ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডে একচ্ছত্র ভাবে এত দিন যিনি ক্ষমতা ভোগ করে আসছেন, সেই এন শ্রীনিবাসনকে নিয়ে এ বার বোর্ডের মধ্যেই প্রশ্ন ওঠা শুরু হয়ে গেল।
ললিত মোদীকে সরানোর সময় বোর্ডের ক্যাচলাইন ছিল ‘গুড ভার্সাস এভিল।’ তিন বছর পরে সেই ‘ক্যাচলাইন’ই আবার তাড়া করতে শুরু করেছে শ্রীনিবাসনকে। আইপিএলে স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারি এখন যে ভাবে বোর্ড প্রেসিডেন্টের দোরগোড়ায় এসে পড়েছে, তার পর প্রশ্ন উঠছে, ভারতীয় বোর্ডে এখন শুভ শক্তি কোনটা, অশুভ শক্তিই বা কোনটা? শ্রীনিবাসনের সঙ্গে যাঁর এত দিনের ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক, সেই শশাঙ্ক মনোহরও বা কত দিন বোর্ড প্রেসিডেন্টের পাশে থাকবেন, সেটাও দেখার। মনমোহন সিংহের ক্ষমতায় থাকার পিছনে সনিয়া গাঁধীর নৈতিক সমর্থন যতটা প্রয়োজন, শ্রীনিবাসনের ক্ষমতায় থাকার জন্য শশাঙ্ক মনোহরের সমর্থনও ততটা জরুরি।
স্পট ফিক্সিং কেলেঙ্কারি-উত্তর শ্রীনিবাসনকে নিয়ে বোর্ডের একাংশ যথেষ্ট ক্ষুব্ধ। অনেকে মনে করছেন, যে মাধবন দশ বছর আগে আজহারদের শাস্তি দেওয়ার পিছনে মুখ্য ভূমিকা নিয়েছিলেন, তিনি ফাঁকা বসে থাকা সত্ত্বেও কেন তাঁকে দায়িত্ব দেওয়া হল না? কেন প্রাক্তন সিবিআই ডিরেক্টর হাতের কাছে থাকা সত্ত্বেও এমন এক জনকে দায়িত্ব দেওয়া হল, যিনি এত দিন কিছুই করেননি। রবি সাওয়ানির হাতে এখনও পর্যন্ত কেউই ধরা পড়েনি। এ বারও তাঁর সাফল্য নিয়ে সংশয় রয়েছে বোর্ডের একটা মহলে। মাধবনকে তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছিলেন তৎকালীন বোর্ড প্রেসিডেন্ট এসি মুথাইয়া। ঘটনাচক্রে চেন্নাইয়ের এই প্রাক্তন বোর্ড কর্তার সঙ্গে শ্রীনিবাসনের সম্পর্ক অত্যন্ত খারাপ। তবে বোর্ড মহলের বক্তব্য, বোর্ডের ভাবমূর্তি রক্ষা করার জন্য সব ভুলে যোগ্য লোককেই দায়িত্ব দেওয়া উচিত ছিল।
শ্রীনিবাসনের বিরুদ্ধে আরও একটা অভিযোগ উঠেছে। সিএসকে দলে এমন এক জন ব্যাটসম্যান আছেন, যাঁকে নিয়ে অতীতে বেশ কয়েক বার প্রশ্ন দেখা দিয়েছে। কিন্তু তা সত্ত্বেও শ্রীনিবাসন কোনও পদক্ষেপ নেননি। আর এ সব যাবতীয় প্রশ্ন সঙ্গে নিয়েই বোর্ড প্রেসিডেন্ট কলকাতায় আসছেন ২৫ মে। আইপিএল ফাইনাল উপলক্ষ্যে।
তখন তো তাঁকে মিডিয়ার প্রশ্নের সদুত্তর দিতেই হবে।
|