পিস্তল দেখিয়ে ডাকঘর থেকে লুঠপাটের অভিযোগ উঠল কেন্দা থানার বালকডি ডাকঘরে। বুধবার বেলা পৌনে ১১টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে। পুলিশ সুপার সি সুধাকর বলেন, “দুষ্কৃতীদের সন্ধান চলছে।”
বালকডি ডাকঘরের পোস্টমাস্টার অচিন্ত্য পরামানিকের অভিযোগ, “ডাকঘরের ভিতরে আমরা তিন জন কর্মী ছিলাম। রুমাল দিয়ে মুখ ঢাকা দুই যুবক ক্যাশ বাক্সের সামনে এসে দাঁড়ায়। হঠাৎ তাদের মধ্যে একজন কোমর থেকে পিস্তল বের করে আমার মাথায় ঠেকিয়ে টাকা চায়। বাধা দিলে অন্য যুবক আমাকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেয়। তারপর আমাকে চড়, ঘুষি মারতে থাকে। ওরা ক্যাশবাক্স থেকে টাকা বের করে চম্পট দেয়।” অন্য ডাককর্মী রাখাল বিদ, গৌতম বিদ বলেন, “সব কিছু এত অল্প সময়ের মধ্যে ঘটে গেল যে কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওরা লুঠ করে পালায়।” তাঁদের দাবি, বাইরে আরও দু’জন কর্মী ছিলেন। কোলাপসিবলের দরজা আটকে তারা বাইরে থেকে লোকেদের ঢুকতে দেয়নি।
কেন্দা বাজারের মধ্যে একতলার একটি ছোট ঘরে ডাকঘরটি চলে। স্থানীয় বাসিন্দা সামসুর আনসারি, অশোক মাহাতো বলেন, “এত বড় ঘটনা ঘটল, অথচ বাইরে থেকে কেউ কিছু টের পেল না। খুবই আশ্চর্যের ব্যাপার।” অচিন্ত্যবাবু জানান, দুষ্কৃতীদের হাতে বন্দুক থাকায় তাঁরা চিৎকার করে লোকেদের ডাকতে পারেননি। তবে ঘটনার পরেই তাঁরা থানায় খবর দিয়েছিলেন। বাসিন্দারা জানান, ডাকঘর থেকে কয়েকজন যুবককে হন্তদন্ত হয়ে বেরিয়ে মোটরবাইকে চড়ে চলে যেতে তাঁরা দেখেছিলেন। কিন্তু গরমের জন্য অনেক পথচারীই মুখে রুমাল বেঁধে ঘোরেন বলে তাঁদের দেখে কারও সন্দেহ হয়নি। জেলা পোস্টাল সুপারিটেন্ডেন্ট বিধান আচার্য বলেন, “কত টাকা লুঠ হয়েছে তা খোঁজ নিয়ে দেখা হচ্ছে। কোনও কর্মীর ক্রুটি রয়েছে কি না তাও খতিয়ে দেখা হবে।” পুলিশ জানিয়েছে, সব সম্ভাবনা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। |