|
|
|
|
প্রসঙ্গ বিদেশনীতি |
কংগ্রেসের পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপিকে তির কারাটের |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
পাকিস্তান, চিন, বাংলাদেশের সঙ্গে ভারতের সম্পর্ক নিয়ে বিজেপির অবস্থানের কড়া সমালোচনা করে কার্যত ইউপিএ-সরকারের পাশে দাঁড়ালেন প্রকাশ কারাট। সিপিএমের সাধারণ সম্পাদকের অভিযোগ, প্রতিবেশী দেশগুলির সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে ‘উগ্র দেশপ্রেমে’র উপর ভিত্তি করে ‘পশ্চাদমুখী’ অবস্থান নিচ্ছে বিজেপি। কারাটের অভিযোগ, পাকিস্তান ও চিনের সঙ্গে সংঘাত তৈরি করার জন্য ‘উগ্র জাতীয়তাবাদ’-এর ভাবনা জাগিয়ে তোলার চেষ্টা করছে বিজেপি। এ বিষয়ে দলীয় ইংরেজি মুখপত্রে বিজেপিকে আক্রমণ করে কলম ধরেছেন কারাট। সিপিএম নেতৃত্বের এই ইতিবাচক বার্তাকে রাজনীতির কারবারিরা লোকসভা নির্বাচনের পর ইউপিএ-র সঙ্গে হাত মেলানোর রাস্তা খোলার কৌশল হিসেবেই দেখছে।
বিভিন্ন দুর্নীতির মামলায় বিজেপি প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংহের পদত্যাগ দাবি করলেও সে পথে হাঁটেনি সিপিএম। লাদাখে চিনে অনুপ্রবেশ থেকে শুরু করে চিনা প্রধানমন্ত্রী লি খ্যছিয়াং-এর ভারত সফর পর্যন্ত নয়াদিল্লির কূটনৈতিক অবস্থানকে দু’হাত তুলে সাধুবাদ জানিয়েছে সিপিএম। বিজেপি যেখানে মনমোহন-সরকারের কূটনীতিকে দুর্বল বলে আখ্যা দিচ্ছেন, তখন এ বিষয়ে সিপিএমের অবস্থান যে বিজেপির সম্পূর্ণ বিপরীত, তা আরও স্পষ্ট করতেই প্রবন্ধ লিখেছেন কারাট।
প্রতিবেশী দেশগুলির সম্পর্কে বিজেপির অবস্থান নিয়ে প্রকাশ কারাটের যুক্তি, পাকিস্তান সম্পর্কে বিজেপির ধারণা সঙ্কীর্ণ। প্রধান বিরোধী দল শুধু সংঘাত-বিবাদেই বিশ্বাস করে। যার মূলে রয়েছে বিজেপির হিন্দুত্ববাদী মতাদর্শ। তারা পাকিস্তানকে শত্রু রাষ্ট্র হিসেবে দেখে। একই ভাবে বিজেপি চিনকেও শুধু মাত্র আগ্রাসী রাষ্ট্র হিসেবেই দেখে বলে মনে করছেন কারাট। তাঁর বক্তব্য, গত দু’দশকে নয়াদিল্লি ও বেজিং দু’দেশের মধ্যে সমস্যা মেটাতে নানা রকম পদক্ষেপ করেছে। বিজেপি সে সম্পর্কে অবহিত। তার পরেও সেই প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার কথা না বলে বিজেপি আরএসএসের সুরেই উগ্র দেশপ্রেমের আবেগ উসকে দিতে চাইছে।
একই ভাবে বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্ত চুক্তি ও ছিটমহল বিনিময় কার্যকর না হওয়ার জন্যও আজ কড়া ভাষায় বিজেপিকে দুষেছেন কারাট। তাঁর অভিযোগ, বিজেপি-র অবস্থানের ফলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে ‘ভারত-বিরোধী শক্তি’-রই হাত শক্ত হচ্ছে। বিজেপি বাংলাদেশি অনুপ্রবেশ, বাংলাদেশে হিন্দু সংখ্যালঘুদের দুরবস্থার অভিযোগ তুলে ছিটমহল বিনিময়ের বিরোধিতা করছে। কিন্তু পূর্ব ও উত্তর-পূর্ব ভারতে শান্তি বজায় রাখতে বাংলাদেশের সাহায্য যে জরুরি এবং সেই কারণেই সীমান্ত চুক্তি কার্যকর করা প্রয়োজন, তা বিজেপি দেখছে না। বাংলাদেশের মধ্যে ধর্মনিরপেক্ষ গণতান্ত্রিক শক্তি ও মৌলবাদীদের লড়াই নিয়েও বিজেপি ভাবিত নয়। তারা বাংলাদেশে ভারত-বিরোধী শক্তিকে সাহায্য করছে। এ দেশেও বাংলাদেশ-বিরোধী মনোভাব তৈরি করতে চাইছে। কংগ্রেস তথা ইউপিএ-র পাশে দাঁড়িয়ে বিজেপির সমালোচনা করলেও নিজেদের মার্কিন সাম্রাজ্যবাদ বিরোধী চরিত্র অটুট রাখতে কারাটের প্রশ্ন, বিজেপি কেন আমেরিকা ও ইজরায়েলের সঙ্গে ভারতের মিত্রতার বিরোধিতা করছে না।
|
পুরনো খবর: আসন বাড়ার ইঙ্গিত সমীক্ষায়, তবু তৃতীয় ফ্রন্টে রুচি নেই কারাটের |
|
|
|
|
|