|
|
|
|
অর্থ তছরুপে অভিযুক্ত প্রধান, পঞ্চায়েত কর্মী |
নিজস্ব সংবাদদাতা • নয়াগ্রাম |
সিপিএম পরিচালিত পঞ্চায়েত প্রধান এবং এক পঞ্চায়েত কর্মীর বিরুদ্ধে সরকারি তহবিলের প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা তছরুপের অভিযোগ উঠেছে। নয়াগ্রাম ব্লকের জামিরাপাল পঞ্চায়েতের ঘটনা। প্রধান ভাগ্যধর নায়েক এবং ওই পঞ্চায়েতের নির্বাহী সহায়ক আশিস মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে বুধবার নয়াগ্রাম থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন নয়াগ্রামের বিডিও তাপস ভট্টাচার্য। যদিও পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে ভাগ্যধরবাবু এখন স্থানীয় তৃণমূলের সঙ্গে সমঝোতা করে পঞ্চায়েতের কাজ চালাচ্ছেন বলে খবর। বিডিও তাপসবাবু জানান, ওই পঞ্চায়েতের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। অভিযোগের ভিত্তিতে গত ফেব্রুয়ারি মাসে ওই পঞ্চায়েত কার্যালয়ে দু’দফায় প্রশাসনিক তদন্ত চালানো হয়। গ্রাম পঞ্চায়েতের হিসাবের নথিসমূহ প্রতিদিন ‘ক্যাশ বুক’-এ লিপিবদ্ধ করা বাধ্যতামূলক। জামিরাপাল পঞ্চায়েতে গত বছর জুন মাস থেকে কোনও ক্যাশ বুক লেখা হয়নি। তদন্তে আয় ব্যয়ের হিসেবে গরমিল ধরা পড়ে। পঞ্চায়েতের সরকারি তহবিল সংক্রান্ত ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পাস বই, চেক ইস্যু রেজিস্টার, অ্যালোটমেন্ট রেজিস্টার, বিল রেজিস্টার, গ্রাম পঞ্চায়েতের অ্যাসেট রেজিস্টার, রাইট টু ইনফরমেশন রেজিস্টার-এর হদিশ মেলে নি বলে বিডিও’র দাবি।
মার্চ ও এপ্রিলে দু’দফায় জামিরাপাল পঞ্চায়েতে ইন্টারন্যাল অডিট করার জন্য পঞ্চায়েত অ্যাকাউন্টস অ্যান্ড অডিট অফিসারকে পাঠানো হয়। বিডিও জানান, অডিটেও একই গরমিল ধরা পড়ে। নির্বাহী সহায়ক আশিসবাবুকে শো-কজ করেন বিডিও। তাপসবাবুর দাবি, শো-কজের জবাবে দায়ভার স্বীকার করেন নির্বাহী সহায়ক। তাপসবাবু বলেন, “পুরো বিষয়টি জেলা প্রশাসন এবং জেলা পঞ্চায়েত ও গ্রামোন্নয়ন দফতরকে জানিয়ে বুধবার প্রধান ভাগ্যধরবাবু এবং নির্বাহী সহায়ক আশিসবাবুর বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছি। নির্বাহী সহায়কের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত করার জন্য উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।” |
|
|
|
|
|