টুকরো খবর |
তৃণমূল থেকে বিজেপিতে
নিজস্ব সংবাদদাতা • ব্যারাকপুর |
পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে শুরু হয়ে গেল দল বদলের খেলা। বুধবার সদলবলে বিজেপিতে যোগ দিলেন শ্যামনগরের তৃণমূল নেতা অরুণ ব্রহ্ম। দীর্ঘদিন ধরেই শ্যামনগরে তৃণমূলের দলীয় কোন্দলটা প্রকট হচ্ছিল। গত বিধানসভা নির্বাচনের আগে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে সভা করতে যাওয়ার সময় প্রাক্তণ মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যকে কালো পতাকা দেখানোর চেষ্টা করেন অরুণবাবু। তা নিয়ে দলে বিস্তর শোরগোল হয়। এমনকি স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক পরশ দত্তকে বলতে শোনা যায়, ‘অরুণবাবু তৃণমূলের কেউ নন।’ অরুণবাবু অবশ্য নিজেকে তৃণমূলের স্থানীয় যুব সভাপতি হিসাবে পরিচয় দিয়ে বলেন, ‘‘দলের জন্য কাজ করতে চেয়েছিলাম কিন্তু বারবার গোষ্ঠীদ্বন্দের শিকার হওয়ায় শেষ পর্যন্ত আমার চার হাজার অনুগামীকে নিয়ে দল বদলের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।’’ এদিন বিকালে শ্যামনগর ঝাউতলায় একটি অনুষ্ঠান বাড়িতে বিজেপি নেতা তথাগত রায়ের উপস্থিতিতে বিজেপিতে যোগ দেন অরুণবাবুরা। সেখানে একটি কর্মী শিবিরও হয়। তথাগতবাবু বলেন, ‘‘পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে অরুণবাবুদের দলে যোগ দেওয়াটা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ। আমাদের দল উপকৃত হবে।’’ এত লোক নিয়ে বিজেপিতে চলে যাওয়ার বিষয়টি অবশ্য আমল দিচ্ছে না তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি মুকুল রায় বলেন, ‘‘অরুণ আমাদের সমর্থক ছিল, এর বেশি কিছুই না। ও থাকল কি না থাকল তাতে দলের কিছু আসে যায় না। নির্বাচনে এর কোনও প্রভাবও পড়বে না।’’
|
মাদ্রাসার ফলে উজ্জ্বল ডায়মন্ড হারবার ও বনগাঁ
নিজস্ব প্রতিবেদন |
|
ইমরান আলি দফাদার।
—নিজস্ব চিত্র। |
সদ্য প্রকাশিত মাদ্রাসা পরীক্ষায় ভাল ফল করল ডায়মন্ড হারবার ও বনগাঁর পরীক্ষার্থীরা। ডায়মন্ড হারবার মহকুমার সপ্তগ্রাম দারুল উলুম সিনিয়র মাদ্রাসার ছাত্র সানোয়ার হোসেন পাইক আলিম পরীক্ষায় দ্বিতীয় হয়েছেন। সানোয়ারের বাড়ি কাকদ্বীপের ঢোলাহাটে। বাবা পেশায় গাড়ি চালক। ভবিষ্যতে শিক্ষক হতে চায় সে। অন্যদিকে ফাজিল পরীক্ষায় মেধা তালিকায় ১৪ তম স্থান পেয়েছেন ইমরান আলি দফাদার। তাঁর বাড়ি বনগাঁর ভীড়া গ্রামে। বড় হয়ে পুলিশ অফিসার হতে চায় ইমরান। তাঁর কথায়, “বনগাঁয় দুষ্কৃতী তাণ্ডব বেড়ে গিয়েছে। সন্ধ্যার পর রাস্তায় বেরোতে ভয় লাগে। সেই অবস্থার পরিবর্তন করতে চাই।” ইতিমধ্যেই তাঁর বাড়িতে পৌঁছে গিয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর শুভেচ্ছাবার্তাও।
|
ট্রেন থেকে পড়ে জখম ছাত্রী
নিজস্ব সংবাদদাতা • ডায়মন্ড হারবার |
এক ছাত্রীকে ট্রেন থেকে ফেলে দেওয়ার অভিযোগ উঠল তাঁর প্রেমিকের বিরুদ্ধে। বুধবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে ডায়মন্ড হারবার-শিয়ালদা শাখার গুরুদাস নগর স্টেশনের কাছে। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত ছাত্রীর নাম সুরাইয়া খাতুন। সে মগরাহাটের উড়েলচাঁদপুর গ্রামের মল্লিকপাড়ার বাসিন্দা। এ দিন ডায়মন্ড হারবার থেকে ট্রেনে বাড়ি ফিরছিল সে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, ট্রেনে কারুর সঙ্গে কথা কাটাকাটি হচ্ছিল তাঁর। গুরুদাসনগর এবং নাতড়া স্টেশনের মাঝামাঝি হঠাৎই ট্রেন থেকে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়। পুলিশ ও স্থানীয় লোকজন তাকে তুলে নিয়ে গিয়ে ডায়মণ্ড হারবার মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করে।
|
লগ্নিসংস্থার কর্তা গ্রেফতার
নিজস্ব সংবাদদাতা • অশোকনগর |
প্রতারণার অভিযোগে একটি অর্থলগ্নি সংস্থার ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে সোমবার রাতে গ্রেফতার করল পুলিশ। অশোকনগরের স্থানীয় বিড়া স্টেশন থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে ৬০ থেকে ৬৫ লক্ষ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ জানিয়েছে ধৃতের নাম ইলিয়াস সাহাজি। বাড়ি স্থানীয় খোশদেলপুর এলাকায়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, ২০০২ সালে গুমাপল্লি উন্নয়ন সমিতি নামে একটি অর্থলগ্নি সংস্থা খোলেন তিনি। প্রথম দিকে আমানতকারীদের অর্থ ফেরত দেওয়া হলেও ২০১১ সালের শেষ দিক থেকে অর্থ ফেরত দেওয়া বন্ধ হয়ে যায়। অফিসও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
|
পুকুর নিয়ে বিবাদ, ধৃত ৭
নিজস্ব সংবাদদাতা • বাসন্তী |
স্থানীয় একটি পুকুরকে কেন্দ্র করে ছিল দীর্ঘদিন ধরেই ছিল দুই পরিবারের মধ্যে বিবাদ। মঙ্গলবার রাতে সেই বিবাদ থেকে মারামারির ঘটনায় তেতে ওঠে দক্ষিণ ২৪ পরগনার বাসন্তীর ভাঙনখালি এলাকা। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ওই গ্রামেরই বাসিন্দা মিয়ারাজ মোল্লা, আহমেদ দেওয়ানদের সঙ্গে একটি পুকুর নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে গণ্ডগোল চলছিল ঝন্টু মল্লিকদের। দু’পক্ষের ইটের ঘায়ে জখম হন সাত জন। পরিস্থিতি সামাল দিতে বিশাল পুলিশবাহিনী নিয়ে ঘটনাস্থলে যান এসডিপিও বিশ্বজিৎ মাহাতো এবং বাসন্তী থানার ওসি বিশ্বজিৎ মাহাতো। আহতদের বাসন্তী ব্লক স্বাস্থ্য কেন্দ্র ও স্থানীয় একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় সাত জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
|
স্ত্রীকে খুনে গ্রেফতার স্বামী
নিজস্ব সংবাদদাতা • হাবরা |
স্ত্রীকে আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মারার অভিযোগে স্বামীকে গ্রেফতার করল পুলিশ। মঙ্গলবার হাবরা থানার পুলিশ উত্তরপ্রদেশের রামপুর জেলার সাহাবাদ থানা এলাকায় ওই ব্যক্তিকে তার বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম কুমার পাল। ২০১১ সালের ১ এপ্রিল হাবরার পশ্চিম কামারথুবায় শ্বশুরবাড়িতে স্ত্রীকে আনতে গিয়েছিল সে। ওইদিনই স্ত্রীর গায়ে সে আগুন দেয় বলে অভিযোগ। স্ত্রী সুনীতি পাল অগ্নিদ্বগ্ধ মারা যান। তার পরিবার থেকে খুনের অভিযোগ দায়ের করা হয়। তারপর থেকেই এতদিন পলাতক ছিল কুমার। উত্তরপ্রদেশের তার গ্রামে গিয়ে মঙ্গলবার পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
|
সানমার্গ-কাণ্ডে তদন্তে পুলিশ
নিজস্ব সংবাদদাতা • স্বরূপনগর |
সানমার্গের অফিস থেকে তিনটি কম্পিউটার-সহ বেশ কিছু জরুরি নথিপত্র আটক করার পর অফিসটি সিল করে দিল পুলিশ। সম্প্রতি সাড়ে আট কোটি টাকা প্রতারণার অভিযোগে ওই শাখার ম্যানেজার গণপ্রিয় রায়কে আটক করে পুলিশ। মঙ্গলবার স্বরূপনগরের চারঘাটে ম্যানেজার গণপ্রিয় রায়কে নিয়ে পুলিশ তদন্তে যায়। চারঘাটে দফতরটি সিল করার পর লবণগোলা গ্রামে গনপ্রিয়বাবুর অফিসেও যায় পুলিশ। সেখান থেকেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ নথি আটক হয়েছে।
|
ধৃত দুই দুষ্কৃতী
নিজস্ব সংবাদদাতা • বসিরহাট |
পুলিশের তৎপরতায় গ্রেফতার হল দুই দুষ্কৃতী। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃত দুই দুষ্কৃতীর নাম হাসানুর গাজি এবং ঝডু মণ্ডল। সোমবার রাতে স্বরূপনগর থানার পুলিশ তেঁতুলিয়া থেকে ঝডু মণ্ডলকে গ্রেফতার করা হয়। অন্যদিকে, মঙ্গলবার রাতে বাদুড়িয়ার বাগজোলার মগরা রোড থেকে গ্রেফতার করা হয় হাসানুর গাজিকে। অভিযোগ, বসিরহাটের বিভিন্ন এলাকা থেকে মোটরসাইকেল পাচারের ঘটনায় যুক্ত ছিল এরা দু’জন।
|
নির্বাচন আদালতে
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাকদ্বীপ |
অনুষ্ঠিত হল আদালতের বার অ্যাসোসিয়েশনের নির্বাচন। শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার কাকদ্বীপ আদালতে এই নির্বাচন হয়। ২১৭ জন সদস্যের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ২০৬ জন সদস্য। সভাপতি পদে জয়ী হয়েছেন কল্লোল কুমার দাস, সহ-সভাপতি পদে মনোজ পণ্ডা, সম্পাদক পদে কৌশিক কর, সহ সম্পাদক দীপক দাস এবং কোষাধ্যক্ষ তাপস থান্দার।
|
নক আউট ফুটবল |
|
—নিজস্ব চিত্র। |
বসিরহাট মহকুমা ক্রীড়া সংস্থা পরিচালিত ৯৮ তম কার মাইকেল শিন্ড নক আউট ফুটবল প্রতিযোগিতায় জয়ী হল ইয়ং স্টার ক্লাব। রবিবার বসিরহাট স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত ফাইনাল খেলায় ইয়ং স্টার প্রতিদ্বন্দ্বী নিউবানী সংঘকে ৪-০ গোলের ব্যবধানে পরাজিত করে। জয়ী দলের পক্ষে খেলার প্রথমার্ধে গোল করে দলকে এগিয়ে দেন সৌভিক বল। দ্বিতীয়ার্ধে রবি বসু, ফকির গাজি ও অভিজিৎ রায় আরও তিনটি গোল করেন। আট দলের এই প্রতিযোগিতায় সেরা খেলোয়াড়ের পুরষ্কার পান ইয়ং স্টারের বাপন মণ্ডল এবং ফাইনালে সেরা হন শৌভিক বল। |
|