একশো দিনের মজুরি না পেয়ে পঞ্চায়েতে তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন গ্রামবাসীরা। বুধবার সকালে ফাঁসিদেওয়া ব্লকের কংগ্রেস পরিচালিত হেটমুড়ি সিঙ্গিঝোরা পঞ্চায়েতে। প্রায় তিনঘণ্টা তালা ঝুলিয়ে বিক্ষোভ চলার পর বিডিও বীরুপাক্ষ মিত্র ও ফাঁসিদেওয়া পঞ্চায়েত সমিতির কংগ্রেসের সভাপতি প্রণবেশ মণ্ডল ঘটনাস্থলে যান। তাঁরা বিক্ষোভকারীদের বুঝিয়ে শুনিয়ে পরিস্থিতি সামাল দেন। প্রশাসনিক সূত্রের খবর, কাল শুক্রবারের মধ্যে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে বিস্তারিত রিপোর্ট দিতে বলা হয়েছে।
বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, পঞ্চায়েত সমিতির তরফ থেকে টাকা পাঠানো হলেও তা ডাকঘর এবং ব্যাঙ্কে জমা পড়েনি। পঞ্চায়েতের একাংশ সদস্য এবং কর্মী যোগসাজশ করে তা আত্মসাত করার চেষ্টা করছেন বলে অভিযোগ তোলা হয়েছে। বিডিও বলেন, “অভিযোগ পেয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারি টাকা নয়ছয়ের ঘটনা ঘটলে তা কোনওভাবে বরদাস্থ করা হবে না।” আর সভাধিপতি বলেন, “আমরাও বিস্তারিত খোঁজখবর নিচ্ছি। ঠিক কী হয়েছে তা পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষকে খুঁজে বার করার জন্য বলা হয়েছে। আর যাঁরা কাজ করেছেন, তাঁরা টাকার মেটানোর ব্যবস্থা করা হবে।” পঞ্চায়েত সূত্রের খবর, ১০০ দিনের কাজের মাধ্যমে ওই গ্রাম পঞ্চায়েতের তাইপু চা বাগানে গত ২০১১-১২ সালের আর্থিক বছরে একটি খালের বাঁধ তৈরির কাজ শুরু হয়। পাথর, তারজালি দিয়ে বাঁধ তৈরির জন্য প্রায় ১২ লক্ষ টাকা বরাদ্দ করা হয়। তিন দফায় ১০ লক্ষ টাকা কাজ শেষ হয়। জবকার্ডধারীরা প্রাপ্য টাকা পেয়েও যান। শেষ কিস্তির প্রায় ১ লক্ষ ৮৮ হাজার টাকা নিয়ে গোলমাল দেখা দিয়েছে। প্রকল্পে কাজ করা জবকার্ডধারীদের অ্যাকাউন্টে টাকা জমা পড়েনি বলে অভিযোগ। প্রাথমিক তদন্তের পর ব্লক প্রশাসন জেনেছে, ওই টাকার মধ্যে ১ লক্ষ টাকার হদিশ মিলছে না। |