নির্বাচনী বৈঠক
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া |
পঞ্চায়েত নিবার্চনের প্রস্তুতি শুরু করে দিল পুরুলিয়া জেলা প্রশাসন। বুধবার পুরুলিয়া জেলা পরিষদ হলে জেলার ২০টি ব্লকের বিডিও ও থানার ওসি, আইসিদের নিয়ে বৈঠক করেন জেলাশাসক মহম্মদ গুলাম আলি আনসারি ও পুলিশ সুপার সি সুধাকর। পুলিশ ও প্রশাসনের অন্য আধিকারিকেরাও ছিলেন। তাঁরা নিজেদের মধ্যে সমন্বয় রেখে কী ভাবে কাজ করবে তার প্রাথমিক রূপরেখা তৈরি হয় বলে জানা গিয়েছে। জেলাশাসক বলেন, “এ বার জেলায় ৮টি অতিরিক্ত বুথ নিয়ে মোট বুথের সংখ্যা ২২৯৫টি। তার মধ্যে স্পর্শকাতর বা অতিরিক্ত স্পর্শকাতর বুথগুলি চিহ্নিত করা হচ্ছে।” গোয়েন্দা সূত্রের খবর, অযোধ্যাপাহাড় লাগোয়া পাঁচটি ব্লক, বান্দোয়ান, বরাবাজার, জয়পুর, পুরুলিয়া ২, রঘুনাথপুর, নিতুড়িয়া ও অন্যান্য ব্লকের রাজনৈতিক উত্তেজনা প্রবণ এলাকাগুলি ধরে এই সংখ্যা এক হাজারে পৌঁছে যাবে।
|
ফের হার ছিনতাই
নিজস্ব সংবাদদাতা • পুরুলিয়া |
এক সপ্তাহের মধ্যে ফের পুরুলিয়া শহরে বুধবার সাত সকালে হার ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটল। এ বার নিমটাঁড়-বেলগুমা (পাম্পহাউস) রাস্তায়। নিমটাঁড়ের বাসিন্দা প্রাথমিক স্কুলের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষিকা মীরা মণ্ডল দুধ কিনতে যাওয়ার সময় একটি মোটরবাইকে দুই দুষ্কৃতী পিছন থেকে এসে তাঁর গলায় হার ছিনিয়ে নিয়ে পালায় বলে অভিযোগ। তাঁদের ঠেলায় পড়ে গিয়ে মীরাদেবীর হাতে চোট পান। দিন পাঁচেক আগে এই শহরের শরৎ সেন কম্পাউন্ডের রাস্তাতেও একই কায়দায় এক শিক্ষিকার হার ছিনতাই করার অভিযোগ উঠেছিল। বার বার এই ঘটনায় ক্ষুদ্ধ বাসিন্দারা।
|
বাসে ‘হামলা’
নিজস্ব সংবাদদাতা • সোনামুখী |
বাঁকুড়ায় দলের জনসভায় যোগ দিতে যাওয়ার পথে দু’টি বাস থামিয়ে তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকদের মারধর করার অভিযোগ উঠল। বুধবার বিকেলে সোনামুখী থানার পাথরমোড়া গ্রামের ঘটনা। সোনামুখীর বাসিন্দা যুব তৃণমূলের জেলা সভাপতি সুরজিৎ মুখোপাধ্যায়ের অভিযোগ, “সিপিএমের দুষ্কৃতীরাই আমাদের কর্মীদের বাস থেকে নামিয়ে মারধর করেছে।” সোনামুখীর সিপিএম পুরপ্রধান কুশল বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাল্টা দাবি, “বাস আটকে মারামারি করেছে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠী। আমাদের মিথ্যা জড়ানো হচ্ছে।” পুলিশ জানিয়েছে, মৌখিক অভিযোগ পেয়ে বিষয়টি তারা খতিয়ে দেখছে।
|
স্কুল পরিচালনায় দুর্নীতিতে অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষকদের গ্রেফতারের দাবি তুলল যুব তৃণমূল। সম্প্রতি কাশীপুর থানা ও কাশীপুরের সার্কেল ইনস্পেক্টরের এর কাছে ওই দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে যুব তৃণমূল। কাশীপুর ব্লকের মণিহারা ও বেকো হাইস্কুলের দুই প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে মিড-ডে মিলের হিসেব-সহ স্কুল পরিচালনায় পুলিশের কাছে দুর্নীতির অভিযোগ দায়ের করেছিলেন কাশীপুরের বিডিও। গত বছরের ডিসেম্বর মাসে অভিযোগগুলি হয়। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই শিক্ষকেরই বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা হয়েছে। পুলিশের দাবি, অভিযোগ জমা পড়ার পর থেকেই ওই দুই শিক্ষক পলাতক। তাই তাঁদের ধরা যাচ্ছে না। যুব তৃণমূলের কাশীপুরের ব্লক সভাপতি হামিদ আনসারির দাবি, “অভিযুক্ত দুই শিক্ষকের মধ্যে এক জন এলাকায় রয়েছেন। মাঝে মধ্যে স্কুলেও আসছেন তিনি। তবু পুলিশ তাঁকে ধরছে না।” পুলিশ অবশ্য সেই অভিযোগ মানেনি।
|
বচসার জেরে স্ত্রী-র মাথায় মুগুরের বাড়ি মেরে খুন করার অভিযোগে স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। ইন্দাস থানার বৈকুণ্ঠপুর গ্রামে মঙ্গলবার বিকেলের ঘটনা। পুলিশ জানিয়েছে, নিহত বধূর নাম মালতী মাঝি (৪২)। তাঁকে খুনের অভিযোগে বুধবার সকালে তাঁর স্বামী লাল্টু মাঝিকে ধরা হয়। মৃতার ভাই সুকুমার সাঁতরা মঙ্গলবার রাতেই পুলিশের কাছে জামাইবাবুর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন। মঙ্গলবার বিকেলে বাড়ির পাশে মাঠ থেকে মালতী গরু আনতে গেলে সেখানেই তাঁর স্বামীর সঙ্গে বিবাদ হয়। তখনই লাল্টু স্ত্রী-র মাথায় মুগুর দিয়ে আঘাত করেন বলে অভিযোগ। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়। পুলিশ দেহটি ময়নাতদন্তে পাঠায়। |