টুকরো খবর
দোকানিদের বিদ্যুৎ নিতে হবে সরাসরি
শহরে পুরসভার অধীনে থাকা ৪৬টি বাজারের দোকানগুলি এত দিন পুরসভার নামে নেওয়া মিটার থেকেই বিদ্যুৎ নিত। পুরসভাকে বিদ্যুতের বিল দিতেন দোকান-মালিকেরা। শুক্রবার পুরসভা, বাজার সমিতি এবং সিইএসসি-র এক বৈঠকে ঠিক হয়েছে, এ বার থেকে দোকানগুলি সরাসরি সিইএসসি-র কাছেই বিদ্যুৎ সংযোগ চাইবে। সেই মতো প্রতিটি বাজারে আলাদা মিটার বসাবে সিইএসসি। পুর প্রশাসনের দাবি, বাজারের নিরাপত্তা ও ব্যবসায়ীদের আর্থিক সুবিধার্থেই এই সিদ্ধান্ত। এ দিনের বৈঠকে ছিলেন মেয়র পারিষদ (বাজার) তারক সিংহ, যুগ্ম পুর কমিশনার তাপস চৌধুরী-সহ পুর বাজার সিইএসসি-র অফিসারেরা। তারকবাবু জানান, পুর বাজারগুলি এখন হাইটেনশন লাইনের বিদ্যুতে চলে। এর মূল্যও বেশি। যা মেটাতে হয় ব্যবসায়ীদের। তা ছাড়া, একটি মিটারে অনেক দোকানের সংযোগ থাকায় ইউনিটও বেশি ওঠে।
তারকবাবু বলেন, “পৃথক মিটারের জন্য ব্যবসায়ীরা আবেদন করেন। তা ভেবেই পুরসভা বিদ্যুৎ সরবরাহের দায়িত্ব ছেড়ে দিচ্ছে।” পুর সূত্রের খবর, সিইএসসি বাজারে ব্লক মিটার বসানোর কথা ভাবছে। তাতে রাজি নন ব্যবসায়ীরা। বাজার সমিতির পক্ষে তারকনাথ ত্রিবেদী বলেন, “আমরা প্রতিটি দোকানের জন্য আলাদা মিটারের শর্তেই পুরসভার বিদ্যুতের লাইন ছাড়ব।” এ বিষয়ে মেয়র পারিষদ (বাজার) তারক সিংহ বলেন, “হাইকোর্টের রায়ে ব্লক মিটার বসানোর কথা বলা হয়েছে। তা মানতে আমরা বাধ্য।”

রবীন্দ্রভারতীর ছাত্র-নিগ্রহে তদন্তের নির্দেশ কমিশনের
রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রহৃত শিক্ষকের পাশে দাঁড়ানোয় এক ছাত্রকে বেদম মারধর করা হয়েছিল। সেই ঘটনার তদন্ত করার জন্য রাজ্য মানবাধিকার কমিশন স্বতঃপ্রণোদিত ভাবে নির্দেশ দিয়েছে কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে। ১৫ মে রবীন্দ্রভারতীতে বিএ পার্ট টু পরীক্ষায় এক ছাত্রীকে নকল করতে বাধা দিয়েছিলেন সংস্কৃত বিভাগের শিক্ষক প্রদীপ দাস। তার পরেই তাঁকে মারধর করা হয়। ওই ঘটনায় অভিযোগ ওঠে বিশ্ববিদ্যালয়েরই তৃণমূল ছাত্র পরিষদ বা টিএমসিপি নেতা বিশ্বজিৎ দে এবং তাঁর তিন সঙ্গীর বিরুদ্ধে। ওই শিক্ষককে মারধর করার প্রতিবাদে সরব হন সংস্কৃত বিভাগের ছাত্র প্রসেনজিৎ দাস। তাঁকেও মারধর করা হয়। আহত অবস্থায় তাঁকে ভর্তি করানো হয় আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। রাজ্য মানবাধিকার কমিশন সূত্রের খবর, সংস্থার চেয়ারম্যান অশোককুমার গঙ্গোপাধ্যায় ওই ঘটনার তদন্ত করার জন্য শুক্রবার কলকাতার পুলিশ কমিশনারকে নির্দেশ দিয়েছেন। নির্দেশে বলা হয়েছে, কোনও উচ্চপদস্থ অফিসারকে দিয়ে তদন্ত করিয়ে দু’সপ্তাহের মধ্যে কমিশনে রিপোর্ট জমা দিতে হবে।

পুরনো খবর:

কাজে ‘গাফিলতি’, সরলেন দুই ইঞ্জিনিয়ার
কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগে ১০ নম্বর বরোর দুই ইঞ্জিনিয়ারকে বিল্ডিং বিভাগ থেকে সরাল পুর-প্রশাসন। ওই বরো এলাকায় এক প্রোমোটার পরপর ১২টি বেআইনি বাড়ি নির্মাণ করেন। অথচ বরোর দুই ইঞ্জিনিয়ার কোনও ব্যবস্থা নেননি বলে অভিযোগ। পুর সূত্রের খবর, ১৫ মে পুরসভার তরফে ওই প্রোমোটারের একটি বেআইনি বাড়ি ভাঙা হয়। তার পরেই ওই প্রোমোটারের জনা কয়েক সঙ্গী সংশ্লিষ্ট বরোর এগ্জিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ারকে হেনস্থা করেন বলে অভিযোগ। পুরসভার এক অফিসারের কথায়, বরোর ইঞ্জিনিয়ারদের চোখের সামনে একই এলাকায় এক জন প্রোমোটার এতগুলো বেআইনি বাড়ি কী ভাবে করল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে পুরসভায়। বুধবার পুর-কমিশনার খলিল আহমেদ ওই বরোর অ্যাসিস্ট্যান্ট ও সাব-অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ারকে বিল্ডিং দফতর থেকে সরিয়ে বাজার দফতরে বদলি করেন। যদিও বাজার দফতরের এক অফিসারের বক্তব্য, “দফতর বদল কোনও শাস্তি হতে পারে না। এটা পুরোপুরি লোক-দেখানো।”

যুবককে কুপিয়ে খুন, দাদার যাবজ্জীবন
ভবানীপুরে ভাইকে খুনের অপরাধে দাদা আজিজুল মোল্লাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিল আলিপুর আদালত। এসএসকেএম হাসপাতালের পিছনে ঝুপড়িতে থাকতেন পিন্টু মোল্লা। পারিবারিক বিবাদের জেরে ২০০৭ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর ঘুমন্ত অবস্থায় পিন্টুকে তলোয়ার দিয়ে কুপিয়ে খুন করে তাঁর দাদা আজিজুল। শুক্রবার জেল-হাজত থেকে আজিজুলকে দ্বিতীয় ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টে আনা হয়। বিচারক বিকাশ বণিক কারাদণ্ডের সঙ্গে তার পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাও করেন। জরিমানা অনাদায়ে আরও এক বছর কারাবাসের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে জানান সরকারি আইনজীবী শিবনাথ অধিকারী।

গঙ্গা থেকে মৃতদেহ উদ্ধার
গঙ্গা থেকে শুক্রবার দুপুরে এক মহিলার মৃতদেহ উদ্ধার করল পুলিশ। রিনা গঙ্গোপাধ্যায় (৫০) নামে ওই মহিলা বাগবাজারের বাসিন্দা। পুলিশের অনুমান, স্নান করতে গিয়ে পা পিছলে পড়ে গিয়ে ডুবে যান তিনি। তাঁর মৃতদেহ ভেসে উঠতে দেখে স্থানীয়েরা পুলিশে খবর দেন। এ দিনই দুপুর ১২টা নাগাদ তক্তাঘাট জেটির কাছে এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়েছে। স্থানীয়েরা বছর পঞ্চাশের ওই ব্যক্তির দেহ ভেসে উঠতে দেখেন। দক্ষিণ বন্দর থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহটি ময়না-তদন্তে পাঠায়। পুলিশ সূত্রে খবর, অনেক ক্ষণ জলে থাকার জন্য দেহটিতে পচন ধরে গিয়েছিল। তবে মৃতদেহে কোনও ক্ষতচিহ্ন মেলেনি।

চলল নতুন ট্রাম
ট্রাম পরিবহণ ব্যবস্থাকে পুনরুজ্জীবিত করতে সিটিসি-র নয়া উদ্যোগ শুরু হল। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ছবি ও কথায় সাজানো ২২ আসনের বিশেষ যাত্রিবাহী ট্রামটির নাম ‘বলাকা’। এর দু’দিকেই ইঞ্জিন থাকবে। ট্রামটি এ দিন সকালে চলেছে এসপ্ল্যানেড-শ্যামবাজার রুটে। বিকেলে চলল এসপ্ল্যানেড ও খিদিরপুরের মাঝে। শুক্রবার ট্রামটির উদ্বোধন করেন সিটিসি-র চেয়ারম্যান শান্তিলাল জৈন। তিনি জানান, যাত্রীপিছু ভাড়া হবে দশ টাকা। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে শহরের বিভিন্ন রুটে এটি চলবে।

দুর্ঘটনায় মৃত্যু
গাড়ির ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছে এক ব্যক্তির। শুক্রবার দুপুর ১২টা নাগাদ দুর্ঘটনাটি ঘটেছে কসবা থানা এলাকার বোসপুকুর রোডে। পুলিশ জানিয়েছে, মৃত শম্ভু দাস (৩৫) ওই এলাকারই বাসিন্দা। এ দিন তাঁর বাড়ির সামনের রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময়ে গাড়িটি তাঁকে ধাক্কা দেয়। রক্তাক্ত অবস্থায় একটি বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন।

ফিরে গেল বিমান
প্রবল হাওয়ার দাপটে ঘুরিয়ে দিতে হল বিমান। শুক্রবার বিকেলে কুয়ালালামপুর থেকে কলকাতায় নামতে এসেছিল এয়ার এশিয়ার বিমানটি। কিন্তু কলকাতায় নামতে না পেরে সেটি ঢাকায় চলে যায়। ওই সময়ে অন্য যে বিমানগুলি নামার জন্য কলকাতার মাথায় আসে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে হয় তাদেরও। ফলে বেশ কিছু বিমান ছাড়তে দেরী হয়। প্রায় আধ ঘণ্টা পরে হাওয়ার দাপট কমলে একে একে নামে বিমানগুলি।

রাজীবের ছবি খোলায় উত্তেজনা
বরাহনগরের নোয়াপাড়ায় রাজীব গাঁধীর ছবি খোলা নিয়ে শুক্রবার সকালে উত্তেজনা ছড়ায়। প্রচুর পুলিশ যায়। স্থানীয় কংগ্রেস নেতা নিতাই মণ্ডল জানান, মঙ্গলবার তাঁরা ওই ছবি লাগিয়েছিলেন। এ দিন সকালে উঠে দেখা যায়, সেটি খুলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি লাগানো হয়েছে। তৃণমূল কর্মীরাই করেছেন বলে পুলিশে অভিযোগ জানানো হয়। বরাহনগরের তৃণমূল কাউন্সিলর অঞ্জন পাল জানান, অভিযোগ ভিত্তিহীন। রাজীব তাঁদের কাছেও শ্রদ্ধেয় নেতা।
 
 
 


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.