মধ্যরাতে গ্রেফতার গুরুনাথ
ড়ি ধরে এখন মারো টান, শ্রীনি হবে খানখান!
শুক্রবার রাত পৌনে একটা থেকে ভারতীয় ক্রিকেটে অন্দরমহলে এই ডাক উঠে গেল। এর আগে অবধি আওয়াজটা ছিল, শ্রীনিবাসন কি আদৌ পদত্যাগ করবেন? ব্রেকিং নিউজে জামাইয়ের গ্রেফতার হওয়ার খবর জেনে সেটা বদলে দাঁড়াল, শ্রীনিবাসন কখন ছাড়বেন? দুপুরবেলা তাঁকে জেটলি-জোটের তরফে প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, সেপ্টেম্বর অবধি আপনি সরে যান। তত দিনে তদন্তের হয়তো ফলও বেরিয়ে যাবে। সেই সময় পর্যন্ত অন্তবর্তিকালীন বোর্ড প্রেসিডেন্ট হোন দক্ষিণাঞ্চলের সবচেয়ে সিনিয়র কর্তা শিবলাল যাদব। বোর্ডের সংবিধান অনুযায়ী, অন্তবর্তিকালীন প্রেসিডেন্ট নিয়োগ করতে হলে সেই অঞ্চলেরই সবচেয়ে সিনিয়র লোক বাছতে হয়। শ্রীনি কিন্তু সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে দেন। মধ্যরাতের পর বোর্ড কর্তারা বলাবলি শুরু করে দেন, এ বার সরে যেতেই হবে। আর কোনও উপায় নেই। শ্রীনিবাসন যদিও গভীর রাতে বলেন, “আমি পদ ছাড়তে চাই না। এটা জামাইকে ব্যবহার করে আমাকে ফাঁসানোর ষড়যন্ত্র।”
জামাই গুরুনাথ গ্রেফতার হওয়ার পর অবশ্য পিঠোপিঠি প্রশ্ন উঠে যায়, ইডেনে হেরে যাওয়া রাজস্থান রয়্যালস কেন ফাইনাল খেলবে না? আইপিএলের নিয়ম অনুযায়ী তো ধোনির টিমের বাতিল হয়ে যাওয়ার কথা। যতই তাঁরা অস্বীকার করুন গুরুনাথ টিম মালিক ছিলেন না, বিপক্ষে অকাট্য প্রমাণ রয়েছে। এই রকম মিডিয়া-অধ্যুষিত সময়ে পার পাওয়াই সম্ভব নয়। সিএসকে-র ভাগ্য কী হবে, তা হয়তো ফাইনালের আগের দিনের জন্য ঝুলে রইল। আইপিএল আবিষ্কর্তা ললিত মোদীকে অতীতে সাসপেন্ড করা হয়েছে। কিন্তু গোটা টুর্নামেন্টের ভাগ্য নিয়ে এমন টালমাটাল তার ছ’বছরের ইতিহাসে নেই। ভারতীয় বোর্ডকে যেমন সার্বভৌম শাসন করতেন শ্রীনিবাসন। পতনের দিন যেন তাই তাঁর দিকে ব্যুমেরাংয়ের মতো ধেয়ে আসছিল।
আইপিএল সেমিফাইনালের দু’কূল ভাসিয়ে, ইডেনে সচিন বনাম দ্রাবিড় মহাভারতসদৃশ যুদ্ধকে বিবর্ণ করে দিয়ে গোটা ভারতীয় ক্রিকেট এমনকী দেশের রাজনৈতিক জীবনে অলক্ষ্যে উঠে এল এক অদ্ভুত সমীকরণও। শ্রীনিবাসনকে বোর্ড প্রেসিডেন্টের চেয়ার থেকে উৎখাতের জন্য রাজনৈতিক মইয়ের দু’প্রান্তে সক্রিয় হয়ে পড়লেন দুই বর্ষীয়ান নেতা। এক জন প্রকাশ্যে, এনসিপি-র শরদ পওয়ার। এক জন অলক্ষ্যে, বিজেপির অরুণ জেটলি। প্রথম জন প্রাক্তন বোর্ড প্রেসিডেন্ট। দ্বিতীয় জন এ বছরের সেপ্টেম্বরে পরবর্তী প্রেসিডেন্ট হিসেবে নথিভুক্ত, অর্থাৎ প্রেসিডেন্ট ইলেক্ট নির্বাচিত হওয়ার দৌড়ে অবিসংবাদী ফেভারিট।
এঁদের যে পরোক্ষ জোটও হতে পারে, ক্রিকেটমহল স্বপ্নেও ভাবেনি। ভাবেনি বিসিসিআই-এর মধ্যেই এমন ভাঙনের রেখা ফুটে আসবে যে, পরম বন্ধুরা একে অপরের বিরুদ্ধে অকস্মাৎ এককাট্টা হয়ে যাবেন। অবশ্য প্রাক্তন এক বোর্ড কর্তার কথায়, শ্রীনিবাসনের যে এমন ‘পচা শামুকে পা কাটার’ উপক্রম হবে সেটাই বা কে বুঝেছিল?
সন্ধেবেলা মুম্বইয়ের ক্রাইম ব্রাঞ্চে যখন গুরুনাথ মায়াপ্পন হাজিরা দিতে ঢুকেছেন, তখন ইডেনে টিভি ভাষ্যকারদের একটা অংশের মধ্যে যে পরিমাণ সর্বশেষ ব্রেকিং নিউজ জানার তৎপরতা লক্ষ করা গেল, তাতে কোথাও বোঝা সম্ভব নয় একটু পরে এখানেই একটা এত বড় ম্যাচ হতে যাচ্ছে। সচিন তেন্ডুলকরের জীবনেও সম্ভবত এক বারই এমন ঘটনা যখন আহত তিনি একটু পরে খেলবেন কি না, জানার কেউ কোনও আগ্রহই দেখাচ্ছে না। গোটা ভারতবর্ষের মতো ইডেনও তখন একটাই প্রশ্নের ব্যাকুল উত্তর চাইছে। গুরুনাথ ছাড়া পেলেন? নাকি পুলিশ রেখে দিল? শেষ ওভারে যখন তীব্র নাটক চলছে তখনও মনে হচ্ছিল ভাষ্যকারদের বোধহয় রীতেশ দেশমুখের মতোই অবস্থা। সোনি দেখবেন, না নিউজ চ্যানেল, বুঝে উঠতে পারছেন না।
বিকেলে লক্ষ্মণ শিবরামকৃষ্ণনের ঘাড়ে প্রচণ্ড ব্যথা হচ্ছে। কাতরাতে কাতরাতে ক্লাবহাউসের তিন তলায় তিনি হেঁটে যাচ্ছেন দেখে এক বন্ধু তাঁকে রসিকতা করে বললেন, “চেন্নাই মানেই এখন সমস্যা। তোরও কি একই ভাইরাস হল?” শিবা কিছুই বললেন না। থমথমে মুখে চলে গেলেন।
কাতরাতে থাকা শিবরামকৃষ্ণনই কিন্তু শুক্রবারের বিধ্বস্ত চেন্নাই! চেন্নাইবাসী নন অথচ চেন্নাইয়ের প্রবল সমর্থক এক প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার তখন বলছিলেন, “সিএসকে যেমন ম্যাচে দেরিতে ফেরে কিন্তু ম্যাচটা
জিতে নেয়, এখানেও তা-ই হবে। শ্রীনিবাসন ছেড়ে দেওয়ার পাত্রই নন।” তখনও তিনি মনে করছেন, গুরুনাথ ছাড়া পেলেই খেলা ঘুরে গেল। শ্রীনিবাসন আবার পরিস্থিতি আয়ত্তে নিয়ে নেবেন। কিন্তু একই সঙ্গে এ-ও মেনে নিয়েছিলেন, পরিস্থিতি ক্রমশ আয়ত্তের বাইরে চলে যাচ্ছে। আর সিএসকে যে কত ভয় পেয়েছে, বোঝাই যাচ্ছে তারা নিজেদের ওয়েবসাইট থেকে সর্বত্র গুরুনাথের নাম সরিয়ে নেওয়ায়। আসলে আইপিএলে ১১.৩ ক্লজ অনুযায়ী, টিম প্রধান প্রাথমিক বিচারে দোষী সাব্যস্ত হলে সেই টিমই টুর্নামেন্ট থেকে বাতিল হয়ে যাবে। গুরুনাথকে সরিয়ে রাখাটা তারই অসীম গুরুত্বপূর্ণ পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। যা বোঝাই যাচ্ছে আইনজীবীদের সঙ্গে পরামর্শ করে বোর্ড প্রধান নিয়েছেন। ভারতীয় বোর্ডের এক প্রভাবশালী মুখ অবশ্য তখন বলছেন, “আরে এ ভাবে কি পারবে নাকি? টিভি ফুটেজ রয়েছে। ছবি রয়েছে যে গুরুনাথই টিম চালক। ডাগআউটের পাশে ছবি রয়েছে। এখন নাম সরিয়ে নিলে কী হবে? দিনকে রাত করা সম্ভব না।”
রাহুল দ্রাবিড় এ দিন ইনিংসের শুরুতেই তাঁর বন্ধুর মাঠে এমন তেজিয়ান ‘গাঙ্গুলি’ হয়ে উঠবেন কে ভেবেছিল? যে ভাবে মিচেল জনসনের গালাগালের জবাবে তিনি পাল্টা তেড়ে গেলেন, সেই রাহুলকে বহু বহু বছর ক্রিকেট মাঠ দেখেনি। কিন্তু তার চেয়ে অনেক আশ্চর্যজনক এ দিন আনন্দবাজারের কাছে দিল্লি ক্রিকেট সংস্থার কোষাধ্যক্ষ যা দাবি তুললেন। তিনি নরেন্দ্র বাখরা, ডিডিসিএ সভাপতির ডান হাত বলে পরিচিত। আর সেই সভাপতির নাম অরুণ জেটলি। বছর তিনেক আগে ললিত মোদীকে উৎখাতের সময় তিনি শ্রীনিবাসনের সঙ্গে ছিলেন। জেটলিই সেই সময় বোর্ডের নৈতিক মুখ। তাঁর রোষে পড়ে মোদীর সঙ্গে পওয়ারকেও চলে যেতে হয়েছিল ভারতীয় ক্রিকেটের বৃত্ত থেকে। এ দিন হঠাৎ সেই পওয়ারের প্রত্যাবর্তন ঘটল ক্রিকেট-ক্ষমতার বৃত্তে। এনসিপি-র পক্ষ থেকে অভাবিত ভাবে বিবৃতি দিয়ে বলা হল, ভারতীয় ক্রিকেটের স্বার্থে শ্রীনিবাসন সরে দাঁড়ান। নইলে বোর্ড কলঙ্কিত হচ্ছে। এর ঘণ্টাখানেকের মধ্যে ভারতীয় ক্রিকেটের স্পনসর সহারা গোষ্ঠীর তরফে সুব্রত রায় বললেন, “শ্রীনিবাসনের সরে যাওয়া উচিত। উনি ভারতীয় ক্রিকেট চালানোর পক্ষে যোগ্য নন। ওঁর অ্যাটিটিউড সমস্যা রয়েছে। পওয়ার বরঞ্চ অনেক যোগ্য।” সুব্রতবাবু এমনও বলেন, শ্রীনিবাসন সরে গেলে তাঁরা আইপিএলে ফেরার ব্যাপারটা বিবেচনা করে দেখতে পারেন।
আনন্দবাজার থেকে যোগাযোগ করা হলে জেটলি এ ব্যাপারে মুখ খুলতে চাননি। কিন্তু জনশ্রুতি হল, তাঁর মতে ভারতীয় ক্রিকেটে নতুন করে শুদ্ধকরণ জরুরি হয়ে পড়েছে। ক্রিকেট প্রশাসনের ভাবমূর্তি সাঙ্ঘাতিক ভাবে বিক্ষত। আইপিএল স্পনসর পেপসি নাম তুলে নিতে চাইছে। সহারা বছরে ১৭০ কোটি টাকার স্পনসরশিপ তুলে নিয়েছে। চলে যেতে চাইছে আরও একটা আইপিএল ফ্র্যাঞ্চাইজি। ক্রিকেট এ রকম ক্ষতবিক্ষত হওয়ার সময় ব্যক্তিস্বার্থ কখনও গুরুত্ব পেতে পারে না। মধ্যরাতে গুরুনাথ গ্রেফতার হওয়ায় জেটলিপন্থীদের হাত অবশ্যই আরও শক্ত হল।
গ্রেফতারের খবর আসার আগেই তো জেটলির ডান হাত নরেন্দ্র বাখরা বলছিলেন, “আমি ভারতীয় ক্রিকেট প্রশাসনের অংশ হয়েও বলছি, শ্রীনিবাসনের অবস্থা কিছুটা এখন সুরেশ কলমডীর মতো। কলমডী যেমন সরে গিয়ে বিজয়কুমার মলহোত্র আইওএ-র অন্তর্বর্তিকালীন পদে বসেছিলেন, তেমনই শ্রীনিবাসন সরে যান কিছু দিনের জন্য।” বাখরা বললেন, “শ্রীনি-র বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত ভাবে আমার কিছু নেই। কিন্তু যেখানে ওঁকে নিয়েই এত অভিযোগ, সেখানে উনি ক্ষমতায় থেকে যাওয়াটা অন্যায়। উনি যে গোয়েন্দাকে এনেছেন, সেই রবি সাওয়ানি কী করে ওঁর বিরুদ্ধেই নিরপেক্ষ ভাবে তদন্ত করবে? সে তো ‘সফ্ট’ হতে বাধ্য। তার চেয়ে শ্রীনিবাসন তদন্ত হওয়া পর্যন্ত সরে যান না। তত দিন অন্য কেউ চালাক। উনি নির্দোষ প্রমাণিত হয়ে আবার ফিরে আসুন। নইলে ক্রিকেটের বিশ্বাসযোগ্যতাই খুন হয়ে যাচ্ছে।”
দিল্লির ক্রিকেট কর্তার মতো খুল্লমখুল্লা কেউ মন্তব্য না করলেও দিনভর ভারতীয় ক্রিকেট অলিন্দে শ্রীনিবাসনের ভবিষ্যৎ নিয়ে তীব্র জল্পনা চলল। গুরুনাথের কী হবে, এই অন্তহীন জল্পনার মধ্যে বোর্ড সদস্যদের কেউ কেউ বলতে থাকেন, “ইনসাইডার ট্রেডিং কিন্তু মারাত্মক অপরাধ। মার্কিন দেশে রজত গুপ্তর মতো সম্মানীয় লোককে হাজতবাস করতে হচ্ছে। গুরুনাথ দোষী প্রমাণিত হলে কিন্তু সিএসকে-কেও চলে যেতে হবে। নাকি বেঁচে যাবে?” তাঁদের থামিয়ে দিয়ে প্রাক্তন তারকা ক্রিকেটার বলছেন, “শ্রীনিবাসনের জামাইকে ধরতে মুম্বই পুলিশের এত তৎপরতা কি বিস্ময়কর নয় যে, তারা তড়িঘড়ি চেন্নাই পৌঁছে গেল? আড়ালে কেউ কলকাঠি নাড়ছে না তো?” পরাক্রমশালী এক কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর নাম উঠে এল, মহারাষ্ট্রে যাঁর ক্ষমতা প্রবাদপ্রতিম। এ সবই ক্রিকেট অলিন্দে নানা প্রশ্ন আর সংশয়, যার বেশির ভাগেরই জবাব ধোঁয়াটে বা একেবারেই নেই।
জেটলি উল্টো দিকে ঘুরে গিয়েছেন, সবার জানা না থাকায় কমন জিজ্ঞাস্য ছিল, মনোহর কী ভাবছেন? তিনি কি শ্রীনিবাসনকে ছেড়ে দেবেন? টুইটারে শ্রীনি জোক্স শুরু হয়ে গেছে। শ্রীনিবাসনকে উদ্ধৃত করে বলা হচ্ছে, গুরুনাথ মোটেও আমার জামাই নয়। আমাদের পরিবারের সম্মানিত সদস্য। বোর্ডে কট্টর শ্রীনিবাসন সমর্থকরা নিজেদের মধ্যে ফোন চালাচালি শুরু করে দেন, এ বার কী হবে? পরিস্থিতি কোন দিকে গড়াবে?
জগমোহন ডালমিয়া তিনি এ বার কোন দিকে যাবেন? বোর্ডে জেটলি ঘনিষ্ঠ হিসেবে তিনি বেশি পরিচিত। আনন্দবাজারকে অবশ্য ডালমিয়া বললেন, “এখনও কিছু মন্তব্য করার মতো জায়গায় আসেনি। সব দেখছি, শুনছি।” প্রেসিডেন্ট নিজে থেকে পদত্যাগ না করলে আরও একটা উপায় হল বিশেষ সাধারণ সভা ডেকে দুই-তৃতীয়াংশ সদস্যের সমর্থন জোগাড় করা। কেউ কেউ সেই রাস্তাও ভাবা শুরু করে দিয়েছেন।
বছর তিনেক আগে মুম্বইয়ে হওয়া আইপিএল ফাইনালের সময় একই ভাবে চেন্নাই না মুম্বই, কে জিতবে সেই জিজ্ঞাসা ছাপিয়ে প্রশ্ন হয়ে গিয়েছিল অন্য কিছু। আইপিএল মহাকর্তাকে কি তাড়ানো হবে? সে দিন বিচার আসনে ছিলেন এখনকার বোর্ড সভাপতি। কে জানত, সেই আইপিএল এসেই ললিত মোদী আর শ্রীনিবাসনকে একই হাইফেনে জুড়ে দেবে! মাথা নিচু করে চলে যেতে দু’জনকেই!

১১টা ৪০: গুরুনাথকে পাঁচটার মধ্যে হাজির হতে বলল মুম্বই পুলিশ
১২টা ১৫: কোদাইকানালের সামার হাউসে শ্রীনিবাসন
১টা ১৫: ওই সামার হাউসেই গুরুনাথ, ধরা পড়ল টিভি ক্যামেরায়
১টা ৩০: গুরুনাথ কোদাইকানাল থেকে মাদুরাইয়ের পথে
৪টে ৪৫: গুরুনাথ সিএসকে-র সিইও নন, ম্যানেজমেন্ট টিমের সম্মানিত সদস্য মাত্র, বিবৃতি ইন্ডিয়া সিমেন্টসের
৫টা ১০: গুরুনাথের টুইটার প্রোফাইল থেকে ‘সিএসকে টিম প্রিন্সিপ্যাল’ লেখা মোছা হল
৬টা ১০: চার্টার্ড বিমানে মাদুরাই থেকে মুম্বই রওনা গুরুনাথের
৮টা ১৫: মুম্বই পৌঁছলেন গুরুনাথ, বিমানবন্দর থেকে ক্রাইম ব্রাঞ্চের পথে
রাত ৯টা: মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চে গুরুনাথ
রাত ১২টা: গ্রেফতার গুরুনাথ
ফাইনালে ধোনিরা না অন্য কেউ?
আইপিএলের ১১.৩ ধারা
টিম প্রধান প্রাথমিক বিচারে দোষী সাব্যস্ত হলে সেই টিমই টুর্নামেন্ট থেকে বাতিল হয়ে যাবে। সেই অনুযায়ী বাতিল হয়ে যাওয়ার কথা সিএসকে-র।

সিএসকে-র বিবৃতি

গুরুনাথ আমাদের সিইও বা টিম প্রধান নন। তিনি ফ্র্যাঞ্চাইজির সাম্মানিক সদস্য।

আসল ঘটনা
গুরুনাথের কাছে টিম মালিকদের জন্য নির্ধারিত ‘অল অ্যাকসেস কার্ড’ রয়েছে। বহু ম্যাচে তাঁকে দলের সঙ্গে ডাগআউটে বসে থাকতে দেখা গিয়েছে। যার টিভি ফুটেজও রয়েছে।

কী হতে পারে
সিএসকে-কে এই অবস্থায় খেলানোর ঝুঁকি নেবে আইপিএল কর্তৃপক্ষ? না নিলে রবিবার ফাইনালে মুম্বই ওয়াকওভার পেতে পারে। বা ফাইনাল পিছিয়ে যেতে পারে। আবার দ্রাবিড়ের টিমকে খেলানোর দাবিও উঠতে পারে।

পুরনো খবর:




First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.