বাড়ি থেকে খানিক দূরের মাটি খুঁড়ে বৃহস্পতিবার দুপুরে উদ্ধার করা হয়েছিল কুলপির কৃষ্ণচন্দ্রপুর গ্রামের সপ্তম শ্রেণির ছাত্রী অঞ্জলি জানার মৃতদেহ। তাকে খুনের অভিযোগে ওই গ্রামেরই বাসিন্দা অজয় জানা নামে এক যুবককে শুক্রবার বিকেলে কাকদ্বীপ এলাকা থেকে গ্রেফতার করল পুলিশ। অঞ্জলির বাবা সিদ্ধান্ত জানা অজয়ের বিরুদ্ধে খুনের লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন থানায়। পুলিশ জানিয়েছে, ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে। ধৃতকে আজ, শনিবার ডায়মন্ড হারবার মহকুমা আদালতে হাজির করানো হবে।
|
মগরাহাটের বিষমদ কাণ্ডে খোদ অভিযোগকারীই শুক্রবার সাক্ষ্য দিতে গিয়ে বিগড়ে যান। এই মামলায় অভিযোগকারী মুস্তাকিন লস্কর বৃহস্পতিবার আদালতে সাক্ষ্য দিতে আসেননি। এ দিন তিনি হাজির হন। সরকার পক্ষের আইনজীবী সর্বাণী রায় আসামির কাঠগড়ায় দাঁড়ানো ১২ জন অভিযুক্তের মধ্যে এক জনকে দেখিয়ে মুস্তাকিনকে বলেন, খোঁড়া বাদশা ওরফে নুর ইসলাম ফকিরকে আপনি চেনেন? সাক্ষী বলেন, “চিনি না। শুনেছি, তিনি মগরাহাটের বাসিন্দা।” ২০১১ সালের ১৪ ডিসেম্বর বিষমদ খেয়ে উস্তির বিভিন্ন এলাকায় ১৭২ জন মারা যান। খোঁড়া বাদশা সেই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত। আরও কয়েক জন অভিযুক্তের নাম করে সর্বাণীদেবী সাক্ষীকে জিজ্ঞাসা করেন, এঁদের চেনেন? সাক্ষী বলেন, “চিনি।” আইনজীবী বলেন, কী হিসেবে চেনেন? ওঁরা কীসের ব্যবসা করেন? সাক্ষী কয়েকটি প্রশ্নের উত্তর দিলেও অভিযুক্তেরা কী ব্যবসা করেন, তা জানা নেই না বলে জানান। তার পরেই সরকারি আইনজীবীর আবেদনক্রমে মুস্তাকিনকে ‘বিরূপ সাক্ষী’ ঘোষণা করেন বিচারক পার্থসারথি চট্টোপাধ্যায়। জামিনে মুক্ত অন্যতম অভিযুক্ত খইরুন্নেসা বেওয়ারের আইনজীবী সঞ্জয়কেতন ঘোষ অনুপস্থিত থাকায় মুস্তাকিনের সাক্ষ্য অসমাপ্ত থাকে। এ দিন জেল-হাজত থেকে অন্য ১১ জন অভিযুক্তকে আলিপুরের ষষ্ঠ অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজের আদালতে হাজির করানো হয়। সাক্ষ্যের পরবর্তী দিন ১৫ ও ১৬ জুলাই।
|
আপ শান্তিপুর লোকাল থেকে পড়ে গিয়ে দুই যুবকের মৃত্যু হয়েছে। শুক্রবার সন্ধ্যায় ওই দুর্ঘটনার প্রায় পাঁচ ঘণ্টা পরে রেল পুলিশ দেহ দু’টি উদ্ধার করে। তত ক্ষণ রেললাইনের ধারেই পড়ে থাকে দু’টি দেহ। রেল পুলিশ সূত্রের খবর, সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা নাগাদ সোদপুর স্টেশনের কাছে ওই ট্রেন থেকে পড়ে এক যুবক মারা যান। ট্রেনটি সোদপুর থেকে খড়দহের দিকে যাওয়ার সময় পড়ে গিয়ে প্রাণ হারান অন্য এক যুবক। প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্য, ভিড়ের চাপেই তাঁরা পড়ে যান। দমদম জিআরপি-র কর্মীরা রাত পৌনে ১২টা নাগাদ ঘটনাস্থলে পৌঁছন। এত দেরি কেন, জবাব মেলেনি। |