টুকরো খবর
কোন ত্রুটিতে লোডশেডিং, দেখতে কমিটি রাজ্যের
রাজ্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ পরিকাঠামোর ত্রুটিবিচ্যুতি চিহ্নিত করে সেগুলি দূর করার উপায় বাতলাতে কমিটি গড়ল রাজ্য সরকার। কমিটির শীর্ষে আছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী মণীশ গুপ্ত। পরামর্শদাতা হিসেবে রাখা হয়েছে বিদ্যুৎসচিব মলয় দে, বণ্টন সংস্থা এবং বিদ্যুৎ উন্নয়ন পর্ষদের দুই চেয়ারম্যান রাজেশ পাণ্ডে ও বরুণ দে-কেও। দক্ষিণ ২৪ পরগনার মগরাহাট বিদ্যুৎ চুরি বন্ধ করতে গিয়ে ধুন্ধুমার কাণ্ডের পর থেকে হুকিং-বিরোধী অভিযান কার্যত বন্ধ। আবার জমি-সমস্যায় বিদ্যুতের লাইন টানতে গেলে বিক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে বিদ্যুৎকর্তাদের। তার সঙ্গে গোদের উপরে বিষফোড়া হয়ে দেখা দিয়েছে বিদ্যুৎ সরবরাহ লাইনের রক্ষণাবেক্ষণের সমস্যা এবং পরিকাঠামোগত ত্রুটিবিচ্যুতি। বিদ্যুতের বিল আদায়েও গাফিলতি ধরা পড়েছে। মহাকরণে অভিযোগ আসছে, পর্যাপ্ত বিদ্যুৎ থাকতেও বহু জেলায় লোডশেডিং হচ্ছে। লো-ভোল্টেজের জন্য ভুগতে হচ্ছে গ্রাহকদের। বিদ্যুৎ দফতর সূত্রের খবর, এই সব সমস্যা কী ভাবে মেটানো যায়, সেই বিষয়ে সরকারের কাছে সুপারিশ করবে নতুন কমিটি। এক বিদ্যুৎকর্তা জানান, সমস্যা মেটানোর পথ খুঁজে পাওয়া কঠিন নয়। কিন্তু সংস্থার ইঞ্জিনিয়ার ও কর্মীদের একাংশের সদিচ্ছার অভাব রয়েছে। নতুন কমিটিকে সেই দিকটিও মাথায় রাখতে হবে।

ভোটের বাসে বাড়তি ভাড়া দাবি
পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাস দিলে বেশি ভাড়ার দাবি তুলল রাজ্যের দু’টি বাস-মালিক সংগঠন। রাজ্য নির্বাচন কমিশন ও রাজ্যের কাছে এই দাবি জানিয়েছে তারা। কমিশন সূত্রের খবর, দাবি সঙ্গত বলেই মনে করা হচ্ছে। দু’-এক দিনের মধ্যে এ নিয়ে সরকারের সঙ্গে কথা বলবে কমিশন। রাজ্যের পরিবহণ দফতরের এক কর্তা বলেন, “কমিশনের সুপারিশ এলে বিষয়টি অর্থ দফতরে পাঠানো হবে।” জয়েন্ট কাউন্সিল অফ বাস সিন্ডিকেটস ও বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেটের নেতারা জানান, এত দিন ভোটে বাস নিলে দৈনিক ১১০০ টাকা ভাড়া এবং চালক-কন্ডাক্টরদের খাবারের জন্য দৈনিক ৪০ টাকা দেওয়া হত। এ বার সাধারণ বাস ভাড়া আড়াই হাজার, নেহরু মিশন, জেলার বাসের ভাড়া তিন হাজার করার দাবি জানানো হয়েছে। চালক-কন্ডাক্টরদের খাওয়ার জন্য দৈনিক মাথাপিছু ১৫০ টাকা করার দাবিও জানায় দু’টি সংগঠন।

সরকারি হোমে হাতের কাজ
জেলে দণ্ডিত বন্দিদের হাতের কাজ শেখানোর ব্যবস্থা আছে। সেই ধাঁচে এ বার সরকারি হোমের আবাসিকদেরও হাতের কাজ শেখানো হবে। রাজ্যের সমাজকল্যাণ মন্ত্রী সাবিত্রী মিত্র বুধবার জানান, বন্দিরা মুক্তি পাওয়ার পরে যাতে হাতের কাজ করে সংসার চালাতে পারেন, সেই জন্যই জেলে হাতের কাজ শেখানো হয়। একই উদ্দেশ্যে হোমের আবাসিকদের সেলাই, জেলি-আচার তৈরি, জরির কাজ ইত্যাদি শেখানো হবে। বিউটিশিয়ান কোর্সের ব্যবস্থাও থাকবে। মন্ত্রীর কথায়, “রাজ্যে ২৮টি সরকারি হোমেই হাতের কাজে দক্ষ লোকেদের দিয়ে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। এই খাতে বছরে হোম-পিছু খরচ ধরা হয়েছে প্রায় ছ’লক্ষ টাকা।” মন্ত্রীর যুক্তি, কাজের মধ্যে থাকলে আবাসিকদের মধ্যে খারাপ চিন্তা ঢুকবে না। হোমের পরিবেশও ভাল হবে। নজরদারির জন্য প্রতিটি হোমেই ক্লোজ্ড সার্কিট ক্যামেরা বসানো হচ্ছে। কোন হোমে কী ধরনের কাজ হচ্ছে, তা ধরা থাকবে ক্যামেরায়।

ত্বহার কাছে চাকরিপ্রার্থীরা
পিএসসি-র প্যানেলভুক্ত হয়েও চাকরি না পাওয়া ভুক্তভোগীদের সংখ্যালঘু অংশ বুধবার ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা ত্বহা সিদ্দিকির দ্বারস্থ হল। চাকরি না পেলে গণ আত্মহত্যা করবেন বলে হুমকি দিয়েছেন ওই আন্দোলনকারীরা। এ দিন ত্বহা বলেন, “ওঁদের বলেছি, বাঁচতে হবেই। মুখ্যমন্ত্রীকে ওঁদের দাবি মানতে অনুরোধ করব।” ত্বহার ক্ষোভ, রাজ্য বেকারদের চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পালন করছে না।



First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.