জানুয়ারি থেকে ১৮ মে পর্যন্ত কলকাতা পুর-এলাকায় ১৬ জনের রক্তে ডেঙ্গির জীবাণু মিলেছে। বুধবার মহাকরণে মশাবাহিত রোগ নিয়ে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে কলকাতা, বিধাননগর এবং হাওড়ার পুরকর্তা ও স্বাস্থ্য আধিকারিকদের বৈঠকে এ তথ্য ওঠে। কলকাতা পুরসভার মেয়র পারিষদ (স্বাস্থ্য) অতীন ঘোষ বলেন, “জল জমানোর বিরুদ্ধে প্রচার চালাচ্ছি। কোথাও মশার লার্ভা মিললে দু’বার নোটিস দেওয়া হবে। কাজ না হলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা সংস্থার বিরুদ্ধে মামলা হবে। পাঁচ হাজার টাকা পর্যন্ত জরিমানা বা এক মাসের জেল হতে পারে।” গত বছর কলকাতা ও বিধাননগর পুর-এলাকায় তুমুল ডেঙ্গি ছড়ানোয় পুরসভার গাফিলতির অভিযোগ ওঠে। হাসপাতালগুলিতেও বেডের সমস্যা হয়। এ বার আগেই তৎপর রাজ্য। মুখ্যমন্ত্রী ১৫ দিন অন্তর বৈঠক করছেন। অতীনবাবু জানান, এক সপ্তাহের মধ্যে ১৪১টি ওয়ার্ডে ১৫ হাজার ব্যানার, ৬০০ হোর্ডিং ও ১০০টি চিকিৎসা-ক্যাম্প হবে। তিনি বলেন, “৪৪০টি প্রচারসভাও করেছি।”
|
ভুয়ো ‘বিল’ করার অভিযোগ উঠেছে শিলিগুড়ি কলেজ লাগোয়া একটি নার্সিংহোমের বিরুদ্ধে। বুধবার অভিযোগ জানান রোগিণীর পরিবারের লোকেরা। দেশবন্ধুপাড়ার বাসিন্দা সঞ্জীব গোস্বামী তাঁর শাশুড়ি অঞ্জলিদেবীকে গত ২০ মে সন্ধ্যায় নার্সিংহোমে ভর্তি করান। মঙ্গলবার তিনি মারা যান। নার্সিংহোমের তরফে যে বিল দেওয়া হয় হিসাব করে পরিবারের লোকেরা দেখেন তাতে ৫ হাজার টাকা অতিরিক্ত চাওয়া হয়েছে। নার্সিংহোমের তরফে প্রতিদিন রোগীর পরিবারকে খরচের যে হিসাব দেওয়া হয়েছিল তার সঙ্গে মোট খরচের হিসাবের পার্থক্য দেখেই তা বুঝতে পারেন পরিজনেরা। কর্তৃপক্ষ প্রথমে বিষয়টি মানতে না চাইলেও পরে ভুল স্বীকার করেন। নার্সিংহোমের কর্ণধার এ কে বাসু বলেন, “বিল তৈরির দায়িত্বে যিনি ছিলেন তার ভুলেই ওই ঘটনা ঘটেছে। তাঁকে বরখাস্ত করা হবে। পরিবরের তরফে অভিযোগ পেয়ে তা খতিয়ে দেখে সমস্যা মেটানো হয়েছে।”
|
ভাটিবাড়ি গ্রামীণ স্বাস্থ্য কেন্দ্রকে স্টেট জেনারেল হাসপাতালে উন্নীত করবার দাবিতে সরব হলেন বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, ১৯৮১ সালে স্টেট জেনারেল হাসপাতাল হিসাবে ভাটিবাড়ি হাসপাতাল তৈরি হলেও পরে গ্রামীণ হাসপাতালে রূপান্তর করা হয়। রোগীর চাপ বাড়লেও স্বাস্থ্য দফতর ব্যবস্থা নিচ্ছে না। বুধবার ইউনাইটেড পেনশনার্স ফোরামের পক্ষ থেকে বিক্ষোভ দেখিয়ে সুপারকে স্মারকলিপি দেওয়া হয়েছে।
|
দুর্ঘটনার হাত থেকে রক্ষা পেলেন হলদিবাড়ি হাসপাতালের রোগীরা। মঙ্গলবার রাতে হাসপাতালে ছাদের একাংশের চাঁই খসে পড়ে। কেউ জখম না হলেও চাঞ্চল্য ছড়ায়। পুরসভার চেয়ারম্যান গৌরাঙ্গ নাগ বলেন, “হলদিবাড়ি হাসপাতাল সংস্কারের অভাবে ভুগছে। এমন ঘটলে রোগী ভর্তি হতে ভয় পাবে।” |