|
|
|
|
বৃদ্ধির হারে অসমে এগিয়ে মহিলারাই |
নিজস্ব সংবাদদাতা • গুয়াহাটি |
দশ বছরে অসমে সাড়ে ৪৫ লক্ষ মানুষ বেড়েছে। এর মধ্যে মহিলাদের বৃদ্ধির হার পুরুষদের তুলনায় বেশি। রাজ্য জনগণনা দফতরের অধিকর্তা আর কে দাস সুমারির তথ্য প্রকাশ করে জানান, ২০১১ সালের হিসেব অনুযায়ী অসমের জনসংখ্যা ৩১,২০৫,৫৭৬ জন। এর মধ্যে পুরুষের সংখ্যা ১৫,৯৩৯,৪৪৩ ও মহিলার সংখ্যা ১৫,২৬৬,১৩৩। রাজ্যে প্রতি হাজার পুরুষপ্রতি মহিলার সংখ্যা ৯৫৮। ২০০১ সালে এই অনুপাতটি ছিল ১০০০:৯৩৫।
অসমে পুরুষ বৃদ্ধির হার ১৫.৭ শতাংশ। সেখানে, মহিলাদের বৃদ্ধির হার ১৮.৫ শতাংশ।
জনসংখ্যার নিরিখে দেশে অসমের স্থান ১৪ নম্বরে। জন-ঘনত্বের বিচারে অসম পঞ্চদশ স্থানে রয়েছে। ঘনত্বের নিরিখে কামরূপ মহানগর প্রথম, প্রতি বর্গ কিলোমিটারে ১৩১৩ জন। সবচেয়ে কম জন-ঘনত্ব বরাকের ডিমা হাসাও জেলায়। সেখানে প্রতি বর্গ কিলোমিটারে মাত্র ৪৪ জনের বাস। ২০০১-২০১১ সালের মধ্যে জনসংখ্যা বৃদ্ধির জাতীয় হার ১৭.৭ শতাংশ। অসমে এই হার দাঁড়িয়েছে ১৭.০৭ শতাংশ। তবে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার বাংলাদেশ সীমান্তবর্তী ধুবুরিতে ২৪.৪৪ শতাংশ। এরপর রয়েছে মরিগাঁও, গোয়ালপাড়া ও দরং জেলা। সবচেয়ে কম হারে জনসংখ্যা বেড়েছে কোকরাঝাড় জেলায় ৫.২ শতাংশ। সব মিলিয়ে শহর এলাকায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ২৭.৮৯ শতাংশ। সেখানে গ্রামে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার ১৫.৪৭ শতাংশ। অর্থাত্ গ্রাম থেকে শহরমুখী জনস্রোট অব্যাহতই। সুমারি অধিকর্তা জানান, মোট জনসংখ্যার ১৪.৯ শতাংশের বয়স শূন্য থেকে ছয় বছরের মধ্যে এবং ওই বয়সীদের ক্ষেত্রে লিঙ্গ অনুপাত ১০০০:৯৬২। অর্থাত্ অসমে তথাকথিত ভ্রূণহত্যার মতো নকেকারজনক ঘটনা তুলনায় খুবই কম। যা দেশের মধ্যে তৃতীয় সেরা। এ ক্ষেত্রে হরিয়ানা, পঞ্জাব, গুজরাতের মতো উন্নত রাজ্যগুলি তালিকার তলার দিকেই রয়েছে। সাক্ষরতার ক্ষেত্রে জাতীয় হার ৭৩ শতাংশের তুলনায় অসমের হার কিঞ্চিত্ কম ৭২.১৯ শতাংশ। যদিও তা গত দশকের তুলনায় ৮.৯ শতাংশ বেশি। অন্য দিকে, সাক্ষরতায় ছেলেদের হার ৭৭.৮ শতাংশ ও মেয়েদের ৬৬.৩ শতাংশ। |
|
|
|
|
|