কোচবিহারের মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণের জন্মসার্ধশতবর্ষে স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশের আবেদন পেতেই মহারাজের সম্পর্কে তথ্য সংগ্রহে উদ্যোগী হল ডাক বিভাগ। গত ১৩ মে বিভাগের পশ্চিমবঙ্গ সার্কেলের চিফ পোস্ট মাস্টার জেনারেলের দফতর থেকে এই বিষয়ে দিনহাটা হেরিটেজ সোসাইটির কাছে চিঠি পাঠানো হয়। ডাক বিভাগের পাঠানো নির্দেশিকা মেনে মহারাজা নৃপেন্দ্রনারায়ণ বিষয়ক তথ্য পাঠানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে হেরিটেজ সোসাইটি।
আধুনিক কোচবিহারের রূপকার বলে পরিচিত নৃপেন্দ্র নারায়ণের ছবি সম্বলিত স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশের সম্ভবনা ঘিরে আশার আলো দেখছেন জেলার বাসিন্দারা। হেরিটেজ সোসাইটি সম্পাদক অরূপজ্যোতি মজুমদার বলেন, “মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণ বাংলার ক্রীড়া ক্ষেত্র ও উত্তর পূর্ব ভারতে শিক্ষা প্রসারেও প্রচুর অবদান রেখেছেন। সেসব মাথায় রেখেই বহু আগেই মহারাজার স্মারক ডাক টিকিট প্রকাশ হওয়া উচিত ছিল। দেরীতে হলেও জন্ম সার্ধশতবর্ষে সেটা হলে তা কোচবিহারের মানুষের বড়প্রাপ্তি হবে। ডাক বিভাগের নির্দেশিকা মেনে প্রয়োজনীয় তথ্য পাঠানো হচ্ছে।”
হেরিটেজ সোসাইটি সূত্রে জানা গিয়েছে, নৃপেন্দ্র নারায়ণ ১৮৬২ সালের ৪ অক্টোবর জন্মগ্রহণ করেন। ১৯১১ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর তাঁর মৃত্যু হয়। গত বছর মহারাজার জন্মদিনে কোচবিহার জুড়ে সাড়ম্বরে তাঁর জন্ম সার্ধশতবর্ষের অনুষ্ঠান হয়। এর পরেই গত ১০ মে ডাক বিভাগে সোসাইটির দিনহাটার সম্পাদক প্রস্তাব পাঠান। সেখান থেকেই নির্দিষ্টভাবে প্রস্তাব পাঠানোর পাশাপাশি প্রস্তাবিত ডাক টিকিটের নাম, কবে সেটা আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করা যেতে পারে, সেটির দাম কত করা যাবে এসব নিয়ে প্রস্তাব পাঠাতে বলা হয়েছে।
সেই সঙ্গে ৭০০ থেকে ১০০০ খানেক শব্দের মধ্যে মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণের নামে কেন ওই টিকিট প্রকাশের প্রস্তাব দেওয়া হচ্ছে তার সংক্ষিপ্ত বিবরণ জানতে চাওয়া হয়েছে। সোসাইটির দিনহাটা মহকুমা সম্পাদক শঙ্খনাদ আচার্য বলেছেন, “আমাদের আবেদনে উৎসাহ দেখিয়ে এত দ্রুত তথ্য জানতে চেয়ে ডাক বিভাগ চিঠি পাঠানোয় আমরা অভিভূত। মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণের কৃতিত্ব উল্লেখ করে নির্দেশিকা মেনে উত্তর পাঠাচ্ছি।” |