড়ে আছড়ে ফেলে পা দিয়ে মাথায় আঘাত করে। ঘটনাস্থলেই মারা যান ওই প্রৌঢ়।
স্থানীয় ও বন দফতর সূত্রের খবর, ময়ূরঝর্নার ওই দলটিতে এ বার ৩০-৩৫টি হাতি রয়েছে। শনিবার বিকালে ওই দলটি চার ভাগে ভাগ হয়ে ব্লকের মাকলি ও জিরাপাড়া পঞ্চায়েতের কুঁদরিশোল, পেঁড়ুয়াবাদ, হাতিমশান, চেচুড়িয়া, কুলডাঙা, কেশিয়া, হাঁড়িমাড়া-সহ প্রায় ১৫-২০টি গ্রামে ঢুকে ফসলের ব্যাপক ক্ষতি করে। স্থানীয় মানুষের অভিযোগ, মাসের মধ্যে দু’বার হাতির পাল এসে সব্জি-সহ ধান, ঘর-বাড়ির ক্ষতি করলেও বন দফতরের হুঁশ নেই। রাতে বন দফতরের লোকজন ঘটনাস্থলে গেলে কর্মীদের ঘিরে বিক্ষোভও দেখান এলাকার মানুষ। রাতেই বন দফতরের লোকজন এবং স্থানীয় বাসিন্দারা বোমা ফাটিয়ে, হুলা জ্বালিয়ে পালটিকে পাথরপাড়া পঞ্চায়েতের রূপাঘাঘরার গভীর জঙ্গলে পাঠিয়ে দেয়। বন দফতরের ডিএফও (রূপনারায়ণ) রবীন্দ্রনাথ সাহা বলেন, “হাতির হামলায় এক ব্যাক্তির মৃত্যু হয়েছে। দেহটি উদ্ধার করে ময়না-তদন্তের জন্য মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে পাঠানো হয়েছে। মৃতের পরিবারকে এক লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।” রবীন্দ্রনাথবাবু আরও বলেন, “আচমকাই ময়ূরঝর্নার ওই পালটি গোয়ালতোড়ে ঢুকে পড়ে। রবিবার রাতেই পালটিকে দলমাতে পাঠানোর তোড়জোড় শুরু হয়েছে। আবেদন করলে ক্ষতিপূরণও দেওয়া হবে।”
|