মুর্শিদাবাদ পুরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডে পানীয় জল প্রকল্পটি মাঝ পথেই থমকে রয়েছে। ১১৭ কোটি ২২ লক্ষ টাকার ওই প্রকল্পের সুবিধা পাবেন নামমাত্র একটি ওয়ার্ডের বাসিন্দারাই। তবে ওই প্রকল্প উদ্বোধনের প্রচারে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের বিজ্ঞাপন বলছে, সমগ্র মুর্শিদাবাদ ও জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জ পুরসভার কয়েকটি এলাকাতেও ওই পরিশুদ্ধ জল মিলবে। মুর্শিদাবাদ পুরসভার একটি ওয়ার্ডে জল সরবরাহ হলেও জিয়াগঞ্জ পুরসভায় কেউই সে জল পাননি। এমনই দাবি পুরপ্রধান শঙ্কর মণ্ডলের। এ দিকে মুর্শিদাবাদ পুরসভার সব ওয়ার্ডে আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জল সরবরাহের দাবিতে নাগরিক কমিটি লালবাগ মহকুমাশাসককে বুধবার স্মারকলিপি দেয়। মুর্শিদাবাদের পুরপ্রধান শম্ভুনাথ ঘোষ বলেন, “পুরসভার সব ওয়ার্ডেই আর্সেনিক মুক্ত বিশুদ্ধ পানীয় জল সরবরাহ করার দাবি জানিয়ে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরে লিখিত ও মৌখিক আবেদন করেছি। কিন্তু ফল মেলেনি।” দু’টি পুরসভাতেই ভূগর্ভ থেকে জল তুলে শোধন করে রিজার্ভারে সংগ্রহ করে রাখা হয়। সেখান থেকে পাইপে শহরে ওই পানীয় জল সরবরাহ হয়। ২০০৫-এ বহরমপুরে এক সরকারি অনুষ্ঠানে ওই জল প্রকল্পের শিলান্যাস করেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। কাজ শুরু হয় শিলান্যাসের কয়েক বছর পর। শম্ভুনাথবাবু বলেন, “পূর্বতন বোর্ডের আমলে কাজ শুরু হয়। ওই পুরসভার কাছ থেকে জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতর ‘নো অবজেকশন সার্টিফিকেট নেয়। বিনিময়ে কেবল এক নম্বর ওয়ার্ডে জল সরবরাহ করতে চায়। তার ফলেই প্রকল্প চালু হলেও মুর্শিদাবাদ শহরের ১৬টির মধ্যে ১৫টি ওয়ার্ডই আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জল থেকে বঞ্চিত।” নাগরিক কমিটির সম্পাদক স্বপন ভট্টাচার্য বলেন, “বছরে ১২-১৪ লক্ষ পর্যটক আসেন। সেই শহরের সব এলাকায় আর্সেনিক মুক্ত পানীয় জল সরবরাহ না করা হলে পর্যটন শিল্প মার খাবে।” ওই প্রকল্পটি দেখভালের দায়িত্বে রয়েছেন জনস্বাস্থ্য কারিগরি দফতরের বহরমপুর ডিভিশন (১ নম্বর)-এর নিবার্হী বাস্তুকার তুষার ঘোষ। তিনি বলেন, “পুরসভার দাবি যাতে পূরণ করা হয় তার জন্য দফতরের সচিবের কাছে দাবিপত্র পাঠিয়ে দিতে পারি বড়জোর।”
জিয়াগঞ্জ-আজিমগঞ্জের পুরপ্রধান বলেন, ‘‘পুরসভার রিজার্ভারের থেকে প্রায় দু’ কিলোমিটার দূরে তকিয়ার রেলগেট। ওই পর্যন্ত জল প্রকল্পের পাইপ লাইনের কাজ হয়েছে। তারপর আর কাজ হয়নি। ফলে ওই প্রকল্পের জন রিজার্ভারে পৌঁছবে কি ভাবে?” |