যান জট সমস্যা নিয়ন্ত্রণে ডিভাইডার কাটার উদ্যোগকে ঘিরে বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে। ফুটপাত দখল মুক্ত না-করে শুধুমাত্র ডিভাইডারের আয়তন কমিয়ে যানজট কতটা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হবে তা নিয়েও বিভিন্ন মহলে প্রশ্ন উঠেছে। শহরের পেট চিরে যাওয়া ফালাকাটা-ধূপগুড়ি রাজ্য সড়কে যানজটের সমস্যা দীর্ঘদিনের। ২০০৩ সালে ওই রাস্তায় পাঁচশো মিটার লম্বা ডিভাইডার তৈরি করে তৎকালীন সিপিএমের দখলে থাকা পুরসভা। পাঁচ ফুট চওড়া ওই ডিভাইডার তৈরির পর বাসিন্দারা স্বস্তিতে ছিলেন। দু’পাশের ফুটপাত দখল করে দোকান গজিয়ে ওঠায় ক্রমশ ওই রাস্তা বিপজ্জনক হয়। দুর্ঘটনা বেড়ে চলে। গত মাসে ট্রাকের ধাক্কায় মারা যান এক জন সাইকেল আরোহী। এর পরে বিভিন্ন মহলে ব্যস্ততম রাস্তা যানজট মুক্ত করার দাবি ওঠে। পুরসভা ওই সমস্যা মেটাতে সম্প্রতি ডিভাইডারের আয়তন কমানোর কাজ শুরু করে। ৩ লক্ষ টাকা বরাদ্দ হয়। তৃণমূল পরিচালিত বর্তমান পুরসভার চেয়ারম্যান শৈলেনচন্দ্র রায় বলেন, “অযৌক্তিক ভাবে চওড়া ডিভাইডার তৈরি করা হয়। এ জন্য যানজট সমস্যা বেড়েছে। সেটা পাঁচ ফুট থেকে কমিয়ে তিন ফুট করছি। এটা হলে যানজট কমবে।”
পুরসভার বিরোধী নেতা সিপিএমের বাদল সরকার বলেন, “ফুটপাত দখল মুক্ত করে ব্যবসায়ীর পুনর্বাসন জরুরি ছিল। তা না করে ডিভাইডার কমিয়ে যানজটের সমস্যা কেমন করে মিটবে বুঝছি না।” একই বক্তব্য ব্যবসায়ীদের। ধূপগুড়ির ব্যবসায়ীদের যৌথ সংগঠন ফোসিড সম্পাদক হিমাদ্রি সাহা বলেন, “শহরের যানজটের সমস্যা দূর করতে ফুটপাত দখল মুক্ত করা জরুরি।” |