চিকিৎসকের অনিয়মিত আসা, চিকিৎসায় অবহেলার অভিযোগ তুলে চিকিৎসক-কর্মীদের প্রায় দু’ঘণ্টা ঘেরাও করে বিক্ষোভ দেখাল তৃণমূল সমর্থকরা। বুধবার ঘটনাটি ঘটেছে নন্দীগ্রামের মহেশপুর প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে। এলাকার তৃণমূল যুব নেতা সঞ্জয় পণ্ডার নেতৃত্বে চিকিৎসক বুদ্ধদেব মুর্মুকে বহিরবিভাগে রেখে বাইরে থেকে তালা দিয়ে সকাল ১১টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত ঘেরাও করে রাখেন তাঁরা। পরে ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক, পঞ্চায়েত সমিতির স্বাস্থ্য কর্মাধ্যক্ষ ও পুলিশের সঙ্গে আলোচনায় বর্তমান চিকিৎসকের বদলে অন্য এক চিকিৎসক নিয়োগের আশ্বাস দিলে ঘেরাও ওঠে।
নন্দীগ্রাম ১ ব্লকের ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র ছাড়াও ব্লকের গোকুলনগর এলাকার মহেশপুরে ও মহম্মদপুরে প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে। মহেশপুর বাজারের কাছে ওই স্বাস্থ্যকেন্দ্রে প্রতি দিন বহির বিভাগে শতাধিক রোগী আসেন। কিন্তু সেখানে আছেন মাত্র একজন চিকিৎসক। বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, চিকিৎসক নিয়মিত আসেন না। এলেও দেরি করে আসেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে ফার্মাসিস্ট ও নার্সরাই চিকিৎসা করেন। এ কথা ব্লক স্বাস্থ্য দফতরকে একাধিকবার জানালেও সুরাহা হয়নি। তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা যাবতায় অভিযোগ অস্বীকার করে চিকিৎসক বুদ্ধদেব মূর্মু বলেন, “আমি গত দশ বছর ধরে এখানে আছি। প্রতি মাসে প্রায় তিন হাজার রোগী এখানে আসেন। এলাকার বাসিন্দারা কোনও অভিযোগ তোলেননি। এখন এলাকার কিছু রাজনৈতিক ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থসিদ্ধির জন্য আমাকে বদলি করতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে অভিযোগ তুলে ঘেরাও করে।”
কিন্তু, চিকিৎসকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলে, বহিরবিভাগে তালা দিয়ে তাঁকে ঘেরাও করে রাখার ঘটনায় দলের কি সমর্থন আছে? নন্দীগ্রামের তৃণমূল নেতা তথা পঞ্চায়েত সমিতির সহ-সভাপতি আবু তাহের বলেন, “ওই চিকিৎসকের বিরুদ্ধে আগেই অভিযোগ এসেছিল। এ দিন স্থানীয় বাসিন্দারা তাঁকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখিয়েছেন শুনেছি। তালা দেওয়া হয়েছিল কিনা জানা নেই।” |