|
|
|
|
বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলির
বিরুদ্ধে কড়া হচ্ছে অসম, মেঘালয় |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
ভুয়ো শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলির বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নিতে চলেছে অসম এবং মেঘালয়ের দুই সরকার।
মেঘালয়ের সিজেএম বিশ্ববিদ্যালয়ের ভুয়ো পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়ার ঘটনা সামনে আসার পর বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিষ্ট্রার ও ডেপুটি রেজিস্ট্রারকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। প্রতিষ্ঠাতা-আচার্য, চন্দ্রমোহন ঝাকে গ্রেফতার করতে আন্তরাজ্য পরওয়ানাও জারি হয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয় থেকে নিয়ম বহির্ভূতভাবে বিলি করা ৪৩৪টি পিএইচডি ডিগ্রি বাতিল করার নির্দেশ দিয়েছেন রাজ্যপাল রঞ্জিত্ শেখর মুশাহারি। সেই সঙ্গে মুশাহারি অসমের রাজ্যপাল জানকীবল্লভ পটনায়ককেও চিঠি পাঠিয়ে এই ধরনের ভুঁইফোড় বিশ্ববিদ্যালয়গুলিকে কড়া হাতে দমন করার অনুরোধ জানান। সেই মতো পট্টনায়কও অসমের শিক্ষামন্ত্রীকে ব্যবস্থাগ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন।
সম্প্রতি শিক্ষামন্ত্রী হিমন্তবিশ্ব শর্মা জানান, সরকার ইতিমধ্যেই এই ধরনের ভুয়ো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলিকে দমন করার জন্য বিশেষ নীতি গ্রহণের কথা ভাবছে। এ নিয়ে শিক্ষা ও আইন বিভাগের কর্তাদের সঙ্গে আলোচনাও চলছে। শিক্ষা বিভাগ নীতিনির্ধারণের কাজ চূড়ান্ত করার পর এক সপ্তাহের মধ্যেই তা মুখ্যমন্ত্রী ও মন্ত্রিসভার কাছে পেশ করা হবে। সিএমজে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া ও ডিগ্রি পাওয়া ছাত্রদের মধ্যে অসমের ছাত্রসংখ্যা অনেক। মন্ত্রী স্বীকার করেন, ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে গবেষণার গাইড হিসেবে রাজ্যের বেশ কিছু অধ্যাপক কাজ করেছেন। বলেন, “বেআইনি ডিগ্রি নেওয়া ও ডিগ্রি পেতে সাহায্য করার অভিযোগ প্রমাণ হলে অধ্যাপক ও বেআইনিভাবে ডিগ্রি পাওয়া ব্যক্তিরা শাস্তি পেতে পারেন।”
পাশাপাশি, মেঘালয়ের মুখ্যমন্ত্রী মুকুল সাংমা ঘোষণা করেন, সিএমজে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে এ নিয়ে সিবিআই তদন্তের নির্দেশও দেওয়া হতে পারে। তিনি সাফ জানান, মহাত্মা গাঁধী বিশ্ববিদ্যালয়-সহ রাজ্যের সব বেসরকারি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উপরে কড়া নজর রাখা হচ্ছে।
যাচাই করা হবে তাদের শিক্ষণ ও ডিগ্রিদান প্রক্রিয়াও।
এ দিকে, বেশ কয়েক দিন ধরে, সিজেএম বনাম সিআইডির কাজিয়ার মধ্যে পড়ে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রছাত্রীরা চরম অনিশ্চয়তার মধ্যে পড়েছেন। শিলং-এ এক সাংবাদিক সম্মেলন করে তাঁরা দাবি তোলেন, দোষী চন্দ্রমোহন ঝা’কে গ্রেফতার করা হোক। ছাত্রছাত্রীদের শিক্ষাবর্ষ বাঁচাতে মুখ্যমন্ত্রী দ্রুত ব্যবস্থা নিন। ছাত্রছাত্রীদের অভিযোগ, বিশ্ববিদ্যালয় তাঁদের ঠকিয়েছে। আর সরকার তাঁদের অবস্থা নিয়ে মোটেই মাথা ঘামাচ্ছে না। এই অবস্থায়, আর্থিক ও মানসিক দিক থেকে তাঁরা ও তাঁদের পরিবার ভেঙে পড়েছে। মুখ্যমন্ত্রী জানান, শিক্ষা বিভাগের ‘রেগুলেটরি বোর্ড’ ছাত্রছাত্রীদের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেবে। |
|
|
|
|
|