রান্নার গ্যাস নিয়ে সাঁইথিয়াবাসীর ক্ষোভ দীর্ঘ দিনের। মাঝে মধ্যেই সংশ্লিষ্ট অফিসে এবং সিলিন্ডার ভর্তি ভ্যান আটকেও রাস্তায় বিক্ষোভ দেখিয়েছেন এলাকাবাসী। একই সমস্যা নিয়ে শুক্রবার ফের গ্যাসের অফিসে বিক্ষোভ দেখানো হয় শহর তৃণমূলের পক্ষ থেকে। দলের শহর সভাপতি মানস সিংহের অভিযোগ, “এই শহরে দীর্ঘদিন ধরে গ্যাস নিয়ে কালোবাজারি চলছে। বার বার প্রতিবাদ জানানো হলেও লাভ হয়নি।” তিনি জানান, দুর্গা পুজোর বেশ কিছুদিন আগে থেকে বাড়িতে বাড়িতে গ্যাস পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা বন্ধ করে দেন ডিলার। চালু হয় এক অদ্ভুত নিয়ম। |
সাঁইথিয়ায় গ্যাসের অফিসের সামনে জমায়েত।—নিজস্ব চিত্র। |
কী সেই নিয়ম? প্রথমে গ্রাহকদের গ্যাসের অফিসে গিয়ে টাকা জমা দিয়ে কুপন সংগ্রহ করতে হবে। সেই কুপন হাতে গুদামে গেলে গ্যাস পাবেন। এই ব্যাপারটা শুনতে যতটা সহজ বাস্তবে তা হয় না। গ্রাহকদের ক্ষোভ, “কুপন কাটার জন্য দীর্ঘক্ষণ লাইন দিতে হয়। সেখান থেকে কুপন সংগ্রহ করে গুদামে গিয়ে ফের লাইন দিতে হবে। এর ফলে ওই দিন গ্যাস পাওয়া যাবে কি না তারও নিশ্চয়তা নেই। এই সুযোগকে কাজে লাগাচ্ছে কালোবাজারিরা।”
বিক্ষোভকারীদের দাবি, এ দিন স্মারকলিপি দেওয়া হবে বলে আগেই বলা হয়েছিল। কিন্তু কর্তাব্যক্তি না থাকায় কর্মীরা স্মারকলিপি নিতে অস্বীকার করেন। তাই তাঁরা ক্ষোভে ফেটে পড়েন। ডিলার দেবাশিস সাহার সঙ্গে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, “বাবা অসুস্থ। তাই বাইরে আছি। গ্যাস সিলিন্ডার না পাওয়া ও কালোবাজারির অত্যাচারে গ্যাস নিয়ে বেশি সমস্যা হচ্ছে। এই পরিস্থিতির কারণে কুপনের ব্যবস্থা চালু করেছিলাম। ভেবেছিলাম কালোবাজারি বন্ধ হবে। কিন্তু বুঝেছি এটা ভুল হয়েছে। কয়েক দিনের মধ্যে বাড়িতে বাড়িতে গ্যাস পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করা হবে।” এ ব্যাপারে তিনি রাজনৈতিক দলগুলি ও প্রশাসনের সহযোগিতা চেয়েছেন। |