|
|
|
|
পাঁচ রাজ্য নয়, লোকসভা ভোটেই ঝাঁপাতে চান মোদী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াদিল্লি |
কর্নাটকের ভরাডুবির পর নরেন্দ্র মোদী সামনের পাঁচ রাজ্যের নির্বাচনে নিজের ভাবমূর্তিকে কাজে লাগাতে চান না। লোকসভা ভোটেই সর্বশক্তি দিয়ে ঝাঁপিয়ে পড়াই তাঁর লক্ষ্য।
মধ্যপ্রদেশ, ছত্তীসগঢ়, দিল্লি, রাজস্থান, মিজোরাম- এই পাঁচ রাজ্যে লোকসভার মাস কয়েক আগে নির্বাচনকে সেমিফাইনাল হিসাবে ধরা হচ্ছে। সেই ভোটে মোদীর ভাবমূর্তিকে কাজে লাগালে তাঁর এক প্রস্ত পরীক্ষাও হয়ে যেতে পারে। কিন্তু মোদী-ঘনিষ্ঠ নেতারা বলছেন, বিধানসভা ভোট হয় রাজ্য রাজনীতির নিরিখে। তাই বিধানসভা ভোটে নয়, নরেন্দ্র মোদীর উপযোগিতা লোকসভা নির্বাচনে। কারণ, তখন ভোটাররা কে প্রধানমন্ত্রী হবেন সে কথা মাথায় রেখে ভোট দেবেন।
কর্নাটকে বিধানসভা নির্বাচনে দলের পরাজয় নিশ্চিত জেনেও তিনটি সভা করতে হয়েছে মোদীকে। কিন্তু, বিজেপি খুব বেশি ফায়দা তুলতে পারেনি। ফলে, কংগ্রেস প্রচার শুরু করেছে, গুজরাতের বাইরে মোদী-জাদু কাজ করে না। এটা তারই প্রমাণ। |
|
শুক্রবার একটি অনুষ্ঠানে নরেন্দ্র মোদী। ছবি: পিটিআই |
কিন্তু মোদী-ঘনিষ্ঠ নেতাদের মতে, কর্নাটকে পাঁচ বছর ধরে যে সরকার চলেছে তা তো আর মোদীর হাতে ছিল না। কেবল দু’টি-তিনটি সভা করেই ধারণা বদলে দেওয়া সম্ভব নয়। তাই লোকসভার মুখে পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে মোদীর ভাবমূর্তিকে কাজে লাগানো হলে সেটি বুমেরাং হতে পারে।
মোদী-ঘনিষ্ঠ নেতা অমিত শাহ আজ জানান, “বিধানসভা ভোটের লড়াই নরেন্দ্র মোদীর ভাবমূর্তির ভিত্তিতে হবে না।” দলের যুক্তি, প্রতি রাজ্যেই দলের প্রভাবশালী নেতারা রয়েছেন। বিধানসভা ভোটে জিতিয়ে আনার দায় তাঁদেরই। মোদী হয়তো প্রচারে যাবেন। কিন্তু তাঁকে সামনে রেখে ভোটে লড়ার সম্ভাবনা কম।
বিধানসভা নির্বাচনের জন্য নিতিন গডকড়ীর নেতৃত্বে একটি প্রচার কমিটি গড়ার ব্যাপারে লালকৃষ্ণ আডবাণীর প্রস্তাব নিয়েও আজ বিজেপি শিবির সরগরম। লোকসভার জন্য নরেন্দ্র মোদীকে প্রচার কমিটির প্রধান করার প্রস্তাব এমনিতেই রয়েছে। সেটি ঠেকানোর জন্যই আডবাণী এমন প্রস্তাব দিয়েছেন বলে অনেকে মনে করছেন। দু’দিন ধরে এই প্রচার সত্ত্বেও আডবাণীর পক্ষ থেকে এই খবরকে খণ্ডন করা হয়নি।
আবার ২৭ মে থেকে দেশ জুড়ে ইউপিএ সরকারের বিরুদ্ধে যে ‘জেল-ভরো’ আন্দোলন ঘোষণা করা হয়েছে, তাতে আডবাণী, মুরলী মনোহর জোশী, বেঙ্কাইয়া নায়ডু, নিতিন গডকড়ীকে সামিল করা হয়নি। তবে দলের অনেকেরই দাবি, এখন নরেন্দ্র মোদী চাইছেন না, এই আন্দোলনে গুরুত্ব পান আডবাণীর মতো নেতারা। অর্থাৎ, বিজেপি-র মধ্যে টানাপোড়েন এখনও অব্যাহত।
|
পুরনো খবর: সমীক্ষায় সেরা মোদীই, তবু বিরোধিতা দলে |
|
|
|
|
|