দমদম থেকে নোয়াপাড়া পর্যন্ত মেট্রো রুটে ট্রেন চালানোর অনুমতি দিলেন কমিশনার অফ রেলওয়ে সেফটি (সিআরএস)। তবে গতিবেগ নির্দিষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। ঘণ্টায় ৪০ কিলোমিটারের বেশি গতিতে ওই পথে ট্রেন চালানো যাবে না। কবে থেকে ওই নতুন রুটে ট্রেন চলবে, তা অবশ্য এখনও ঠিক করে উঠতে পারেননি মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
গত সপ্তাহেই দমদম থেকে নোয়াপাড়া পর্যন্ত মেট্রোর ওই নতুন লাইন পরীক্ষা করেন সিআরএস (উত্তর-পূর্ব সীমান্ত জোন)। ট্রলি ও ফাঁকা মেট্রোয় উঠে তিনি আপ ও ডাউন লাইন পরিদর্শন করেন। নতুন স্টেশনটিও খতিয়ে দেখে অনুমতি দেন। মেট্রো কর্তাদের একাংশের বক্তব্য, কিছু দিন পরেই পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিনক্ষণ স্থির হয়ে যাবে। এই অবস্থায় চটজলদি উদ্বোধন না হলে তা আবার পিছিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। মেট্রোর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার প্রত্যুষ ঘোষ বলেন, “ট্রেন চালানোর অনুমতি এসে গিয়েছে। তবে কবে থেকে চলবে তা এখনও স্থির হয়নি।” |
মেট্রো সূত্রে খবর, দমদম থেকে নোয়াপাড়া যেতে ৩ মিনিট। তার পরে লাইন বদল করে ফিরে আসতে আরও ৪ মিনিট সময় লাগবে। ফলে দমদম থেকে যাতায়াত করতে সময় লাগবে অতিরিক্ত ৭ মিনিট।
নোয়াপাড়া স্টেশনটি যেখানে তৈরি হয়েছে, সেখানে যাতায়াতেরও সুব্যবস্থা করতে হবে। রাস্তাঘাটের কিছুটা ব্যবস্থা রয়েছে। তবে বাস, ট্যাক্সি বা অটোর সুবিধা না থাকলে যাত্রীরা ওই স্টেশনটি ব্যবহার করতে চাইবেন না। ফলে মেট্রো কর্তৃপক্ষ ওই বিষয়টি নিয়েও চিন্তা ভাবনা করছেন। কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, রাস্তাঘাটের সমস্যার অনেকটাই সমাধান হয়েছে। তবে আপাতত ওই নতুন স্টেশন থেকে প্রায় পাঁচ হাজারের মতো যাত্রী হবে বলে মনে করছেন মেট্রো কর্তারা।
এই রুটটি তৈরি হয়ে যাওয়ায় দমদম থেকে বরাহনগর হয়ে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত মেট্রো লাইন পাতার কাজ অনেকটা এগিয়ে গেল। বারাসত পর্যন্ত লাইন নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রেও মেট্রোর অনেকটা সুবিধা হল। তবে দক্ষিণেশ্বর পর্যন্ত সম্প্রসারণের ক্ষেত্রে নোয়াপাড়ার পরে অনেকটা এলাকায় জমিই অধিগ্রহণ করা যায়নি। তাই কাজ থমকে গিয়েছে। ওই জমি-জট কবে কাটবে, তা মেট্রো কর্তারা বলতে পারছেন না। এক অবস্থা বারাসতেও। সেখানেও জমি-জটে আটকে গিয়েছে প্রকল্পের কাজ। সেই জট না কাটলে দমদম থেকে নোয়াপাড়া এই ২.১ কিলোমিটার সম্প্রসারণ মেট্রোর কতটা কাজে আসে, সেটাই দেখার। |