অরিন্দম দাস ওরফে বুম্বার বিরুদ্ধে শুধু অভিযোগ করেই থামলেন না সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেন। এ বার পুলিশের সঙ্গে নিজের সংস্থার কয়েকটি অফিসে গিয়ে কিছু নথিও উদ্ধার করলেন। যার মধ্যেই অরিন্দমের দুর্নীতির তথ্য লুকিয়ে রয়েছে বলে তদন্তকারীদের দাবি।
পুলিশ জানিয়েছে, সুদীপ্তকে সঙ্গে নিয়েই বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে শুক্রবার ভোর চারটে পর্যন্ত দক্ষিণ ২৪ পরগনার কুলপি রোড, ফুলতলা ও চম্পাহাটিতে সারদার অফিসে তল্লাশি চালানো হয়। দক্ষিণ ২৪ পরগনার এএসপি কঙ্করপ্রসাদ বারুই জানান, ওই অফিসগুলি থেকে কয়েকটি কম্পিউটার ও কিছু নথিপত্র বাজেয়াপ্ত করেছে। তবে কুলপি রোডের অফিসের একটি ভল্টের তালা এ দিন ভাঙতে পারেনি পুলিশ। তার মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ নথি আছে বলে পুলিশের দাবি। সুদীপ্ত পুলিশকে জানিয়েছেন, ওই ভল্টের চাবি বুম্বার কাছেই থাকত।
পুলিশ সূত্রের খবর, কুলপি রোডে সারদার ডিভিশনাল অফিসে সুদীপ্তর ঘরের এক আলমারি থেকে উত্তরপ্রদেশ ও দক্ষিণ ২৪ পরগনার কয়েকটি জমির দলিল, আবাসন ব্যবসার চুক্তিপত্র, ক্যাশবুক কয়েকশো মেয়াদ উত্তীর্ণ সার্টিফিকেট মিলেছে। সারদার ৬টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের নথির পাশাপাশি বুম্বার পৃথক দু’টি অ্যাকাউন্টের হদিসও পেয়েছে পুলিশ। ফুলতলার সারদা অ্যাগ্রো লিমিটেডের অফিসে হানা দিয়ে দু’টি যন্ত্র বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। দাম দেড় কোটি টাকা। কুলপির অফিস থেকে ৫০টি আমানতের শংসাপত্র মিলেছে। নথি উদ্ধারে সুদীপ্ত কাজে লাগলেও দেবযানী কিন্তু পুলিশি জেরায় বিরক্তি প্রকাশ করছেন। পুলিশের কাছে দেবযানীর দাবি, সব তথ্যই তিনি সবই বিধাননগর পুলিশ ও সারদা কাণ্ডে বিশেষ তদন্তকারী দলকে জানিয়েছেন। নতুন করে কিছু বলার নেই। পুলিশ সূত্রের খবর, দেবযানীর দুর্বলতা এখনও পুরো কাটেনি।
এ দিনই উত্তর ২৪ পরগনার সোদপুরে একটি অর্থলগ্নি সংস্থার অফিসের সামনে শ’খানেক আমানতকারী। সংস্থার কর্মীরা তাঁদের সঙ্গে বচসায় জড়িয়েপড়লে আমানতকারীরা অফিসে ভাঙচুর চালান। তাঁদের অভিযোগ, আমানতের মেয়াদ পেরনোর ছ’মাস পরেও তাঁদের প্রাপ্য মিলছে না।
|