|
|
|
|
খাদ্যকর্তাকে মারধর, কাঁথিতে |
নিজস্ব সংবাদদাতা • কাঁথি |
খাদ্য দফতরের পরিদর্শককে মারধর ও প্রায় দু’হাজার অলিখিত রেশন কার্ড অফিস থেকে জোর করে তুলে নেওয়ার অভিযোগ উঠল। কাঁথি দেশপ্রাণ ব্লকের ঢোলমারীতে খাদ্য দফতরের পরিদর্শকের অফিসে মঙ্গলবার বিকেলে ডেপুটেশন দেওয়ার নাম করে অফিসে হাজির হন দেশপ্রাণ ব্লকের চালতি গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল প্রধান তপন কুমার সামন্ত।
খাদ্য পরিদর্শক সুদীপকুমার দাস বলেন, “মঙ্গলবার বিকেলে চালতি গ্রামপ্রধান তপনকুমার সামন্ত ডেপুটেশন দেওয়ার নাম করে দলবল নিয়ে অফিসে আসেন। চালতি গ্রাম পঞ্চায়েতে এলাকার রেশন কার্ডের জন্য এক হাজার ফর্ম জমা পড়লেও শুধুমাত্র খাগড়াবনি গ্রাম সংসদে ১৭৬ খানা রেশন কার্ড বিতরণের কারণ জানতে চান তিনি। খাগড়াবনি গ্রামসংসদে কোনও কার্ড বিতরণ না হওয়ায় গ্রাম সংসদের সম্পাদকের আবেদনের ভিত্তিতে মহকুমাশাসক ও খাদ্য নিয়ামকের নির্দেশেই তা দেওয়া হয়েছে বলে জানাতেই তপন সামন্ত-সহ উপস্থিত লোকজন আমায় মারধর করে অফিস থেকে জোর করে প্রায় দু’হাজার রেশন কার্ড নিয়ে চলে যায় তারা।”
অন্যদিকে তপনবাবুর অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, “চালতি গ্রাম পঞ্চায়েতে এক হাজার রেশন কার্ডের আবেদন পত্র জমা পড়া সত্বেও খাগড়াবনি গ্রাম সংসদে বেছে বেছে ১৭৬ জন সিপিএম সমর্থককে কেন রেশন কার্ড দেওয়ার কারণ জানতে চাই। সুদীপবাবু মহকুমাশাসক ও মহকুমা খাদ্য নিয়ামকের নিদের্শেই কার্ড দেওয়ার কথা জানান।” তিনি আরও বলেন, “অফিসে উপস্থিত লোকজন অর্ডারের কপি দেখতে চাইলে তিনি অর্ডারের কোনও কপি নেই জানালে উপস্থিত লোকজন উত্তেজিত হয়ে পড়ে। তখন দু’পক্ষের বাদানুবাদে ডেপুটেশনকারীদের চাপে সুদীপবাবু দু’হাজার রেশন কার্ড তাঁদের হাতে তুলে দেন।” সুদীপবাবু আহত অবস্থায় চিকিৎসা করিয়ে মেডিক্যাল রিপোর্ট সহ আক্রমণের ঘটনাটি মহকুমা খাদ্য নিয়ামকের কাছে লিখিতভাবে জমা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। |
|
|
|
|
|