এক যুবককে খুনের অভিযোগ উঠল এক ব্যক্তির বিরুদ্ধে। যদিও অভিযুক্ত ইন্তু মাল দুই ছেলে ও স্ত্রীকে নিয়ে ঘটনার পর থেকে পালিয়েছে। রামপুরহাট পুরসভা এলাকার ঘটনা।
রবিবার নলহাটির কোগ্রামের বাসিন্দা বীরেন্দ্র মণ্ডল (৩০) নামে এক যুবকের ক্ষতবিক্ষত দেহ উদ্ধার হয় রামপুরহাটে ১৫ নম্বর ওয়ার্ডের নবপল্লি এলাকা থেকে। এর পরে ঘটনাস্থল থেকে রক্তের চিহ্ন দেখতে দেখতে প্রায় ২৫ মিটার দূরে ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের উত্তর মাঠপাড়ার একটি বন্ধ বাড়ি পর্যন্ত পৌঁছয় পুলিশ। সন্দেহ হওয়ায় তালা ভেঙে ওই বাড়িতে ঢুকতেই মেঝে, রান্না ঘরের দরজা ও দেওয়ালের বিভিন্ন জায়গায় রক্তের দাগ দেখতে পায় পুলিশ। মেঝেতে পড়ে থাকা রক্ত জল দিয়ে পরিষ্কার করা হয়েছে বলে পুলিশের অনুমান। সেখান থেকে রক্ত মাখা মোবাইল, ছেঁড়া জামাকাপড়, বঁটি উদ্ধার হয়।
তদন্তে পুলিশ জানতে পারে, ওই বাড়ির মালিক ইন্তু মাল এক জন রেলকর্মী। নলহাটির কোগ্রামে তাঁর বাড়ি হলেও বছর দেড়েক হল তিনি রামপুরহাটে আছেন। পেশায় বিমা কোম্পানির এজেন্ট বীরেন্দ্রবাবুর সঙ্গে অভিযুক্তের স্ত্রীর বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্ক ছিল বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। এ দিকে, নিহতের ভাই গাজলু মণ্ডল বলেন, “দাদা শনিবার রাতে ফোনে জানায়, রামপুরহাটের অফিসে কাজে ব্যস্ত। ফিরতে পারবে না। রবিবার সকালেও না ফেরায় খোঁজ করি। পরে রামপুরহাটে গিয়ে দেহ শনাক্ত করি।” দাদা রাতে ইন্তু মালের বাড়িতে ছিলেন এবং সেখানেই তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ গাজলুর। জেলা পুলিশ সুপার মুরলীধর শর্মা বলেন, “খুনের কারণ এখনও স্পষ্ট নয়। অভিযুক্তেরা পলাতক। তবে যে ভাবে দেহটি ক্ষতবিক্ষত অবস্থায় পড়েছিল, তাতে মনে হয়েছে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কের জেরে এই খুন।” |