|
|
|
|
নেপাল সীমান্তবর্তী বিহারে বিশেষ নজর |
স্বপন সরকার • পটনা |
নেপাল সীমান্তবর্তী রাজ্য হওয়ার কারণে ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের মতো সন্ত্রাসবাদী সংগঠনের সদস্যদের আশ্রয়স্থল হয়ে উঠছে বিহার। ১৩ জন এমন অভিযুক্তকে জাতীয় তদন্ত সংস্থা (এনআইএ) গ্রেফতার করেছে। হায়দরাবাদের বিস্ফোরণে যুক্ত থাকার অভিযোগে দ্বারভাঙা থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে দানিশ আনসারিকে। জানা গিয়েছে, ইন্ডিয়ান মুজাহিদিনের নেতা ইয়াসিন ভাতকালের সে ঘনিষ্ঠ।
বিহার থেকে একের পর এক সন্ত্রাসবাদী গ্রেফতারে উদ্বিগ্ন কেন্দ্রীয় সরকার এ বার এ রাজ্যের পুলিশকে বিশেষ প্রশিক্ষণ দিতে চাইছে। কাল এনআইএ-র দু’জনের একটি দল রাজ্যে এসে সীমান্তবর্তী জেলাগুলির পুলিশ সুপারদের সঙ্গে একটি বৈঠক করেছেন। ফের তাঁরা এই রাজ্যে এসে পুলিশকে নানা ভাবে তথ্য দিয়ে সাহায্য করবে বলে জানিয়ে গিয়েছেন। রাজ্য পুলিশের ডিজি অভয়ানন্দ বলেন, “এনআইএ-র দু’জন এসেছিলেন। তাঁরা সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম নিয়ে আমাদের অফিসারদের অবহিত করেছেন। এ সব ক্ষেত্রে তদন্ত কেমন হওয়া উচিত তা নিয়েও কথা বলেছেন। এই ব্যাপারে আমাদের পারস্পরিক সমন্বয় করে কাজ করার প্রয়োজন আছে। তাঁরা নানা তথ্যও আমাদের অফিসারদের দিয়েছেন।” কাল এনআইএ-র আইজি সঞ্জীব কুমার সিংহ এবং পুলিশ সুপার বিকাশ বৈভব বিহারে আসেন। বৈঠকে ছিলেন ডিজিপি, এডিজি (সদর) এবং আটটি সীমান্তবর্তী জেলার পুলিশ সুপাররা।
রাজ্য পুলিশকে এনআইএ কর্তারা জানিয়েছেন, দেশের বিভিন্ন জায়গায় সন্ত্রাসবাদী কাজকর্ম করে তারা বিহারে এসে আশ্রয় নিচ্ছে। নেপাল এবং নিকটবর্তী বাংলাদেশের সীমান্ত দিয়ে এরা প্রয়োজনে সে দেশেও চলে যাচ্ছে। সীমান্তপার থেকে তারা সহায়তাও পাচ্ছে। এদের সর্ম্পকে তথ্য সংগ্রহ করার প্রয়োজনীয়তার উপরে জোর দেওয়া হয়েছে। কয়েকটি নামের তালিকা ও কিছু তথ্য বিহার পুলিশকে দেওয়া হয়েছে। তদন্তের স্বার্থে পুলিশ তা প্রকাশ করছে না। দ্বারভাঙা, সীতামঢ়ী, মুঙ্গের, মধুবনি, সমস্তিপুর জেলা থেকে ১৩ জন সন্ত্রাসবাদী কাজে যুক্ত থাকার অভিযোগে গ্রেফতার হয়েছে। হায়দরাবাদ বিস্ফোরণের পরে এনআইএ অফিসাররা রাজ্যে এসে তল্লাশি চালিয়েছেন। সর্বশেষ গ্রেফতার হয়েছে দ্বারাভাঙা থেকে। |
|
|
|
|
|