হাওড়া লোকসভার উপনির্বাচন সুষ্ঠু ও অবাধ করার জন্য প্রতি বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের দাবি বুধবার দিল্লিতে মুখ্য নির্বাচন কমিশনারের কাছে জানালেন রাজ্য কংগ্রেস নেতৃত্ব।
কেন্দ্রীয় নগরোন্নয়ন প্রতিমন্ত্রী দীপা দাশমুন্সি এবং কংগ্রেস নেতা আব্দুল মান্নানকে নিয়ে মুখ্য নির্বাচন কমিশনার ভি এস সম্পতের সঙ্গে দেখা করেন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্য। পরে তিনি বলেন, “প্রতি বুথে আধা সামরিক বাহিনী মোতায়েন না হলে ভোট অবাধ হওয়া সম্ভব নয় বলে কমিশনকে জানিয়েছি।” কেন্দ্রীয় বাহিনী না থাকলে শাসক দল মানুষকে ভয় দেখিয়ে ভোটে কারচুপি করতে পারে বলেও তাঁদের আশঙ্কা। মুখ্য নির্বাচন কমিশনার তাঁদের আর্জি বিবেচনা করে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন বলে প্রদীপবাবু জানান। ভোটের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হওয়ার পরে রাজ্য সরকারের দু’বছর পূর্তিতে সংবাদপত্রে ঢালাও বিজ্ঞাপন দিয়ে তৃণমূল নির্বাচনী বিধি লঙ্ঘন করছে বলেও কমিশনের কাছে কংগ্রেস অভিযোগ জানিয়েছে।
হাওড়ার পাশাপাশি পঞ্চায়েতে প্রতি বুথে অন্তত দু’জন করে সশস্ত্র পুলিশ রাখার আর্জি নিয়ে এ দিনই রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডেকে প্রদেশ কংগ্রেসের সহ-সভাপতি দেবব্রত বসু এবং সম্পাদক মায়া ঘোষ চিঠি দেন। হাওড়া ভোট অবাধে করার আর্জি নিয়ে আজ, বৃহস্পতিবার রাজ্যের মুখ্য নির্বাচন আধিকারিকের সঙ্গে কংগ্রেসের প্রতিনিধিদল দেখা করবে।
অবাধ পঞ্চায়েত ভোটের আর্জি নিয়ে ফব-র সম্পাদকমণ্ডলীর তিন সদস্য জয়ন্ত রায়, উদয়ন গুহ এবং হাফিজ আলম সৈরানি এ দিন মীরা পাণ্ডের সঙ্গে দেখা করেন। কমিশনের কাছে তাঁদের বক্তব্য, রাজ্য সরকার যে ভাবে পঞ্চায়েত ভোট করতে চাইছে, তাতে কমিশনের আপত্তি ছিল বলেই জল এত দূর গড়িয়েছে। এপ্রিলের বদলে ভোট জুলাইয়ে হচ্ছে। কিন্তু রাজ্যের কথাই যদি শেষ পর্যন্ত কমিশন মানে, তা হলে এত বিতর্কের কী প্রয়োজন ছিল? ফব-র কোচবিহার জেলার সম্পাদক উদয়নবাবুর দাবি, ওই জেলায় ২২৮৮টি বুথের মধ্যে দু’হাজার স্পর্শকাতর। সুষ্ঠু ভোটের জন্য সব করা হচ্ছে বলে কমিশনার উদয়নবাবুদের আশ্বাস দিয়েছেন। |