|
|
|
|
মুন্নার জামিন, দুশ্চিন্তায় তাপস চৌধুরীর পরিবার |
নিজস্ব সংবাদদাতা |
বাড়ির ভিতরে থমথমে আবহাওয়া। আশা ছিল, গৃহকর্তার হত্যায় মূল অভিযুক্তকে যখন পুলিশ গ্রেফতার করেছে, তখন শাস্তি তাঁর হবেই। কিন্তু বৃহস্পতিবার মুন্নার জামিনের খবর পেয়ে সেই আশা যে অনেকটাই ধাক্কা খেয়েছে, তা স্পষ্ট কলকাতা পুলিশের নিহত সাব-ইনস্পেক্টর তাপস চৌধুরীর পরিবারের সবার চোখে-মুখে।
বৃহস্পতিবার দুপুর দেড়টা। তার অনেক আগেই মুন্নাকে জামিন দিয়েছে আলিপুর আদালত। কিন্তু তাপসবাবুর বাড়ির লোকজনের কাছে খবরটা একটু দেরিতে পৌঁছলেও এক ধাক্কায় তা বদলে দিয়েছে বাড়ির ভিতরের চেহারা। দুপুরে খেতে বসে তাপসবাবুর স্ত্রী মিনতিদেবী এবং ছেলে তমাল টিভির পর্দায় আচমকাই দেখতে পান আদালত জামিন দিয়েছে মুন্নাকে। এর পরেই খাওয়া ছেড়ে সারাক্ষণ টিভির পর্দায় চোখ রেখে দু’জনেই বোঝার চেষ্টা করছিলেন কেন জামিন দেওয়া হল মুন্নাকে। খবর পাওয়ার পর থেকেই চোখে-মুখে চিন্তার ছাপ মিনতিদেবীর। |
|
মিনতিদেবী ও তমাল। |
বৃহস্পতিবার মুন্না ওরফে ইকবালকে জামিন দেয় আলিপুর আদালত। মায়ের অসুস্থতার কারণে জামিন দেওয়া হয় তাঁকে। ওই সময় তাপসবাবুর মেয়ে তনুশ্রী ছিলেন লর্ড সিন্হা রোডে পুলিশের স্পেশ্যাল ব্রাঞ্চে নিজের অফিসে। খবরটা সঙ্গে সঙ্গে পেলেও মা অযথা চিন্তা করবেন ভেবে বাড়িতে জানাননি। মেয়ের কাছ থেকে জানার আগেই অবশ্য টিভির পর্দা থেকে খবর পৌঁছে গিয়েছে তাপসবাবুর স্ত্রী মিনতিদেবীর কাছে। এ দিন তিনি বলেন, “মুন্নার মতো প্রভাবশালী ব্যক্তি ছাড়া পাওয়ায় আমার ছেলে-মেয়ের কোনও ক্ষতি হবে না তো? সিআইডি-র তদন্তে আশ্বাস ছিল বলেই সিবিআই তদন্ত চাইনি। কিন্তু আদালতের এই রায়ের পরে দোষীদের আর শাস্তি হবে কি না, সুবিচার পাওয়া যাবে কি না, বুঝতে পারছি না।” তিনি আরও জানান, তাপসবাবুর মৃত্যুর পরে দু’মাসের জন্য বাড়ির বাইরে পুলিশি পাহারা থাকলেও গত এক মাস ধরে তা আর নেই। কিন্তু পাহারা না থাকলেও এত দিন কোনও দুশ্চিন্তা ছিল না। বৃহস্পতিবার মুন্নার জামিনের রায়ের পর থেকে নিরাপত্তা নিয়ে বেশ চিন্তিত মিনতিদেবী।
এ দিকে, বাবার মৃত্যুর ঘটনায় মূল অভিযুক্ত জামিন পেয়ে যাওয়ায় ক্ষুব্ধ তাপসবাবুর ছেলে তমালের বক্তব্য, “কর্তব্যরত অবস্থায় বাবাকে যারা মারল, সেই মূল অভিযুক্তকে ছেড়ে দেওয়া হল। আশা করিনি এটা ঘটবে। আমি চাই বাবার মৃত্যুর জন্য যারা দায়ী, তাদের শাস্তি হোক।”
|
পুরনো খবর: আত্মীয়ের ফোন আসতেই মিনতির জগৎ অন্ধকার |
|
|
|
|
|