সরকারি চিকিত্সকেরা জেনেরিক নামে ওষুধ লিখছেন কি না, এ বার তা যাচাই করে দেখবে পুলিশ। স্বাস্থ্য দফতরের এই নয়া উদ্যোগ শুরু এসএসকেএম হাসপাতাল থেকে। বৃহস্পতিবার ভবানীপুর থানার দুই অফিসার এসএসকেএমে গিয়ে চিকিত্সকদের সঙ্গে কথা বলেন। মাস দুয়েক আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এসএসকেএমে গিয়ে চিকিত্সকদের কয়েকটি প্রেসক্রিপশন বাজেয়াপ্ত করেন। সেগুলি নিয়েই এ দিন তদন্ত শুরু হয়। এসএসকেএম সূত্রে খবর, বাজেয়াপ্ত করা প্রেসক্রিপশনগুলি ইএনটি ও অর্থোপেডিক বিভাগের। প্রতিটিতেই ব্র্যান্ডের নামে ওষুধ লেখা হয়েছে। কিন্তু চিকিত্সকের নাম স্পষ্ট করে বোঝা না যাওয়ায় নির্দিষ্ট ভাবে কাউকেই দায়বদ্ধ করা যাচ্ছে না। ভবানীপুর থানার ওসি বুদ্ধদেব মুখোপাধ্যায়, এসএসকেএমে ভবানীপুর থানার ফাঁড়ির ইনস্পেক্টর দিলীপ কুণ্ডু এ দিন হাসপাতালে তদন্তে যান। এসএসকেএমের সুপারের কাছে জানতে চান, ওই দিনগুলিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগে কোন কোন চিকিত্সক দায়িত্বে ছিলেন।
সুপার তমালকান্তি ঘোষ অবশ্য বলেন, “এখন অধিকাংশ প্রেসক্রিপশনই জেনেরিক নামে হচ্ছে। দু’একটি ক্ষেত্রে হয়তো বিচ্যুতি হয়েছে। নজর রাখছি।”
স্বাস্থ্য দফতর সূ্ত্রের খবর, মাস দুয়েক আগে আচমকাই এক সন্ধ্যায় এসএসকেএমে যান মুখ্যমন্ত্রী। তিনি ন্যায্য মূল্যের ওষুধের দোকানটিও ঘুরে দেখেন। সেখানেই অভিযোগ ওঠে, অধিকাংশ চিকিত্সক জেনেরিক নামে প্রেসক্রিপশন লিখছেন না। ফলে চিকিত্সার খরচ জোগাতে নাভিশ্বাস অবস্থা গরিব রোগীদের। ওই সময়েই তিনি হুঁশিয়ারি দেন, জেনেরিক নামে প্রেসক্রিপশন না লিখলে চিকিত্সকদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সেই হুঁশিয়ারি যে নেহাত্ কথার কথা ছিল না, এই তদন্তের সিদ্ধান্তেই তা স্পষ্ট করা হল বলে মনে করছেন স্বাস্থ্যকর্তারা। |