ইন্দিরা আবাস নিয়ে বৈঠক
সাড়ে আট কোটি পড়ে, তাও গতি নেই প্রকল্পে
বিভিন্ন ব্লকে ইন্দিরা আবাস যোজনা প্রকল্পে সব মলিয়ে সাড়ে আট কোটিরও বেশি টাকা পড়ে রয়েছে। তা-ও কাজের গতি একেবারেই ধীর। পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে বুধবার মেদিনীপুরে জেলা পরিষদ ভবনে এক বৈঠক হল। উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক পাপিয়া ঘোষ রায়চৌধুরী, সচিব বিপুল বিশ্বাস, সভাধিপতি অন্তরা ভট্টাচার্য প্রমুখ।
এ দিন বৈঠকে পশ্চিম মেদিনীপুরের বিভিন্ন ব্লকের আধিকারিকরা যোগ দেন। কেন এই পরিস্থিতি তা আধিকারিকদের কাছ থেকে জানতে চাওয়া হয়। জেলা সভাধিপতি বলেন, “কোন ব্লকে প্রকল্পের কী পরিস্থিতি, তা খতিয়ে দেখতেই বৈঠক। কিছু ক্ষেত্রে সমন্বয়ের অভাব রয়েছে। কাজে গতি আনতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।” জেলা পরিষদের এক আধিকারিকের কথায়, “প্রশাসনে সমন্বয় না থাকলে সমস্যা হবেই। এ ক্ষেত্রেও তাই হচ্ছে।”
গরিব মানুষের বাড়ি তৈরির জন্য ইন্দিরা আবাস যোজনা প্রকল্প রয়েছে। অথচ, এই প্রকল্পের জন্য বরাদ্দ অর্থ ব্লকস্তরে পড়ে থাকায় বিভিন্ন মহলে ক্ষোভ দেখা দিয়েছে। জানা গিয়েছে, বিভিন্ন ব্লকে এই প্রকল্পের ৮ কোটি ৬৬ লক্ষ ৩ হাজার টাকা পড়ে। এর মধ্যে দাসপুর ২ ব্লকে পড়ে রয়েছে ২৩ লক্ষ ১২ হাজার, দাসপুর ১-এ ৪ লক্ষ ২১ হাজার, বিনপুর ২-এ ৩৬ লক্ষ ৭১ হাজার, গোপীবল্লভপুর ১-এ ৪০ লক্ষ ৬০ হাজার, গোপীবল্লভপুর ২-এ ১ কোটি ২ লক্ষ ২২ হাজার, সাঁকরাইলে ৯৭ লক্ষ ২৮ হাজার, মোহনপুরে ৯০ লক্ষ ১৮ হাজার, ডেবরায় ৩৫ লক্ষ ৯৬ হাজার, ঘাটালে ২৫ লক্ষ ৬৭ হাজার, চন্দ্রকোনা ১-এ ৪ লক্ষ ৯৩ হাজার, চন্দ্রকোনা ২-এ ৮১ লক্ষ ৯৪ হাজার, মেদিনীপুরে (সদর) ৫৮ লক্ষ ১৩ হাজার, গড়বেতা ১-এ ৩০ লক্ষ ৬ হাজার, খড়্গপুর ১-এ ৮৯ লক্ষ ১৬ হাজার টাকা। ইন্দিরা আবাস যোজনা প্রকল্পে বাড়ি তৈরির জন্য ৪৮ হাজার ৫০০ টাকা বরাদ্দ হয়। দু’ভাগে এই টাকা দেওয়া হয়। কারা এই সরকারি প্রকল্পের সুবিধা পেতে পারেন, তার জন্য প্রতি ব্লকে তালিকা রয়েছে। সেই তালিকা ধরেই প্রকল্পের টাকা বরাদ্দ হয়।
কেন অর্থ পড়ে থাকলেও কাজ এগোচ্ছে না?
জেলা প্রশাসনেরই এক সূত্রে খবর, এখন বাড়ি তৈরির সমস্ত সরঞ্জামের দাম বেড়েছে। অথচ, প্রকল্পের বরাদ্দ বাড়েনি। সরকারি নিয়ম রয়েছে, পাকা বাড়ি করতে হবে। কিন্তু, অনেক উপভোক্তাই এখন বরাদ্দ অর্থে পাকা বাড়ি করা সম্ভব নয় বলে জানিয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, এখন ইট-বালি-চিপস্ সব কিছুর দাম বেড়েছে। এই অবস্থায় ৪৮ হাজার ৫০০ টাকায় বাড়ি তৈরি অসম্ভব। ফলে একাংশ উপভোক্তা বাড়ি তৈরি করতেই নারাজ। সঙ্গে, গ্রামস্তরে ‘রাজনৈতিক অস্থিরতা’ এবং প্রশাসনের অন্দরে দফতরগুলির মধ্যে সমন্বয় না থাকার ফলে সমস্যা আরও জটিল হয়েছে বলে অভিযোগ। যেমন, বেশ কিছু ব্লকে বিডিও এবং পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতির মধ্যে সমন্বয়ের ঘাটতি রয়েছে। ফলে কিছু সমস্যা হচ্ছে।
জেলা সভাধিপতি বলেন, “সমস্যাগুলি নিয়ে বৈঠকে আলোচনা হয়েছে। প্রকল্পের গতি যে শ্লথ তা ঠিক। কাজে আরও গতি আনা প্রয়োজন। এ জন্য প্রতিটি ব্লককে প্রয়োজনীয় নির্দেশও দেওয়া হয়েছে।”

পুরনো খবর:


First Page| Calcutta| State| Uttarbanga| Dakshinbanga| Bardhaman| Purulia | Murshidabad| Medinipur
National | Foreign| Business | Sports | Health| Environment | Editorial| Today
Crossword| Comics | Feedback | Archives | About Us | Advertisement Rates | Font Problem

অনুমতি ছাড়া এই ওয়েবসাইটের কোনও অংশ লেখা বা ছবি নকল করা বা অন্য কোথাও প্রকাশ করা বেআইনি
No part or content of this website may be copied or reproduced without permission.